অবশেষে অপেক্ষার অবসান! সুনীতা উইলিয়ামস এবং তাঁর সহকর্মী ব্যারি উইলমোর দীর্ঘ আট মাস পর পৃথিবীতে ফিরে আসছেন।
নাসার তরফে জানানো হয়েছে, সুনিতা উইলিয়ামস বর্তমানে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (ISS) আছেন। নাসার মহাকাশচারী সুনিতা উইলিয়ামস এবং বুচ উইলমোর আট মাসেরও বেশি সময় আইএসএস-এ থাকার পর পৃথিবীতে ফিরে আসছেন। তাদের ফেরার দিনটি প্রথমে নাসার তরফে ১৯ মার্চ দিনটিকে বাছা হলেও সেই দিন এগিয়ে আনা হয়েছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আগামী ১৬ মার্চ ফিরবেন দুই নভশ্চর।

সুনিতা উইলিয়ামস এবং বুচ উইলমোর ২০২৪ সালের জুন থেকে মহাকাশ স্টেশনে বসবাস করছেন। কারিগরি সমস্যার কারণে আট মাসেরও বেশি সময় মহাকাশে থাকার পর পৃথিবীতে ফিরে আসছেন নভোচারী সুনিতা উইলিয়ামস। নাসা ঘোষণা করেছে যে তিনি এবং তার ক্রুমেট বুচ উইলমোর স্পেসএক্স ক্রু ড্রাগন ক্যাপসুলে করে ফিরে আসবেন।
দীর্ঘদিন ধরে মহাকাশে আটকে থাকার পর সুনীতা উইলিয়ামসের ফেরা নিয়ে তৈরি হয়েছে নানা জল্পনা। মহাকাশ স্টেশনে বোয়িং স্টারলাইনারে ত্রুটির কারণে তাদের প্রত্যাবর্তন স্থগিত করা হয়েছিল। এরপরে তাদের ফেরা নিয়ে তৈরি হয়েছিল অনিশ্চয়তা। তবে নাসা এবং স্পেসএক্স যৌথভাবে তাদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করেছে।
এই খবরটি নিশ্চিতভাবে ভারতীয় বংশোদ্ভূত সুনীতা উইলিয়ামসের ভক্তদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর তারা তাদের প্রিয় মহাকাশচারীকে আবার দেখতে পাবেন।
ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহাকাশচারী সুনিতা উইলিয়ামসের স্বাস্থ্য নিয়ে নাসা জানিয়েছে যে তিনি সুস্থ আছেন। নাসা বলেছে, সুনিতা উইলিয়ামস এবং তার সঙ্গী ব্যারি উইলমোরের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তার কোন কারণ নেই। দুজনেই সুস্থ আছেন।

দীর্ঘ দিন মহাকাশে থাকার ফলে মহাকাশচারীদের বিশেষত মহিলাদের স্বাস্থ্যের উপর অনেক প্রভাব পড়ে। কিছু সাধারণ সমস্যা হল ওজন কমে যাওয়া, পেশী দুর্বল হয়ে যাওয়া, হাড় দুর্বল হয়ে যাওয়া, চোখ ও হার্ট সংক্রান্ত সমস্যা। কিডনিতে পাথর জমার সমস্যাও হতে পারে। নাসা নিয়মিতভাবে মহাকাশচারীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে এবং তাদের সুস্থ রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়।
সুনিতা উইলিয়ামস এর আগেও বহুবার মহাকাশে গেছেন এবং সেখানে থেকে ফিরে আসার পর তিনি সুস্থ ছিলেন। এই বিষয়ে নাসার বিজ্ঞানীরা খুবই সজাগ আছেন এবং তারা প্রতিনিয়ত সুনিতা উইলিয়ামসের স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ করছেন।