আন্টার্কটিকার ৩৪,০০০ বছরের পুরনো বরফস্তরের নিচে সন্ধান মিলেছে ২৮২৯টি প্রজাতির প্রাণীর। সূর্যের আলো যেখানে পৌঁছায় না, পুষ্টির উৎস যেখানে নগণ্য এবং তাপমাত্রা থাকে হিমাঙ্কের নিচে, সেই চরম পরিবেশে এত সমৃদ্ধ জীববৈচিত্র্যের সন্ধান পাওয়া সত্যিই এক বিস্ময়কর ঘটনা।
কেন এই আবিষ্কার গুরুত্বপূর্ণ?
আন্টার্কটিকার এই তলদেশ, যা এতদিন ‘খুব অবহেলিত’ বা ‘গ্রেটলি আন্ডারএস্টিমেটেড’ বলে বিবেচিত হতো, এখন তা বিজ্ঞানীদের কাছে গবেষণার নতুন দুয়ার খুলে দিয়েছে। গবেষকদের একজন ড. ডিরক ওয়াগনর এখানকার অণুজীবদের বিষয়টি নিয়ে বিশেষভাবে উচ্ছ্বসিত।
বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, এই ধরনের অণুজীব বা অন্যান্য প্রজাতির প্রাণীর উপস্থিতি প্রকৃতির কার্বনচক্রের এক দারুণ প্রমাণ। এটি শুধু স্থানীয় বাস্তুতন্ত্রকে সমৃদ্ধ করে না, বরং জলবায়ু পরিবর্তন যে সমস্ত প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে, তার মোকাবিলা করারও একটি নতুন পথ খুঁজে পেতে সাহায্য করতে পারে।

আন্টার্কটিকার অজানা জীববৈচিত্র্য অনন্য :
আন্টার্কটিকার বন্যজীবন সত্যিই বৈচিত্র্যময় এবং অনন্য। এটি পৃথিবীর একমাত্র মহাদেশ যেখানে কোনো স্থলজ স্তন্যপায়ী প্রাণী নেই। তবে এটি বিভিন্ন ধরনের সামুদ্রিক বন্যপ্রাণী এবং পাখির এক বিশাল আবাসস্থল। এখানে ১৮টি ভিন্ন প্রজাতির পেঙ্গুইনও দেখা যায়, যা এই অঞ্চলের এক অন্যতম আকর্ষণ।
আন্টার্কটিকার গভীর সমুদ্রের তলদেশে সম্প্রতি বিভিন্ন ধরনের অদ্ভুত এবং অজানা প্রাণী আবিষ্কৃত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সমুদ্রের শূকর (Sea Pig), সমুদ্র মাকড়সা এবং একটি বিচিত্র প্রজাপতি-সহ আরও বেশ কিছু নতুন প্রজাতি। এই আবিষ্কারগুলো প্রমাণ করে যে, বরফের নিচেই একটি সম্পূর্ণ ভিন্ন এবং সমৃদ্ধ জীবনচক্র বিদ্যমান থাকতে পারে।
এই নতুন আবিষ্কারগুলি আন্টার্কটিকা সম্পর্কে আমাদের ধারণাকে সম্পূর্ণ বদলে দিয়েছে এবং ভবিষ্যতে আরও অনেক রহস্য উন্মোচনের পথ খুলে দিয়েছে।