ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতের অন্যতম শীর্ষ অভিনেত্রী তথা প্রাক্তন মিস ওয়ার্ল্ড(১৯৯৪) ছিলেন ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন। নিজের দক্ষতা এবং কাজের মাধ্যমে ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় এবং প্রভাবশালী তারকা হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তিনি।
ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন সম্পর্কে কিছু তথ্য, Some facts about Aishwarya Rai Bachchan :
- জন্ম তারিখ: ১৯৭৩ সালের পয়লা নভেম্বর
- জন্মের স্থান: মঙ্গোলোর, কর্ণাটক, ভারত
- পিতা-মাতা: পিতা: কৃষ্ণরাজ রাই
- মা: বৃন্দা রাই
- ভাইবোন: ভাই- আদিত্য রাই
- বৈবাহিক অবস্থা: বিবাহিত
- স্বামী: অভিষেক বচ্চন
- শিশু: আরাধ্য্যা বচ্চন (কন্যা)
- ধর্ম: হিন্দু ধর্ম
ঐশ্বরিয়া রাই কি বাঙালি? Is Aishwarya Rai Bengali?
ঐশ্বরিয়া রাই কর্ণাটকের ম্যাঙ্গালোরে 1 নভেম্বর 1973 সালে একটি টুলু-ভাষী হিন্দু পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা কৃষ্ণরাজ রাই, যিনি 18 মার্চ 2017 সালে মারা যান, একজন সামুদ্রিক জীববিজ্ঞানী এবং তার মা বৃন্দা একজন গৃহিণী। তার এক বড় ভাই আদিত্য রাই, যিনি একজন মেরিন ইঞ্জিনিয়ার।
ঐশ্বরিয়ার বর্তমান বয়স কত? What is the present age of Aishwarya?
2024 সাল অনুযায়ী ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনের বয়স 51 বছর।
ঐশ্বরিয়া রাই এর উচ্চতা ও ওজন, Aishwarya Rai Height and Weight:
- উচ্চতা: ৫′ ৭ ″ (১.৭০ মি)
- ওজন: ৫৬ কেজি (১২৩ পাউন্ড)
- শরীরের পরিমাপ: ৩৪-২৬-৩৬
- চোখের রঙ: হেজেল সবুজ নীল
- চুলের রঙ: কালো
ঐশ্বর্য রায়ের বাড়ি কোথায়? Where is Aishwarya Rai’s house?
অভিষেক বচ্চন এবং ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনের বাড়ি হল মুম্বাইয়ের বান্দ্রা-কুরলা কমপ্লেক্সের বিশাল সিগনিয়া আইলস কমপ্লেক্স, যার মূল্য 21 কোটি টাকা।
আরাধ্যা বচ্চনের বয়স কত? How old is Aaradhya Bachchan?
অভিষেক বচ্চন ও ঐশ্বর্যা রাই বচ্চনের একমাত্র মেয়ে আরাধ্যা বচ্চনের বয়স ১২ বছর। তিনি মহারাষ্ট্রের মুম্বাইতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন ১৬ নভেম্বর, ২০11 সালে।
ঐশ্বরিয়ার বিয়ে হয় কত সালে? When did Aishwarya get married?
২০০৭ সালের ২০ এপ্রিল বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন ঐশ্বরিয়া ও অভিষেক। এর পর ২০১১ সালে তাদের কোলজুড়ে আসে কন্যাসন্তান– আরাধ্যা বচ্চন।
অভিষেক এক সাক্ষাৎকারে জানান, ১৯৯৯ সালে প্রথম, ‘ঢাই অক্ষর প্রেম কি’ ছবির একটি ফটোশ্যুটের সময় প্রথম দেখা হয়েছিল অভিষেক আর ঐশ্বর্যার। তখন থেকেই তাঁদের বন্ধুত্ব। সময়ের সাথে, একের পর এক ছবিতে কাজ করতে করতে সেই বন্ধুত্ব আরও গাঢ় হয়। এরপরে, উমরাও জান ছবিতে কাজ করার সময়, নিজেদের সম্পর্ককে পরের ধাপে নিয়ে যাওয়ার চিন্তা করেন দুজনে। সেখান থেকেই অভিষেক-ঐশ্বর্যার বিয়ের ভাবনা।
ঐশ্বরিয়া কত কোটি টাকার মালিক? How many crores does Aishwarya own?
বলিউড সুপারস্টার ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন ভারতের সবচেয়ে ধনী অভিনেত্রীদের মধ্যে একজন। রিপোর্ট অনুযায়ী, ২৫ বছর ধরে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করার পর ঐশ্বরিয়া সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ৮৬২ কোটি টাকা। যার মধ্যে রয়েছে অভিনেত্রীর দুবাইয়ের বাড়িও। তথ্য অনুযায়ী, ঐশ্বরিয়া প্রতিটি ছবিতে অভিনয়ের জন্য পারিশ্রমিক হিসেবে পান ১০ কোটি টাকা। এ ছাড়াও বেশ কিছু জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপনেও কাজ করেছেন তিনি।
ঐশ্বর্যা রাই ছবি, Pictures of Aishwarya Rai :
ঐশ্বর্যা রাই এর শিক্ষাজীবন, Aishwarya Rai’s Educational Life :
ঐশ্বর্যা রাই আর্য বিদ্যা মন্দিরে পড়াশুনা করেছেন। ক্রমে তিনি মুম্বাই বোম্বাই স্কটিশ স্কুলেও পড়াশুনা করেন। এছাড়াও স্কুল জীবনের শেষ বছরগুলো নয়াদিল্লির মুম্বাই মডার্ন স্কুলে পড়াশুনা করেন। এরপর তিনি মুম্বাইয়ের জয় হিন্দি কলেজে স্নাতক ডিগ্রি সম্পন্ন করেন।
ঐশ্বরিয়া বচ্চনের প্রিয় জিনিস, Aishwarya Bachchan’s Favorite Things :
- শখ: বই পড়া, সেলাই করা, ঘড়ি সংগ্রহ।
- খাবার: চকোলেট, চিকেন কারি
- অভিনেতা: অমিতাভ বচ্চন, রাজ কাপুর।
- অভিনেত্রী: নার্গিস
- চলচিত্র: ক্যাসাব্ল্যাঙ্কা (১৯৯২), হলিউড।
- পরিচালক: মণি রত্নম ও সঞ্জয় লীলা বানসালি
- বই: দ্য আলকেমিস্ট, পাওলো কোয়েলহো
- রঙ: কালো, নীল, সাদা
- ফ্যাশন ডিজাইনার: জর্জিও আরমানি।
- শহর: মুম্বাই
- গন্তব্য: ফ্রান্স, দুবাই, দক্ষিণ আফ্রিকা।
ঐশ্বর্য্য রাইয়ের সম্পর্ক ও বিতর্ক, Aishwarya Rai Relationships and Controversies:
সালমান খানের সাথে ঐশ্বর্য্য রাইয়ের সম্পর্ক (১৯৯৯-২০০১) নিয়ে নেটিজেন সহ বলিউড মহলে আলোচনা ছিল। তাদের বিচ্ছেদের পর, ঐশ্বরিয়া জানান যে তিনি সালমান খানের সাথে থাকাকালীন মৌখিক, শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
সালমান খানের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর ঐশ্বরিয়ার বিবেক ওবেরয়ের সাথে ঘনিষ্ঠ হওয়ার কথা শোনা যায়। কিন্তু তাদের সম্পর্ক বেশি দিন স্থায়ী হয়নি বলে জানা যায়।
ঐশ্বর্যা রাই খবর, Aishwarya Rai news :
ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন এবং অভিষেক বচ্চনের বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে। কিন্তু বিচ্ছেদের কারণ নিয়ে কোনো খোলাসা করেন নি এই দম্পতি।
ঐশ্বর্যা রাই সিনেমা, Aishwarya Rai movie :
ঐশ্বরিয়া মডেল হিসেবে নিজের ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন। তিনি ফোর্ড দ্বারা আয়োজিত ১৯৯১ সালের আন্তর্জাতিক সুপার মডেল প্রতিযোগিতা জয়ী হয়েছিলেন। তিনি আমির খান ও মহিমা চৌধুরীর সাথে একটি পেপসি বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপনে কাজ করেছিলেন।
ঐশ্বরিয়া মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতার পাশাপাশি “মিস ক্যাটওয়াক”,” মিস মিরাকুলাস “,” মিস ফটোজেনিক”, “মিস পারফেক্ট টেন “এবং” মিস পপুলার “ হিসেবেও শিরোপা জয় করেছিলেন।
১৯৯৭ সালে, ঐশ্বরিয়া “আইরুভার” নামে একটি ছবিতে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে আত্মপ্রকাশ করেন। ছবিটি মনি রত্নম পরিচালিত একটি তামিল ভাষার ছবি। একই বছর তিনি “আওর প্যার হো গায়া” (১৯৯৭) নামে একটি ছবির মাধ্যমে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন। উভয় ছবিই বাণিজ্যিকভাবে ব্যর্থ হলেও তাঁর অভিনয় সমালোচকদের দ্বারা প্রশংসিত হয়।
ঐশ্বরিয়া রাই বাংলা চলচ্চিত্র “চোখের বালি” তে কাজ করেছেন। চোখের বালি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চোখের বালি উপন্যাস অবলম্বনে চিত্রায়িত। ২০০৩ সালে এটি পরিচালনা করেছেন ঋতুপর্ণ ঘোষ এবং অভিনয় করেছেন ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, রাইমা সেন। ঐশ্বরিয়া এখানে ‘বিনোদিনী’ ও রাইমা সেন ‘আশালতা’ চরিত্রে অভিনয় করেন।
ঐশ্বরিয়া অভিনয় জীবনে বলিউডের বহু ছবিতে কাজ করেন। তবে তাঁর কাজ সবচেয়ে প্রসংশিত হয় “দেবদাস”(২০০২) ছবিতে। ছবিটি তাঁকে সারা বিশ্বে পরিচিতি এনে দেয়। সঞ্জয় লীলা বানসালি পরিচালিত ছবিতে তিনি পার্বতীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন। দেবদাস ছবিটি বেশ কিছু পুরস্কার অর্জন করেছিল।
ঐশ্বরিয়া কিছু হলিউড ছবিতেও কাজ করেছিলেন। তিনি “ব্রাইড অ্যান্ড প্রিজুডাইস”(২০০৪) তে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। এরপর পল মায়দা বার্গেস পরিচালিত ‘দ্য লাস্ট লেজিয়ান’ (২০০৭) ছবিতে কলিন ফিরথের বিপরীতে কাজ করেন তিনি। এছাড়াও স্যার বেন কিংসলে এবং স্টিভ মার্টিনের “দ্য পিঙ্ক প্যান্থার ২” (২০০৯), “দি মিস্ট্রেস অফ স্পাইস” (২০০৫) ছবিতে অভিনয় করেছেন।
ঐশ্বরিয়ার প্রাপ্ত সম্মাননা, Honors received by Aishwarya :
ঐশ্বরিয়া তার অভিনয় জীবনের অনেক পুরষ্কার হয় করছেন।
- পদ্মশ্রী: ২০০৯ সালে তিনি পদ্মশ্রী পুরষ্কার জিতেছিলেন। পদ্মশ্রী ভারতের প্রজাতন্ত্রের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরষ্কার।
- সেরা অভিনেত্রীর আইফা পুরষ্কার: তিনি ২০০৯ সালে হাম দিল দে চুকে সানামের জন্য এবং ২০০৩ সালে দেবদাসের হয়ে সেরা অভিনেত্রীর আইফা পুরস্কার পেয়েছিলেন।
- সেরা অভিনেত্রীর জন্য জি সিনেমা অ্যাওয়ার্ড: ২০০৫ সালে রেইনকোটের জন্য এবং ২০১১ সালে গুজারিশের জন্য।
- সত্যিকার ইন্ডিয়ান অভিনেত্রীর জন্য জি সিনেমা অ্যাওয়ার্ড: ২০০৩ সালে দেবদাসের জন্য।
- সেরা অভিনেত্রীর জন্য স্টারডাস্ট অ্যাওয়ার্ড (নাটক): গুজারিশ ২০১১।
- দশকের বিগ স্টার ফিল্ম অভিনেতা (মহিলা): তিনি ২০১০ সালে দশকের বিগ স্টার ফিল্ম অভিনেতা (মহিলা) জিতেছিলেন।
- সেরা অভিনেত্রীর ফিল্মফেয়ার পুরষ্কার: দিল দে চুকে সানাম ২০০০ এর জন্য এবং ২০০৩ সালে দেবদাসের জন্য।
- স্টার স্ক্রিন অ্যাওয়ার্ড জোডি নং ১: ২০০৩ সালে দেবদাসের জন্য।
- বলিউড মুভি পুরষ্কার – সেরা অভিনেত্রী: ২০০৩ সালে দেবদাসের জন্য।
- প্যাক-প্যাকড পারফরম্যান্স অফ দা ইয়ার স্টারডাস্ট অ্যাওয়ার্ড: তিনি তার রিটার্ন ফিল্ম জাজবা ২০১৫ এর জন্য পাওয়ার-প্যাকড পারফরম্যান্সের জন্য স্টারডাস্ট পুরষ্কার জিতেছিলেন।
- আইফা গ্লোবাল ইন্ডিয়ান মিডিয়া পার্সোনালিটি ট্রফি: ২০০৫ সালে তিনি আইফা গ্লোবাল ইন্ডিয়ান মিডিয়া পার্সোনালিটি ট্রফি জিতেন।
- স্টার স্ক্রিন অ্যাওয়ার্ড ফোর দি বেস্ট দেবুউ: তিনি তার প্রথম চলচ্চিত্র ‘ প্যার হো গায়া’ এর জন্য এই পুরস্কার জিতেছিলেন।
- সেরা অভিনেত্রীর স্ক্রিন অ্যাওয়ার্ড: ২০০০ সালে হাম দিল দে চুক সানাম এবং ২০০৩ সালে দেবদাসের জন্য।
- আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্রের অসামান্য অবদানের জন্য আইআইএফএ পুরষ্কার: ২০০৯ সালে তিনি আন্তর্জাতিক সিনেমায় অসামান্য অবদানের জন্য আইআইএফএ পুরষ্কার পেয়েছিলেন।
- দশকের স্টার (মহিলা) এর জন্য আইফা অ্যাওয়ার্ড: হুাম দিল দে চুকে সানাম এবং দেবদাসের জন্য স্টার অফ দ্য ডেকের (মহিলা) এর আইআইএফএ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিলেন।
- সেরা অভিনেত্রীর পর্দার পুরষ্কার (জনপ্রিয় পছন্দ): যোধা আকবার ২০০৯ এর জন্য।
- জি সিনে অ্যাওয়ার্ড সেরা অভিনেত্রীর জন্য – দর্শকদের পছন্দ: হাম দিল দে চুকে সানাম ২০০০ এবং দেবদাস ২০০৩ এর জন্য।
- স্টারডাস্ট বর্ষসেরা অভিনেত্রী পুরষ্কার – মহিলা: ২০০৫ সালে ধুম ২ এর জন্য।
- জি সিনে অ্যাওয়ার্ড ফোর লাক্স ফেইস অফ দা ইয়ারঃ ২০০০ সালে হাম দিল দে চুকে সানাম এবং তালের জন্য।
- গ্ল্যামারাস স্টার অফ দা ইয়ার আইফা অ্যাওয়ার্ড: ২০০৫ সালে ধুম ২ এর জন্য।
- স্টার গিল্ড অ্যাওয়ার্ড ফোর সিনেমাটিক এক্সিলেন্স মহিলা: ২০১১ সালে গুজারিশের জন্য।
ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য, Some unknown facts about Aishwarya Rai Bachchan :
- ঐশ্বরিয়া প্রথমবারের জন্য অভিনয় করেন একটি বিজ্ঞাপনে। তখন তিনি নবম শ্রেণিতে ছিলেন।
- ঐশ্বরিয়া একজন প্রশিক্ষিত ক্লাসিক্যাল নৃত্যশিল্পী, তিনি কিশোরী বয়স থেকে টানা ৫ বছর নৃত্য শিখেছিলেন।
- ঐশ্বরিয়া ছাত্রী হিসেবে পড়াশুনায় খুবই ভালো ছিলেন এবং স্কুলে ক্রমাগত ৯০% এর উপরে স্কোর করতেন। অভিনয় কেরিয়ার শুরু করার আগে তিনি চিকিৎসক হতে চেয়েছিলেন।
