আপনি যদি ঘরোয়া পদ্ধতিতে রূপচর্চা করতে পছন্দ করেন তাহলে কাঁচা দুধ আপনার অনেক উপকারে আসবে। কাঁচা দুধের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণ। যাদের ত্বক শুষ্ক তাদের জন্যও কাঁচা দুধ বেশ উপকারী। কাঁচা দুধের মধ্যে থাকা ভিটামিন-এ, ডি,ই ত্বকের রিঙ্কেলস দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়াও দুধের মধ্যে উপস্থিত ল্যাকটিক অ্যাসিড সানবার্ন থেকে ত্বককে রক্ষা করে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখে।
কাঁচা দুধের ফেসপ্যাক –
যারা ব্রণর সমস্যায় ভুক্তভোগী তারা মুলতানি মাটি এবং দুধের ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে পারেন। এর জন্য একটি পাত্রে 3 চামচ মুলতানি মাটি আর 1.5 চামচ কাঁচা দুধ এবং দু ফোঁটা গোলাপ জল মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে। তারপর সেই পেস্ট মুখের মধ্যে লাগিয়ে 10 মিনিট রেখে ঠান্ডা জলে ধুয়ে ফেলতে হবে৷ সপ্তাহে 2-3 বার এই ফেসপ্যাকটি ব্যবহার করলে অনেক উপকার পাবেন।
কাঁচা দুধের স্ক্রাব –
কাঁচা দুধের স্ক্রাব তৈরি করার জন্য 2 চামচ দুধের সঙ্গে 2 চামচ বেসন, 1 চামচ চিনি এবং 1 চামচ মধু মিশিয়ে নিতে হবে। তারপর সেই পেস্ট মুখে, ঘাড়ে, গলায় মেখে 15 মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে। সপ্তাহে দুইবার এই স্ক্রাবটি লাগালে ত্বকের মৃত কোষ, ব্ল্যাকহেডস সহজেই দূর হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে বেসনের পরিবর্তে চালের গুঁড়োও ব্যবহার করা যেতে পারে।
কাঁচা দুধের ময়েশ্চারাইজার –
ফ্রিজের ঠান্ডা দুধ তুলোয় ভিজিয়ে মুখে লাগিয়ে 15 মিনিট রেখে ধুয়ে নিতে হবে। কয়েক দিনের মধ্যেই শুষ্ক ত্বকের কোমলতা ফিরে আসবে।
কাঁচা দুধের পাশাপাশি প্রতিদিন ঘুমোতে যাওয়ার আগে দুধের সর মুখে মেখে কিছুক্ষণ রেখে ঠান্ডা জলে মুখ ধুয়ে নিলে খুব দ্রুত ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে।