মেসি কে চেনে না এমন হয়তো আমাদের দেশে তথা সারা বিশ্বে কেউ নেই। ফুটবলের ইতিহাসে মেসি এক অন্যতম জনপ্রিয় খেলোয়াড় হিসেবে পরিচিত। লিওনেল মেসি হলেন আর্জেন্টিনার একজন বিখ্যাত ফুটবলার, এবং তিনি আজেন্টিনা ফুটবল দলের অধিনায়কও। বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে তিনি বিশ্বখ্যাত।
লিওনেল মেসি খেলোয়াড় হিসেবে ৫ বার গোল্ডেন শু জয় করে নতুন রেকর্ড গড়েছেন, পাশাপাশি তিনি ৪ বার ফিফা বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের খেতাবও জয় করেছিলেন। তিনি নিজের খেলার ক্যারিয়ারে বহু রেকর্ড তৈরি করেছেন এবং নিজেই আবার সেগুলো ভেঙে নতুন রেকর্ড গড়েছেন।
লিওনেল মেসি এর জন্ম ও পরিবার পরিচয়, Lionel Messi Birth and Family Identity
আর্জেন্টিনার রোজারিওতে এক শ্রমজীবী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন লিওনেল মেসি। ১৯৮৭ সালের ২৪ জুন তাঁর জন্ম হয়। মেসির পুরো নাম লিওনেল আন্দ্রেস মেসি। মেসির বাবার নাম হোর্হে মেসি, যিনি পেশায় এক কারখানার কর্মী ছিলেন এবং মা সেলিয়া ছিলেন একজন খণ্ডকালীন পরিচ্ছন্নতাকর্মী।
ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কিছু কথা, Personal life
মেসি নিজের ব্যক্তিগত জীবনে দীর্ঘসময় ধরে বান্ধবী আন্তোনেল্লা রোকুজ্জোর সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে রয়েছেন, তাদের সম্পর্ক বহু বছর ধরে ছিল এবং একসাথেই থাকতেন দুজন। মেসি তার বান্ধবী আন্তোনেল্লার সাথে বহু বছর ধরে সম্পর্কে থাকার পর ২০১৭ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তবে বিয়ের পূর্বেই তাদের দুই সন্তানের জন্ম হয়। তাদের নাম হল থিয়াগো, (২০১২), মাত্তেও (২০১৫) এবং সিরো মেসি।
লিওনেল মেসির নেট ওয়ার্থ, Lionel Messi Net Worth
বিশ্বের সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া ফুটবলারদের অন্যতম একজন লিওনেল মেসি। লিওনেল মেসিকে অনেকবার বিভিন্ন ফুটবল ক্লাব তাদের হয়ে খেলার জন্য প্ররোচিত করেছিল এবং অনেক বড় বাজেট পেশ করেন, কিন্তু তিনি বার্সেলোনা এফসির প্রতি সবসময়ই বিশ্বস্ত থেকেছেন।
২০১৮ সালের বিভিন্ন জরিপ থেকে জানা যায় যে মেসির মূল বেতন ১৬ মিলিয়ন ইউরো থেকেও বেশি, এর থেকে অনুমান করা যায় যে তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ১১০ মিলিয়ন ইউরো থেকেও বেশি। বলতে গেলে ফুটবল কিংবদন্তি ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো এবং বাস্কেটবল খেলোয়াড় লেবোর্ন জেমসের পরে লিওনেল মেসি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেতনভোগী ফুটবলার তথা সারা বিশ্বে তৃতীয় সর্বোচ্চ বেতনভোগী ক্রীড়াবিদ হিসেবে ফুটবল খেলার সাথে যুক্ত।
বিশ্বের সর্বকালের সেরা ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মেসি অ্যাডিডাস, পেপসি, ইএ স্পোর্টস এবং তুর্কি এয়ারওয়েজের মতো বেশ কিছু নামী দামী কোম্পানির অনুমোদনের সাথে ফুটবল জগতের বাণিজ্যিক মুখ হয়ে উঠেছেন।
লিওনেল মেসির ফুটবল খেলার শুরুর দিক, The beginning of Lionel Messi’s football career
লিওনেল মেসি অনেক অল্প বয়স থেকেই ফুটবল খেলা শুরু করেন। ক্রমে খেলায় তাঁর প্রতিভা স্পষ্ট হতে থাকে। ছোটবেলায় খেলার সময় তাঁর কোচ ছিলেন বাবা, তিনি ছেলেকে ফুটবল খেলার অনুপ্রেরণা দেন। কিন্তু বিপত্তি ঘটে তখন, যখন ১১ বছর বয়সী মেসি গ্রোথ হরমোন ডেফিসিয়েন্সি রোগে আক্রান্ত হন। সেই রোগের প্রভাবে মেসির শারীরিক বিকাশ সঠিকভাবে হচ্ছিল না, তাই তাঁকে ব্যয়বহুল চিকিৎসার সহায়তা নিতে হয়েছিল।
তখন এমন করুণ পরিস্থিতিতে একজন অত্যন্ত প্রতিভাবান খেলোয়াড় হওয়া সত্ত্বেও, মেসির চিকিৎসার খরচ এর ক্ষেত্রে সহায়তা করার জন্য স্থানীয় কোনো ক্লাব এগিয়ে আসেনি। একসময় বার্সেলোনার সাথে লিওনেল মেসিকে ট্রায়াল দেওয়ানো হয়েছিল, তখন কোচ চার্লস রেক্সাচ তাঁর খেলায় মুগ্ধ হয়ে একটি কাগজের ন্যাপকিনে চুক্তি লিখে মেসিকে প্রস্তাব দেন, উক্ত চুক্তিতে মেসির চিকিৎসার জন্য অর্থ প্রদানের বিষয়ও অন্তর্ভুক্ত ছিল। তারপরে মেসি মর্যাদাপূর্ণ এফসি বার্সেলোনা যুব একাডেমির সাথে যুক্ত হন।
ফুটবলের দুনিয়ায় মেসির ক্যারিয়ার, Messi’s career in the world of football
লিওনেল আন্দ্রেস মেসির ক্যারিয়ার শুরু হয় ২০০০ সালে। যদিও তখন তিনি জুনিয়র সিস্টেম র্যাঙ্কের হয়ে খেলতে শুরু করেন। তবে খুব অল্প সময়ের মধ্যে, ৫ টি ভিন্ন দলে খেলা একমাত্র খেলোয়াড় হয়ে ওঠেন তিনি। ক্রমে মাত্র 20 বছর বয়সে, লিওনেল মেসি একজন স্ট্রাইকার হয়ে ওঠেন এবং নিজের খেলার ধরনের পরিপ্রেক্ষিতে বার্সেলোনা দলের এক অপরিহার্য অংশ হয়ে ওঠেন। মেসি ক্রীড়া জগতে আসার পর থেকে ফুটবল মরসুম যত এগিয়েছে, মেসি নিজের খেলায় বহু রেকর্ড গড়েছেন এবং ভাঙতে শুরু করেছেন।
২০১২ সালে, লিওনেল মেসি সর্বাধিক গোল করার জন্য সর্বকালের বিশ্ব রেকর্ড ভেঙেছিলেন। তিনি ২০১৮ সালের শেষ পর্যন্ত বার্সেলোনার সাথে খেলার চুক্তি স্বাক্ষর করেন। ২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক ফুটবলে ৭৬ টি খেলায় ৩১টি গোল করেন। লিওনেল মেসি চিকিৎসার জন্য যখন স্পেনে যান, সেখানে ২০০৪ সালে তাঁকে স্পেনের অনূর্ধ্ব-20 দলের হয়ে খেলার সুযোগ দেওয়া হলেও মেসি আর্জেন্টিনার হয়ে খেলার সিদ্ধান্ত নেন।
২০১৩-১৪ সালে, মেসি প্যারিস সেন্ট-জার্মেই এবং অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে ম্যাচে অংশ নেন। কিন্তু কিছু সমস্যা হওয়ার কারণে তিনি ওই ম্যাচগুলো মাঝপথেই ছেড়ে দেন। তবে ক্রমাগত ইনজুরি থাকার কারণে মেসির ক্যারিয়ার হুমকির মুখে পড়ে, তবুও তিনি হাল ছাড়েননি। ২০১৫ সালের শেষ নাগাদ তিনি অন্যদের তথা নিজের বেশ কিছু রেকর্ড ভেঙেছেন। এই সাফল্য 2016 সাল পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। তাঁর বিভিন্ন রেকর্ডের প্রভাবে তথা নিজের খেলার ধরনের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারেও অনেক সাফল্য অর্জন করেছেন।
২০১৪ ফিফা বিশ্বকাপ, 2014 FIFA World Cup
২০১৪ সালে ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত ফিফা বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনাকে ফাইনালে নিয়ে যাওয়ার জন্য ৪ গোল করেন, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত ফাইনালে আর্জেন্টিনা জার্মানির কাছে হেরে যায়। তবে মেসি উক্ত টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে ‘গোল্ডেন বল’ পুরস্কারে ভূষিত হন। কিন্তু মেসিও টুর্নামেন্টে নিজের খেলা নিয়ে খুশি ছিলেন না। ২০১৬ সালের জুনে, লিওনেল মেসি আন্তর্জাতিক ম্যাচ থেকে অবসরের ঘোষণা দেন, কারণ আর্জেন্টিনা পেনাল্টিতে হেরে কোপা আমেরিকার ফাইনাল থেকে ছিটকে পড়ে। কিন্তু, পরে তিনি নিজের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে ২০১৮ সালের বিশ্বকাপে অংশ নেন।
লিওনেল মেসির প্রাপ্ত সম্মাননা, Awards received by Lionel Messi
আর্জেন্টিনা :
- কোপা আমেরিকা: চ্যাম্পিয়ন: ২০২১, রানার-আপ: ২০০৭, ২০১৫, ২০১৬ তৃতীয় স্থান: ২০১৯
- কনমেবল–উয়েফা কাপ অব চ্যাম্পিয়ন্স/ফিনালিসিমা কাপ: চ্যাম্পিয়ন: ২০২২
- ফিফা বিশ্বকাপ: রানার-আপ: ২০১৪,
- ফিফা বিশ্বকাপ: চ্যাম্পিয়ন ২০২২
একক :
- ফিফা বিশ্বকাপ সোনালী বল/ফিফা বিশ্বকাপ সেরা খেলোয়াড় পুরষ্কার (২): ২০১৪, ২০২২
- ব্যালন ডি অর/ফিফা ব্যালন ডি অর (৭): ২০০৯, ২০১০, ২০১১, ২০১২, ২০১৫, ২০১৯ এবং ২০২১
- ফিফা বর্ষসেরা খেলোয়াড় (১): ২০০৯
- ফিফা শ্রেষ্ঠ পুরুষ খেলোয়াড় (২): ২০১৯, ২০২২
- ইউরোপীয় সোনালী জুতো (৬): ২০০৯-১০, ২০১১-১২, ২০১২-১৩, ২০১৬-১৭, ২০১৭-১৮, ২০১৮-১৯
- উয়েফা ইউরোপের সেরা খেলোয়াড় (২): ২০১১, ২০১৫
- উয়েফা বর্ষসেরা ক্লাব ফুটবলার (১): ২০০৯
- উয়েফা বর্ষসেরা ক্লাব ফরওয়ার্ড (২): ২০০৯, ২০১৯
- লা লিগা বর্ষসেরা খেলোয়াড় (৬): ২০০৮-০৯, ২০০৯-১০, ২০১০-১১, ২০১১-১২, ২০১২-১৩, ২০১৪-১৫
- লা লিগা বর্ষসেরা ফরওয়ার্ড (৭): ২০০৮-০৯, ২০০৯-১০, ২০১০-১১, ২০১১-১২, ২০১২-১৩, ২০১৪-১৫, ২০১৫-১৬
- লা লিগা মৌসুমসেরা দল: ২০১৪-১৫, ২০১৫-১৬
- উয়েফা লা লিগা মৌসুমসেরা দল: ২০১৫-১৬, ২০১৬-১৭
