আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে হঠাৎই খেয়াল করছেন গাল জুড়ে ছিটে ছিটে কালো দাগ? নাকের পাশে মেছতার ছাপ? পার্লারের কেমিক্যালে ভরসা না করে এবার ঘরোয়া সহজ কিছু টোটকায় মিলবে চমৎকার ফল! হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন—ঘরেই পাওয়া কিছু উপকরণে আপনি পেয়ে যেতে পারেন দামি থেরাপির মতো ত্বকের যত্ন, তাও একদম সুরক্ষিত উপায়ে!
মেছতা বা পিগমেন্টেশন কীভাবে হয়?

সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি, হরমোনের সমস্যা, থাইরয়েডের গোলমাল বা গর্ভনিরোধক ওষুধ—এই সব মিলিয়ে মুখে দেখা দেয় মেছতার দাগ। ত্বকে মেলানিন রঞ্জকের পরিমাণ বেড়ে গেলে মুখে কালো ছোপ পড়ে, যাকে পিগমেন্টেশনও বলা হয়। অনেক সময় তা শুধু রূপচর্চার সমস্যা নয়, মানসিক দুশ্চিন্তার কারণও হয়ে ওঠে।
কিন্তু উপায়? দামি লেজার নয়, বরং ঘরে বসেই করুণ এই ৫ টোটকা—
১. অ্যাপল সিডার ভিনিগার ম্যাজিক!
অর্ধেক জল আর অর্ধেক অ্যাপল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে তুলো দিয়ে মেছতার ওপর লাগান। অ্যাসেটিক অ্যাসিড পিগমেন্টেশনের গভীরে গিয়ে কাজ করে।
২. লেবু আর মধু—প্রাকৃতিক ব্লিচ ও হাইলাইটার!
এক চামচ লেবুর রসের সঙ্গে এক চামচ মধু মিশিয়ে মুখে লাগান। ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। লেবুর ভিটামিন C আর মধুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট একসঙ্গে দাগ হালকা করে।
৩. হলুদ ও দুধ—সৌন্দর্যের যুগলবন্দি
দুধের সঙ্গে এক চিমটে হলুদ মিশিয়ে মুখে মাখুন। এটি নিয়মিত ব্যবহার করলে ত্বকের কালচেভাব দূর হয়। হলুদের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান পিগমেন্টেশন কমাতে দারুণ কার্যকর।

৪. দই ও ওটমিল প্যাক
এক চামচ দইয়ের সঙ্গে এক চামচ ওটমিল মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। ত্বক হবে নরম, দাগছোপও হবে হালকা।
৫. সানস্ক্রিন ছাড়া এক পা-ও নয়!
বাইরে বেরনোর আগে মুখে অবশ্যই SPF ৫০-এর সানস্ক্রিন লাগান। শুধু চিকিৎসা করলেই হবে না, ভবিষ্যতের ক্ষতির হাত থেকেও ত্বককে রক্ষা করতে হবে।
মেছতার দাগ গায়ের জোরে ঢাকার চেয়ে, ভেতর থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করুন। কেমিক্যালে নয়, প্রকৃতিতেই রয়েছে সৌন্দর্যের আসল চাবিকাঠি। আর এই ঘরোয়া টোটকাগুলি নিয়মিত মেনে চললেই আপনি ফিরে পাবেন দাগহীন, উজ্জ্বল, স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ত্বক।
শেয়ার করে দিন এই আর্টিকেল, আপনার প্রিয়জনদেরও জানাতে ভুলবেন না এই দারুণ ঘরোয়া রহস্য!