সূরা মূলক বাংলা উচ্চারণ pdf, Bengali pronunciation of Surah Mulk

সূরা মূলক বাংলা উচ্চারণ pdf

কুরআন শরীফের ৬৭তম সূরা হল সূরা মুলক। সূরা আল-মুলক এর আয়াত অর্থাৎ বাক্য সংখ্যা ৩০ এবং রূকুর সংখ্যা ২, শব্দের সংখ্যা ৩৩৭, অক্ষরের সংখ্যা ১৩১৬। মূলক শব্দের অর্থ হল সার্বভৌম ক্ষমতা। সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয় তাই এটি মাক্কী সূরার শ্রেণীভুক্ত। এই সূরাটিতে প্রথমে আল্লাহর সার্বভৌম ক্ষমতার কথা বলা হয়েছে এবং মানব সৃষ্টির উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলা হয়েছে।

সূরা মূলক কত নম্বর সূরা?, Surah Mulk koto number surah?

কুরআন শরীফের ৬৭তম সূরা হল সূরা মুলক।

সুরা মূলকের বাংলা উচ্চারণ, Pronunciation of Surah Mulk

(বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম)

(১) তাবা-রাকাল্লাজি বিয়াদিহিল মূলকু ওয়া হুওয়া ‘আলা- কুল্লি শাইয়িন কাদির।

(২) আল্লাজি খালাকাল মাওতা ওয়াল হায়া-তা লিইয়াবলুওয়াকুম আইয়ুকুম আহছানু‘ আমালাওঁ ওয়া হুওয়াল ‘আজিজুল গাফুর।

(৩) আল্লাজি খালাকা ছাব‘আ ছামা-ওয়া-তিন তিবা-কান মা- তারা- ফি খালকির রাহমা-নি মিন তাফা-উত ফারজি‘ইল বাসারা হাল তারা- মিন ফুতুর।

(৪) ছুম্মার জি’ইলবাসারা কাররাতাইনি ইয়ানকালিব ইলাইকাল বাসারু খা-ছিআওঁ ওয়া হুওয়া হাসির।

(৫) ওয়া লাকাদ জাইয়ান্নাছ সামাআদ্দুনইয়া- বিমাসা-বিহা ওয়াযা’আলনা- হা- রুজুমাল লিশশায়াতিনি ওয়া আ’তাদনা- লাহুম ‘আযা- বাছছা’ঈর।

(৬) ওয়া লিল্লাজিনা কাফারুবিরাব্বিহিম ‘আযা- বুযাহান্নামা ওয়াবি’ছাল মাসির।

(৭) ইজাউলকুফিহা- ছামি’উ লাহা- শাহিকাওঁ ওয়াহিয়া তাফুর।

(৮) তাকা- দুতামাইয়াজুমিনাল গাইজি কুল্লামাউলকিয়া ফিহা- ফাওজুন ছাআলাহুম খাজানাতুহাআলাম ইয়া’তিকুম নাজির।

(৯) কা- লুবালা- কাদ যাআনা- নাজিরুন ফাকাজযাবনা- ওয়া কুলনা- মানাজযালাল্লা- হু মিন শাইয়িন ইন আনতুম ইল্লা- ফি দালা- লিন কাবির।

(১০) ওয়া কা-লুলাও কুন্না- নাছমা’উ আও না’কিলুমা- কুন্না-ফিআসহা-বিছছা’ঈর।

(১১) ফা’তারাফুবিজামবিহিম ফাছুহক্বললিআসহা-বিছ ছা’ঈর।

(১২) ইন্নাল্লাজিনা ইয়াখশাওনা রাব্বাহুম বিলগাইবি লাহুম মাগফিরাতুওঁ ওয়া আজরুন কাবির।

(১৩) ওয়া আছিররুকাওলাকুম আবিজহারুবিহি ইন্নাহু’আলিমুম বিজা- তিসসুদু র।

(১৪) আলা- ইয়া’লামুমান খালাকা ওয়া হুওয়াল্লাতিফুল খাবির।

(১৫) হুওয়াল্লাজি যা’আলা লাকুমুল আরদা যালুলান ফামশুফি মানা-কিবিহা- ওয়া কুলুমির রিজকিহি ওয়া ইলাইহিন নুশুর।

(১৬) আ আমিনতুম মান ফিছছামাই আইঁ ইয়াখছিফা বিকুমুল আরদা ফাইযা- হিয়া তামুর।

(১৭) আম আমিনতুম মান ফিছছামাই আইঁ ইউরছিলা ‘আলাইকুম হা-সিবান ফাছাতা’লামুনা কাইফা নাজির।

(১৮) ওয়া লাকাদ কাজযাবাল্লাজিনা মিন কাবলিহিম ফাকাইফা কা- না নাকির।

(১৯) আওয়ালাম ইয়ারাও ইলাত্তাইরি ফাওকাহুম সাফফা-তিওঁ ওয়াইয়াকবিদন । মাইউমছিকুহুন্না ইল্লাররাহমা-নু ইন্নাহুবিকুল্লি শাইয়িম বাসির।

(২০) আম্মান হা-যাল্লাজি হুওয়া জুনদুল্লাকুম ইয়ানসুরুকুম মিন দু নিররাহমা-নি ইনিল কাফিরুনা ইল্লা- ফি গুরুর।

(২১) আম্মান হা- যাল্লাজি ইয়ারজকুকুম ইন আমছাকা রিজকাহু বাল্লাজজুফি ‘উতুওবিওয়া নুফুর।

(২২) আফামাইঁ ইয়ামশি মুকিব্বান ‘আলা- ওয়াজহিহি আহদা আম্মাইঁ ইয়ামশি ছাবি ইয়ান ‘আলা-সিরা-তিমমুছতাকিম।

(২৩) কুল হুওয়াল্লাজিআনশাআকুম ওয়া যা‘আলা লাকুমুছছাম‘আ ওয়াল আবসা-রা ওয়াল আফইদাতা কালিলাম মা-তাশকুরুন।

(২৪) কুল হুওয়াল্লাজি যারাআকুম ফিল আরদিওয়া ইলাইহি তুহশারুন।

(২৫) ওয়া ইয়াকুলুনা মাতা-হা-যাল ওয়া’দুইন কুনতুম সা-দিকিন।

(২৬) কুল ইন্নামাল ‘ইলমু’ইনদাল্লা- হি ওয়া ইন্নামাআনা নাজিরুম মুবিন।

(২৭) ফালাম্মা-রাআওহু ঝুলফাতান সিআত ঊজুহুল্লাজিনা কাফারুওয়া কিলা হা-যাল্লাজি কুনতুম বিহি তাদ্দা’ঊন।

(২৮) কুল আরাআইতুম ইন আহলাকানিয়াল্লা-হু ওয়া মাম্মা‘ইয়া আও রাহিমানা- ফামাইঁ ইউজিরুল কা-ফিরিনা মিন ‘আযা-বিন আলিম।

(২৯) কুল হুওয়াররাহমা-নুআ-মান্না-বিহি ওয়া’আলাইহি তাওয়াক্কালনা-, ফাছাতা’লামুনা মান হুওয়া ফি দালা-লিম মুবিন।

(৩০) কুল আরাআইতুম ইন আসবাহা মাউকুম গাওরান ফামাইঁ ইয়া’তিকুম বিমাইম মা’ঈন।

সূরা মূলক নাযিল হওয়ার সময় ও স্থান, The time and place of revelation( Najil) of the surah Mulk

কোন সময় এ সূরাটি নাযিল হয়েছিলো তা কোন নির্ভরযোগ্য বর্ণনা থেকে জানা যায় না। তবে বিষয়বস্তু ও বর্ণনাভঙ্গি থেকে স্পষ্ট ধারণা করা যায় যে, সূরাটি মক্কী জীবনের প্রথম দিকে অবতীর্ণ সূরাসমূহের অন্যতম।

সূরা মূলক নাযিল হওয়ার সময় ও স্থান

সূরা মূলক সম্পর্কে বিবরণ, Description of Surah Mulk

সূরা মূলক নামক সূরাটিতে একদিকে ইসলামী শিক্ষার মূল বিষয়সমূহ তুলে ধরা হয়েছে, অন্যদিকে যেসব লোক বেপরোয়া ও অমনোযোগী ছিল তাদেরকে অত্যন্ত কার্যকরভাবে সজাগ করে দেয়া হয়েছে। মক্কী জীবনের প্রথম দিকে নাযিল হওয়া সূরাসমূহের বৈশিষ্ট হলো, তাতে ইসলামের গোটা শিক্ষা ও রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নবী করে পাঠানোর উদ্দেশ্য সবিস্তারে নয় বরং সংক্ষিপ্তভাবে বর্ণন করা হয়েছে, ফলে তা ক্রমান্বয়ে মানুষের চিন্তা-ভাবনায় বদ্ধমূল হয়েছে। সেই সাথে মানুষের বেপরোয়া মনোভাব ও অমনোযোগিতা দূর করা, তাকে ভেবে চিন্তে দেখতে বাধ্য করা এবং তার ঘুমন্ত বিবেককে জাগিয়ে তোলার প্রতি বিশেষভাবে গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।

এই সূরার প্রথম পাঁচটি আয়াতে বোঝানো হয়েছে যে যারা বিশ্বলোকে বাস করছে তা এক চমৎকার সুশৃংখল ও সুদৃঢ় সাম্রাজ্য, উক্ত আয়াতে এই অনুভূতিকেই জাগানোর চেষ্টা করা হয়েছে। হাজারো তালাশ করেও এই বিশ্বলোকের কোন রকম দোষ-ত্রুটি , অসম্পূর্ণতা, কিংবা বিশৃংখলার সন্ধান পাওয়া যাবে না। এক সময় এ সাম্রাজ্যের কোন অস্তিত্ব ছিল না।

সূরা মূলক সম্পর্কে বিবরণ

মহান আল্লাহই একে অস্তিত্ব দান করেছেন এবং এর পরিচালনা, ব্যবস্থাপনা ও শাসনকার্যের সমস্ত ইখতিয়ার নিরংকুশভঅবে তারই হাতে। সাথে একথাও বর্ণনা করা হয়েছে যে এ পরম জ্ঞানগর্ভ ও যুক্তিসংগত ব্যবস্থাসঙ্গত ব্যবস্থার মধ্যে তাকে উদ্দেশ্যহীনভাবে সৃষ্টি করা হয়নি, বরং এখানে তাকে পরীক্ষা করার জন্য পাঠানো হয়েছে। তার শুধু সৎকর্ম দ্বারাই সে এ পরীক্ষায় সফলতা লাভ করতে সক্ষম।

আখেরাতে কুফরীর যে ভয়াবহ পরিণাম দেখা দেবে ৬ থেকে ১১ নং আয়াতে তা বর্ণনা করা হয়েছে। এখানে মানুষকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে যে, তোমরা যদি এ পৃথিবীতে নবীদের কথা মনে নিয়ে নিজেদের আচরণ ও চাল-চলন সংশোধন না করো তাহলে আখেরাতে তোমরা নিজেরাই একথা স্বীকার করতে বাধ্য হবে যে, তোমাদের যে শাস্তি দেয়া হচ্ছে প্রকৃতপক্ষে তোমরা তার উপযোগী। 

১২ থেকে ১৪ নং আয়াতে এ পরম সত্যটি বুঝানো হয়েছে যে, স্রষ্টা তাঁর সৃষ্টি সম্পর্কে বেখবর থাকতে পারেন না। তিনি তোমাদের গোপন ও প্রকাশ্য প্রত্যেকটি কাজ ও কথা এমনকি তোমাদের মনের কল্পনাসমূহ পর্যন্ত অবগত। 

