“নো মেকআপ লুক” একটি জনপ্রিয় মেকআপ স্টাইল, যেখানে মেকআপ কম ব্যবহার করা হয় এবং এটি এমনভাবে প্রয়োগ করা হয় যেন তা প্রাকৃতিক এবং অল্প পরিমাণে হয়। এটি এমন একটি মেকআপ কৌশল, যেখানে মেকআপ ব্যবহার করা হলেও দেখতে স্বাভাবিক মনে হয়। এই লুকে ত্বককে সতেজ ও উজ্জ্বল দেখানোর উপর জোর দেওয়া হয়, কিন্তু মেকআপের অতিরিক্ত আস্তরণ বোঝা যায় না।
“নো মেকআপ লুক” সম্পর্কে কিছু আকর্ষণীয় তথ্য যা আপনি জানতেন না:

- এটি ২০০০-এর দশকের মাঝামাঝি জনপ্রিয় হয় : যদিও প্রাকৃতিক মেকআপ ব্যবহার অনেক আগে থেকেই প্রচলিত ছিল, “নো মেকআপ লুক” একে একে মূলধারায় আসে ২০১০-এর দশকে, যখন স্টাইল আইকন যেমন জেনিফার লোপেজ এবং কিম কার্দাশিয়ান এটির জনপ্রিয়তা বাড়াতে সহায়ক ছিলেন।
- আসল মেকআপ এবং “নো মেকআপ” মেকআপের মধ্যে পার্থক্য : “নো মেকআপ লুক” সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে, আপনাকে মেকআপের পাতলা স্তর ব্যবহার করতে হবে, যা আসলে বেশ কিছু পণ্যের উপস্থিতির মাধ্যমে তৈরি করা হয়, যেমন লাইট-বেসড ফাউন্ডেশন, হাইলাইটার, বিউটি ক্রিম, এবং ন্যুড টোন লিপস্টিক। মেকআপ কম দেখানোর জন্য সঠিক টেকনিকের প্রয়োজন।
- ব্লেমিশ কভার আপের জন্য মেকআপ ব্যবহার : “নো মেকআপ লুক” অগণিত লোকের কাছে আসল সৌন্দর্যকে প্রাকৃতিকভাবে উদ্ভাসিত করার একটি উপায় হিসেবে এসেছে। তবে, এর মানে এই নয় যে, সবার পছন্দের মেকআপের কোনো রকম লুক বা কভারেজ নেই। এক্ষেত্রে মেকআপ এমনভাবে ব্যবহার করা হয় যাতে এটি মনে হয় যেন আপনি মেকআপ ব্যবহার করছেন না।
- এটি ত্বককে আরও সুস্থ রাখতে সাহায্য করে : অনেক সময়, অতিরিক্ত মেকআপ ব্যবহারে ত্বকের পোর বন্ধ হতে পারে এবং ব্রণ বা অ্যালার্জির সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। নো মেকআপ লুকের মাধ্যমে ত্বক অনেক বেশি শ্বাসপ্রশ্বাস নিতে পারে এবং দীর্ঘ সময়ে এটি ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করতে পারে।
- এটি আত্মবিশ্বাসের প্রতীক হতে পারে : “নো মেকআপ লুক” অনেক সময় নিজের মধ্যে আত্মবিশ্বাস তৈরি করতে সাহায্য করে, যেখানে আপনি নিজের প্রকৃত সৌন্দর্য এবং ব্যক্তিত্বে বিশ্বাস করতে পারেন।

এই ধরনের মেকআপ স্টাইল এখন প্রচুর জনপ্রিয় এবং বিশ্বজুড়ে অনেকেই এটি মেনে চলেন!