দেশি ঘি যে শুধুমাত্র খাবারের স্বাদ বাড়িয়ে তোলে, তা কিন্তু নয়। দেশি ঘি ত্বকের জন্যও খুব উপকারী। এর মধ্যে ওমেগা-3, ওমেগা-9, ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন-এ, ভিটামিন-কে, ভিটামিন-ই, ক্যালসিয়াম এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের মতো বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা ডার্ক সার্কেল দূর করে, ত্বকের আর্দ্রতাকে বাড়িয়ে তোলে এবং ত্বক উজ্জ্বল করে তোলে। ত্বকের যত্নে কীভাবে দেশি ঘি ব্যবহার করা যায় চলুন জেনে নেওয়া যাক –
ডার্ক সার্কেল দূর করতে ব্যবহার করুন
দেশি ঘি এর মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা চোখের নিচের কালো দাগ কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও এতে উপস্থিত ভিটামিন চোখের ফোলাভাব দূর করে। ঘুমানোর আগে দেশি ঘি গরম করে চোখের নিচে লাগাতে হবে, তারপর হালকা হাতে ম্যাসাজ করতে হবে। এভাবে সারা রাত রেখে দিয়ে পরের দিন ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।
ময়েশ্চারাইজার হিসেবে ব্যবহার করুন
ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ দেশি ঘি ত্বককে হাইড্রেটেড রাখে এবং ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। শুষ্ক ত্বক উজ্জ্বল করতে চাইলে দেশি ঘি এর সাথে হলুদ মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন।
ফেস মাস্ক তৈরি করে লাগান
প্রাণহীন ত্বককে পুনরুজ্জীবিত করতে এক চামচ দেশি ঘি, এক চামচ মধু এবং কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে মুখে লাগান, তারপর 20 মিনিট রেখে হালকা গরম জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।এই ফেসপ্যাকের সাহায্যে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকবে। মধু এবং লেবুর রস মুখের দাগ দূর করবে এবং দীর্ঘ সময়ের জন্য ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় থাকবে।
বলিরেখা কমাতেও কার্যকরী
অকাল বার্ধক্যের প্রভাব যেমন বলিরেখার হাত থেকে মুক্তি পেতে দেশি ঘি দারুণ কার্যকরী। এর জন্য দেশি ঘি নিয়ে 5 মিনিটের জন্য মুখে ম্যাসাজ করতে হবে। দেখবেন ত্বক টানটান হয়ে যাবে। এই অ্যান্টি-এজিং ম্যাসাজ আপনার ত্বকের বয়স কমিয়ে দেবে।
শুষ্ক ঠোঁট নিরাময়ে ব্যবহার করুন
যদি আপনার ঠোঁট কালো হয়ে যায় বা রুক্ষ হয়ে যায়, তাহলে তার জন্যও দেশি ঘি ব্যবহার করা যেতে পারে। এর জন্য ঘুমানোর আগে দেশি ঘি দিয়ে কয়েক মিনিট ঠোঁট আলতোভাবে ম্যাসাজ করুন। এতে ঠোঁটের কালো ভাব দূর হবে এবং ঠোঁট ময়েশ্চারাইজড থাকবে।