১৫ থেকে ২৩ নং আয়াতে পরপর কিছু অবহেলিত সত্যের প্রতি ইঙ্গিত দিয়ে সে সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা করার আহবান জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে,’ এ মাটির প্রতি লক্ষ্য করে দেখো। এর ওপর তোমরা নিশ্চিন্তে আরামে চলাফেরা করছো এবং তা থেকে নিজেদের প্রয়োজনীয় রিযিক সংগ্রহ করছো। আল্লাহ তা’আলাই এ যমীনকে তোমাদের আনুগত করে দিয়েছেন। তা না হলে যে কোন সময় এ যমীনের ওপর ভূমিকম্প সংঘটিত হয়ে তা তোমাদেরকে মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে পারে, কিংবা এমন ঝড়- ঝাঞ্চা আসতে পারে যা তোমাদের সবকিছু লণ্ডভণ্ড করে দেবে। মাথার ওপরে উড়ন্ত পাখীগুলোর প্রতি লক্ষ্য করো।

আল্লাহই তো ওগুলোকে শূন্যে ধরে রাখেন। নিজেদের সমন্ত উপায়-উপকরণের প্রতি গভীরভাবে লক্ষ করে দেখো। আল্লাহ যদি তোমাদের শাস্তি দিতে চান তাহলে এমন কে আছে, যে তোমাদেরকে রক্ষা করতে পারে? আর আল্লাহ যদি তোমাদের রিযিকের দরজা বন্ধ করে দেন, তাহলে এমন কে আছে, যে তা খুলে দিতে পারে? তোমাদেরকে প্রকৃত সত্য জানিয়ে দেয়ার জন্য এগুলো সবই প্রস্তুত আছে।

কিন্তু এগুলোকে তোমরা পশু ও জীব-জন্তুর দৃষ্টিতে দেখে থাকো। পশুরা এসব দেখে কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। মানুষ হিসেবে আল্লাহ তোমাদেরকে যে শ্রবণ ও দৃষ্টিশক্তি এবং চিন্তা ও বোধশক্তি সম্পন্ন মস্তিষ্ক দিয়েছেন , তা তোমরা কাজে লাগাও না। আর এ কারণেই তোমরা সঠিক পথ দেখতে পাও না।’

২৪ থেকে ২৭ নং আয়াতে বলা হয়েছে যে, অবশেষে একদিন তোমাদেরকে নিশ্চিতভাবে আল্লাহর সামনে হাজির হতে হবে। নবীর কাজ তোমাদেরকে সেদিনটির আগমনের সময় ও তারিখ বলে দেওয়া নয়, বরং তার কাজ হল সেদিনটির আসার আগেই তিনি তোমাদের সাবধান করে দেবেন। 

২৪ থেকে ২৭ নং আয়াতে বলা হয়েছে যে, অবশেষে একদিন তোমাদেরকে নিশ্চিতভাবে আল্লাহর সামনে হাজির হতে হবে।

২৮ থেকে ২৯ নং আয়াতে মক্কার কাফেরদের কিছু কথার জবাব দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে যে, ‘তোমাদেরকে সৎপথের দিকে আহবানকারীরা ধ্বংস হয়ে যাক বা আল্লাহ তাদের প্রতি রহম করুক তাতে তোমাদের ভাগ্যের পরিবর্তন কি করে হবে? তোমরা নিজের জন্য চিন্তা করো। আল্লাহর আযাব যদি তোমাদের ওপর এসে পড়ে তাহলে কে তোমাদেরকে রক্ষা করবে? যারা আল্লাহর ওপর ঈমান এনেছে এবং যাঁরা তাঁর ওপরে তাওয়াক্কুল করেছে তোমরা মনে করছো তারা গোমরাহ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এমন এক সময় আসবে যখন প্রকৃত গোমরাহ কারা তা প্রকাশ হয়ে পড়বে।’

অবশেষে মানুষের সমানে একটি প্রশ্ন রাখা হয়েছে এবং সে সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা করে দেখতে বলা হয়েছেঃ মরুভূমি ও পবর্তময় আরবভূমিতে যেখানে তোমাদের জীবন পুরোটাই পানির ওপর নির্ভরশীল, পানির এসব ঝরণা ভূগর্ভ থেকে বেরিয়ে এসেছে। এসব জায়গায় পানির উৎসগুলো যদি ভুগর্ভের আরো নিচে নেমে উধাও হয়ে যায় তাহলে আর কোন শক্তি আছে, যে এই সঞ্জীবনী -ধারা তোমাদের কাছে ফিরিয়ে দিতে পারে?

সূরা মূলক এর গুরুত্ব, Importance of Surah Mulk

আল-মুলক অর্থ – সার্বভৌম কর্তৃত্ব। এই সূরাটির প্রথম আয়াতের تَبَارَكَ الَّذِي بِيَدِهِ الْمُلْكُ বাক্যাংশের الْمُلْكُ অংশ থেকে এই সূরার নামটি গৃহীত হয়েছে। সুরা মুলক একটি গুরুত্বপূর্ণ সূরা। এটিতে আল্লাহর সার্বভৌম ক্ষমতা, সৃষ্টির বিশালতা, জাহান্নামের ভয়াবহতা এবং জান্নাতের সুখ-শান্তি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। এই সূরাটি পাঠ করলে পাঠকের অন্তরে আল্লাহর ভয় ও ভালোবাসা জন্মায়