- ঐশ্বরিয়া অভিনেত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগে ভয়েস ডাবিং হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তবে ব্যর্থ হন।
- ঐশ্বরিয়া ১৯৯৪ সালে সুস্মিতা সেনের কাছে মিস ইন্ডিয়া প্রতিযোগিতায় হেরে গিয়েছিলেন।
- ঐশ্বরিয়াকে মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতায় দক্ষিণ আফ্রিকায় সমস্ত ৮২ জন প্রতিযোগী এবং আয়োজক তাদের মাতৃভাষায় হ্যাপি বার্থডে গেয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন।
- ঐশ্বরিয়া একমাত্র অভিনেত্রী, যিনি কোকা-কোলা এবং পেপসি উভয় পানীয়ের বিজ্ঞাপনে অভিনয় করেছিলেন।
- হলিউডের অভিনেত্রী জুলিয়া রবার্টস বলেন “ঐশ্বরিয়া রাই বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দরী মহিলা,”
- দেবদাসের সাফল্যের পর, বার্বি ডল উৎপাদনকারী ম্যাটেল সংস্থা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ঐশ্বরিয়া রাই এর বার্বি পুতুল এর একটি সাময়িক সংস্করণ প্রকাশ করেছিল।
- ভারী কানের দুল ব্যবহার করার কারণে ঐশ্বরিয়া কানের রক্তক্ষরণে ভুগছিলেন। এই ঘটনা ‘দেবদাস’ ছবির ‘দোলা রে দোলা রে’ গানের সময় ঘটেছিল।
- ঐশ্বরিয়া রাই ২০০২ সালে টাইম ম্যাগাজিনে প্রকাশিত দ্বিতীয় ভারতীয় অভিনেত্রী।
- ঐশ্বরিয়া ২০০৪ সালে প্রথম ভারতীয় অভিনেত্রী, যার মোমের মূর্তি লন্ডনের ম্যাডাম তুষস জাদুঘরে রাখা হয়েছিল।
- মোমের মূর্তি ব্রিসেইস ভূমিকায় অভিনয় করার জন্য ট্রয়ের (২০০৪) প্রস্তাব পেয়েছিলেন, কিন্তু তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন।
- নেদারল্যান্ডসে, কিছু টিউলিপ ফুলের নামকরণ করা হয়েছে ঐশ্বরিয়া রাইয়ের নামে।
- ঐশ্বরিয়া এবং তাঁর পরিবারের একটি প্রযোজনা সংস্থা আছে ‘টার্গেট ফিল্মস’ নামে ।
- অ্যাশ প্রথম দক্ষিণ-এশীয় এবং ভারতীয়, যিনি ২০০৯ সালে বিখ্যাত ওপরাহ উইনফ্রে শোতে উপস্থিত হন।
- ঐশ্বরিয়া তেলাপোকা ভয় পান।
- ২০০৪ সালে, ঐশ্বরিয়া দরিদ্র লোকদের সহায়তার জন্য ঐশ্বরিয়া রাই ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
- ঐশ্বরিয়ার বিয়ের সময় বাগদানে ৫৩-ক্যারেটের আংটি পেয়েছিলেন, যার মূল্য 50 লক্ষ (ভারতীয় রুপি)।
- ২০০৩ সালে, ঐশ্বরিয়া কান চলচ্চিত্র উৎসবে জুরি সদস্য ছিলেন যা ভারতীয় অভিনেত্রীদের মধ্যে প্রথমবার হয়েছিল।
- ২০০৩ সালে, ঐশ্বরিয়া ল’রোয়ালের বিশ্বব্যাপী ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হয়েছিলেন এবং পরে কোম্পানির পরামর্শদাতা হিসাবে নিযুক্ত হন।
শেষ কথা, Conclusion :
আশা করি আজকের এই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা তথ্যগুলো থেকে আপনারা ঐশ্বরিয়া রাইয়ের জীবনের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এই ধরনের পোস্ট আরো পেতে চোখ রাখুন আমাদের ওয়েবসাইটে।