২০২৫ সালের ভারতে জন্মানো প্রথম নবজাতক হল ফ্রাঙ্কি রেমরুতদিকা জাদেং। ১ জানুয়ারি রাত ১২টা ০৩ মিনিটে জন্মগ্রহণ করা মিজ়োরামের আইজ়লের সদ্যোজাত ফ্রাঙ্কি শুধুমাত্র ভারতের প্রথম নবজাতকই নয়, তার প্রজন্মের মধ্যেও প্রথম। এই প্রজন্মকে ‘জেন বিটা’ বলে অভিহিত করা হয়েছে।
মিজোরামের আইজল শহরের ডার্টল্যাং-এর সিনড হাসপাতালে জন্ম নিল দেশের প্রথম ‘বিটা’ প্রজন্মের শিশু। ফ্রাঙ্কির জন্ম ১ জানুয়ারি ২০২৫, রাত ১২টা ০১ মিনিটে। তার ওজন ৩.১২ কিলোগ্রাম। ফ্রাঙ্কির জন্মের সময় গোটা বিশ্ব নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে ব্যস্ত ছিল। ফ্রাঙ্কির মা রামজিরমাউই এবং বাবা জেডডি রেমরুৎসাঙ্গা তাদের কন্যা সন্তান জন্মের সময় খুব খুশি হয়েছেন।

এই প্রজন্মের জীবনযাত্রা কেমন হবে, তা নিয়ে কৌতূহল তৈরি হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এই প্রজন্মের একটা বড় অংশ তাদের জীবনযাত্রায় আধুনিক প্রযুক্তিকে বেশি প্রাধান্য দেবে। এই প্রজন্ম তাদের পূর্ববর্তী প্রজন্মের থেকে আরও বেশি প্রযুক্তি নির্ভর হবে।
সামাজিক গবেষক ও ভবিষ্যৎ-বক্তা মার্ক ম্যাকক্রিন্ডল ২০২৫ সাল থেকে ২০৩৯ সালের মধ্যে জন্ম নেওয়া শিশুদের সংজ্ঞায়িত করেছেন ‘জেন বিটা’ শব্দে। তিনি জানিয়েছেন, ২০৩৫ সালের মধ্যে জেন বিটা শিশুরা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ১৬ শতাংশ হবে। এই প্রজন্মের শিশুদের মা, বাবা অল্প বয়সেই সমাজমাধ্যম ব্যবহারের সুবিধা পাচ্ছেন। তারা প্রযুক্তি সচেতন। বিটা প্রজন্মের শিশুরা এমন এক পৃথিবীতে বড় হবে, যেখানে জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হবে প্রযুক্তি। কাজ হবে প্রযুক্তি দিয়ে। এই প্রজন্মের শিশুদের জীবনে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।

ম্যাকক্রিন্ডল আরও জানিয়েছেন, শুধু নতুন প্রজন্মকে বোঝাতে তিনি বিটা শব্দটি ব্যবহার করেননি, এই প্রজন্ম বিশ্বকে এক নতুন আকৃতি দেবে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, অটোমেশন দৈনন্দিন জীবনে শিক্ষা, স্বাস্থ্য পরিষেবা, বিনোদন ইত্যাদি সবক্ষেত্রে কাজ করবে। গ্রিক বর্ণমালার ধারাবাহিকতায় জেনারেশন আলফার (২০১০-২০২৪) পরবর্তী প্রজন্ম জেনারেশন বিটা (২০২৫-৩৯)। আলফার আগের জেনারেশন (১৯৯৬-২০) জেড জেনারেশন, তারও আগের প্রজন্ম মিলেনিয়ামস (১৯৮১-১৯৯৬) নামে পরিচিত।