সূরা মূলকের ফজিলত, Fazilat of Surah Mulk

  •  ১. তিরমিযী শরীফের মধ্যে একটি হাদীসে বর্ণিত আছে, যে ব্যক্তি দৈনিক সূরা মূলক পাঠ  করবে, সে করব আযাব ও কিয়ামতের মুছীবত হতে রক্ষা পাবে এবং জান্নাতবাসী হবে।
  • ২. এক হাদিসে বর্ণিত আছে, যে ব্যক্তি নিয়মিত সূরা মূলক পাঠ করবে তাকে কবরের আজাব থেকে সূরা মূলক রক্ষা করবে কেয়ামত পর্যন্ত।
  • ৩. আবু দাউদ (হাদিস নং ১৪০০) বর্ণিত আছে মুহাম্মদ (সঃ ) বলেছেন:  কাল কেয়ামতের মাঠে এক ব্যক্তির উপর জাহান্নাম ওয়াজিব হয়ে গেছিলো। কিন্তু সে সূরা মূলক নিয়মিত পাঠ করতো। তখন সূরা মূলক আল্লাহকে বলবে উমুক ব্যক্তিকে আপনি ক্ষমা করে দিন।  আল্লাহ বললেন না। সূরাটি আবারও বলবে আল্লাহ উমুক ব্যক্তিকে আপনি ক্ষমা করে দিন কারণ সে আমাকে পাঠ করতো। আল্লাহ আবারও না বললেন। এইভাবে সূরাটি আল্লাহর কাছে উমুক ব্যক্তির জন্যে ক্ষমা চাইতেই থাকবে যতক্ষণ না পর্যন্ত আল্লাহ ব্যক্তিটিকে ক্ষমা না করেন।
  • ৪. আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত  মুহাম্মদ (সঃ) বলেছেন, কুরআনে একটি সূরা রয়েছে যা কেবল ত্রিশটি আয়াত। এটি পাঠকারীকে জান্নাতে না নেওয়া পর্যন্ত তার সাথে থাকবে।
  • ৫. মুহাম্মদ (সঃ) বলেছেন “সূরা আল মূলক কবরের আযাব থেকে রক্ষাকারী”
  • ৬. আহমদ, তিরমিযী ও সুনান আল-দারিমি থেকে বর্ণিত, জাবির বলেছিলেন যে তাবা-রাকাল্লাযী বিয়াদিহিল মুলকু (আল-মুলক) এবং আলিফ লাম মীম তানজিল (আস-সাজদা) পড়া না হওয়া পর্যন্ত ঘুমাতে না।
  • ৭. আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস বর্ণনা করেছেন যে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আমার আকাঙ্ক্ষা / ভালবাসা যে সূরাতুল মুলক প্রত্যেক মুসলমানের অন্তরে থাকুক।’
  • ৮. তিরমিযী হাদিসে তে বর্ণিত আছে, ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেনঃ মুহাম্মাদ (সাঃ) এর একজন সাহাবী  না বুঝে একটি কবরের উপরে তাঁর তাঁবু স্থাপন করেছিলেন।  এবং সে করব থেকে শুনতে পেলো তাবা-রাকাল্লাযী বিয়াদিহিল মুলকু শেষ পর্যন্ত পাঠ করছে। তিনি গিয়ে মুহাম্মাদ (সাঃ) ঘটনাটি বললেন। এবং জানতে চাইলেন কে এটা পাঠ করছিলো? উত্তরে মুহাম্মাদ (সাঃ) বললেন “এটা হলো প্রতিরোধকারী, আল্লাহ তায়ালার আযাব থেকে রক্ষাকারী”
  • ১০. মিশকাত আল মিসবাহ তে বর্ণিত আছে, খালেদ বিন মাদাম সূরা আল মুলক ও আস-সাজদা সম্পর্কে বলেছেন যে “এই দুটি সূরা কবরে তাদের আবৃতিকারীর জন্য লড়াই করবে এবং বলবে, হে আল্লাহ! আমরা যদি আপনার বইয়ের (কুরআনের ) অন্তর্ভুক্ত হই তবে তাঁর অনুগ্রহে আমাদের সুপারিশ গ্রহণ করুন। যদি আমরা না হই তবে আমাদের নির্মূল করুন। এই সূরাগুলি পাখির মতো ডানা ছড়িয়ে দেবে এবং ব্যক্তিকে কবরের আযাব থেকে রক্ষা করবে।”
  • ১১. ইবনে উমর (রাঃ ) বলেছিলেন যে, একবার মুহাম্মদ (সাঃ) সূরা মূলকের দ্বিতীয় আয়াত পাঠ করছিলেন  (তিনিই মৃত্যু ও জীবন সৃষ্টি করেছেন যাতে তিনি তোমাদের পরীক্ষা করতে পারেন যে তোমাদের মধ্যে কে কর্মে উত্তম) এবং যখন তিনি “কাজের মধ্যে উত্তম” কথাটি পৌঁছেছিলেন, তখন তিনি থামিয়ে ব্যাখ্যা করলেন। “কর্মে আরও ভাল” সেই ব্যক্তি হ’ল যে ব্যক্তি আল্লাহ যা নিষেধ করেছেন সে বিষয় থেকে সর্বাধিক পরিহার করে এবং সর্বদা তাঁর আনুগত্য করতে প্রস্তুত থাকে। “
সূরা মূলকের ফজিলত

শেষ কথা, Conclusion 

উপরিউক্ত আলোচনা থেকে বোঝা যাচ্ছে যে ইসলামে সূরা মূলক এর কতটা গুরুত্ব রয়েছে। যারা এই বিষয়ে অবগত ছিলেন না আশা করি আমাদের প্রতিবেদনের মধ্য দিয়ে আপনারা এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

Oindrila Banerjee

Oindrila Banerjee, a master's graduate in Modern History from Calcutta University, embodies a diverse range of passions. Her heart resonates with the rhythm of creative expression, finding solace in crafting poetic verses and singing melodies. Beyond her academic pursuits, Oindrila has contributed to the educational realm, serving as a teachers' coordinator in a kindergarten English medium school. Her commitment to nurturing young minds reflects her belief in the transformative power of education. Oindrila's guiding principle in life, encapsulated in the motto, "There are two ways of spreading light: to be the candle or the mirror that reflects it,"

Recent Posts