কাঁচা দুধ শুধু স্বাস্থ্যের জন্যই ভালো নয়, ত্বকের যত্নেও এর অনেক গুণ রয়েছে। রূপচর্চায় কাঁচা দুধ ব্যবহার করা হয়। কাঁচা দুধে ভিটামিন, প্রোটিন, ল্যাকটিক অ্যাসিড থাকে। তাই এটি ত্বকের যত্নে ভালো কাজ করে। কাঁচা দুধ দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করা যায়, ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখা যায়।
রূপচর্চায় কাঁচা দুধ ব্যবহার করার কিছু উপকারিতা নিচে উল্লেখ করা হলো:

- প্রাকৃতিক ক্লিনজার: কাঁচা দুধ ত্বকের জন্য একটি চমৎকার ক্লিনজার হিসেবে কাজ করে। এটি ত্বকের ময়লা ও অতিরিক্ত তেল দূর করতে সাহায্য করে।
- ময়েশ্চারাইজার: কাঁচা দুধ ত্বকের প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। এটি ত্বককে নরম ও মসৃণ রাখতে সাহায্য করে।
- টোনার: কাঁচা দুধ ত্বকের টোনার হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। এটি ত্বকের পিএইচ ব্যালেন্স ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
- উজ্জ্বল ত্বক: কাঁচা দুধ ব্যবহারে ত্বক উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।
- বয়সের ছাপ কমায়: কাঁচা দুধ ত্বকের বয়সের ছাপ কমাতে সাহায্য করে।
- রোদে পোড়া ভাব কমায়: কাঁচা দুধ ত্বকের রোদে পোড়া ভাব কমাতে সাহায্য করে।
- ত্বকের সংক্রমণ কমায়: কাঁচা দুধ ত্বকের সংক্রমণ কমাতে সাহায্য করে।
কাঁচা দুধ মুখে দিলে ত্বকের যত্ন হয় এবং ত্বক উজ্জ্বল হয়। কাঁচা দুধে ভিটামিন A, D, E, ল্যাকটিক অ্যাসিড, প্রয়োজনীয় পুষ্টি, এনজাইম, এবং উপকারী ব্যাকটেরিয়া থাকে। তাই ত্বকের যত্নে কাঁচা দুধ ব্যবহার করা যায়। কাঁচা দুধ ব্যবহারের কিছু উপায়:

- সরাসরি ব্যবহার: প্রথমে ত্বক পরিষ্কার করে নিন। এরপর তুলোর সাহায্যে কাঁচা দুধ ত্বকে লাগান। কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন।
- ফেসপ্যাক: কাঁচা দুধের সাথে মধু বা হলুদ মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করে ব্যবহার করতে পারেন; অথবা ছোট একটি পাত্রে ১ টেবিল চামচ কাঁচা দুধ এবং ১ টেবিল চামচ চন্দনের গুঁড়ো মিশিয়ে নিয়ে মিনিট ১৫ এই মিশ্রণ মুখে মেখে রেখে, তারপর ঈষদুষ্ণ জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
- স্ক্রাব: কাঁচা দুধের সাথে চিনি মিশিয়ে স্ক্রাব হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। রূপচর্চায় কাঁচা দুধ ব্যবহার করা খুবই উপকারী। এটি ত্বককে পরিষ্কার, ময়েশ্চারাইজড ও উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে।