Attention!! ভার্চ্যুয়াল দুনিয়ায় ক্রমবর্ধমান মেটাক্রাইম, আজই হোন সতর্ক

ক্রমবর্ধমান মেটাক্রাইম

মেটাভার্স এর জগত সম্পর্কে বিগত কিছুদিন থেকেই বিভিন্ন ধরনের কথাবার্তা শোনা যাচ্ছে। মেটাভার্সের দুনিয়ায় ক্রমবর্ধমান অপরাধ বর্তমানে আলোড়ন তৈরি করেছে।

স্বাভাবিকভাবেই অনেকের মনে প্রশ্ন উঠছে যে মেটাভার্স আসলে কী? মেটাভার্স হল কাল্পনিক ভার্চুয়াল জগত। এই ভার্চ্যুয়াল জগতে প্রচুর মানুষ একসঙ্গে ইন্টারনেটের সাহায্যে যুক্ত হতে পারেন৷

মেটাক্রাইম

ভার্চ্যুয়ালি গেম খেলতে পারেন, কনসার্টে অংশগ্রহণ করতে পারেন, ঘুরতে যেতে পারেন। টেকনোলজির সাহায্যে এই ভার্চ্যুয়াল জগত তৈরি হয়। সেখানে থাকে ভার্চ্যুয়াল অবতার। এই মেটাভার্সে ঘটে যাওয়া অপরাধই হল মেটাক্রাইম।

সাইবার ক্রাইমের সঙ্গে মেটাক্রাইমের মিল থাকলেও সাইবার ক্রাইম এবং মেটাক্রাইম কিন্তু এক নয়৷ মেটাভার্সের প্রযুক্তি যত উন্নত হচ্ছে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বেনামী অপরাধীর সংখ্যা৷ মেটাক্রাইমে মূলত ‘ ইমার্সিভ ভার্চ্যুয়াল রিয়েলিটি অ্যাটাক’ দেখা যায়। মেটাভার্সের যে কোন ঘটনাই ইউজারদের বাস্তব বলে মনে হয়।

চলতি বছর জানুয়ারি মাসে যুক্তরাজ্যের পুলিশের কাছে মেটাভার্সে একটি 16 বছর বয়সী তরুণীর ভার্চ্যুয়াল অবতার ধর্ষণের শিকার হয় বলে অভিযোগ আসে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে ওই তরুণী বাস্তবে আক্রমণের শিকার না হলেও মানসিক ট্রমার শিকার হয়েছেন৷ বর্তমানে সেই মামলাটি বিচারাধীন। এছাড়াও মেটাক্রাইমের মধ্যে হ্যাকিং সংক্রান্ত ঝুঁকিরও সম্ভাবনা রয়েছে।

সাইবার ক্রাইম

অ্যাপল, মেটা এবং মাইক্রোসফট এর মতো টেক জায়ান্ট গুলি ইতিমধ্যেই মেটাভার্সে প্রচুর বিনিয়োগ করেছে। 2022 সালে অস্ট্রেলিয়ার ই সেফটি কমিশনারের ন্যাশনাল অনলাইন সেফটি সার্ভেতে জানা গেছিল যে 49% মেটাভার্স ইউজার প্রত্যেক মাসে অন্তত একবার মেটাভার্সে প্রবেশ করেছে।   

গবেষণা সংস্থা Gartner এর অনুমান অনুযায়ী 2026 সালে 25 শতাংশ মানুষ প্রতিদিন অন্তত এক ঘন্টা মেটাভার্সে ব্যয় করবে, সেটা কোন কাজের জন্য হোক, পড়াশোনার জন্য হোক কিংবা মনোরঞ্জন অথবা শপিং এর জন্য। প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে অপরাধের সংখ্যাও বাড়বে তাই  সর্তক থাকতে হবে।

Recent Posts