- লা লিগা বিদেশি বর্ষসেরা খেলোয়াড় (৩): ২০০৭, ২০০৯, ২০১০
- লা লিগা আইবেরো-আমেরিকান বর্ষসেরা খেলোয়াড় (৫): ২০০৭, ২০০৯, ২০১০, ২০১১, ২০১২
- পিচিচি ট্রফি (৮): ২০০৯-১০, ২০১১-১২, ২০১২-১৩, ২০১৬-১৭, ২০১৭-১৮, ২০১৮-১৯, ২০১৯-২০, ২০২০-২১
- কোপা আমেরিকা সেরা খেলোয়াড় (২): ২০১৫, ২০২১
- কোপা আমেরিকা গোল্ডেন বুট (১): ২০২১
- কোপা আমেরিকা প্রতিযোগিতার সর্বোচ্চ সহায়তা প্রদানকারী (৪): ২০১১, ২০১৫, ২০১৬, ২০২১।
- কোপা আমেরিকা প্রতিযোগীতার যুব সেরা খেলোয়াড় (১): ২০০৭।
- কোপা আমেরিকা সেরা একাদশ (৪): ২০০৭, ২০১৫, ২০১৬, ২০২১
- ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ স্বর্ণ গোলক (২): ২০০৯, ২০১১
- ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ রৌপ্য গোলক (১): ২০১৫
- ওয়ার্ল্ড সকার যুব বর্ষসেরা খেলোয়াড় (৩): ২০০৬, ২০০৭, ২০০৮।
- ওয়ার্ল্ড সকার বর্ষসেরা খেলোয়াড় (৩): ২০০৯, ২০১১, ২০১২।
- ওয়ার্ল্ড সকার সর্বকালের সেরা একাদশ (১): ২০১৩।
- ওঞ্জ দি’অর (৪): ২০০৯, ২০১১, ২০১২, ২০১৮।
- ২০১০ সালে কোন বিজয়ী ছিলনা।
- আইএফএফএইচএস বিশ্বের সর্বোচ্চ গোলদাতা (২): ২০১১, ২০১২।
- আইএফএফএইচএস শীর্ষ বিভাগের সেরা গোলদাতা (২): ২০১২, ২০১৬
- আইএফএফএইচএস বিশ্বসেরা প্লেমেকার (৩): ২০১৫, ২০১৬, ২০১৭, ২০১৯
লিওনেল মেসির রেকর্ডসমূহ, Lionel Messi Records
আর্জেন্টিনার শক্তিশালী খেলোয়াড় হিসেবে মেসি নিজের ক্যারিয়ারে মোট ৭৫০ টি খেলায় অংশ নিয়েছিলেন। খেলার জীবনে তিনি বহু রেকর্ড গড়েছেন। সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হল –
মেসির বিশ্ব রেকর্ড, Messi’s world record
- সর্বোচ্চ ফিফা ব্যালন ডি অর পুরস্কার: ৭ (২০০৯-১২, ২০১৫, ২০১৯, ২০২১) এক বছরে সর্বোচ্চ গোলের জন্য গিনেস বিশ্ব রেকর্ড পুরস্কার: ৯১ গোল (২০১২ সালে)
- এক বছরে সব ক্লাব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে সর্বোচ্চ গোল: ৭৯ গোল (২০১২ সালে)
- এক মৌসুমে সব ক্লাব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে সর্বোচ্চ গোল: ৭৩ গোল (২০১১-১২ মৌসুমে)
- ঘরোয়া লিগে টানা সর্বোচ্চ খেলায় গোল: ২১ ম্যাচে ৩৩ গোল (২০১১-১২ মৌসুমে)
- প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে এক ক্লাবের হয়ে সর্বোচ্চ গোল: ৬৭২ গোল
- ফিফা ফিফপ্রো বিশ্ব একাদশে সর্বোচ্চ অন্তর্ভুক্তি: ১৬ বার (২০০৭-২০২২)
- সর্বোচ্চ ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলার: ৭
মহাদেশীয় রেকর্ডগুলো হল, The continental records are:
- সর্বোচ্চ ইউরোপীয় সোনালী জুতো: ৬
- উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে সর্বোচ্চ হ্যাট্রিক: ৮টি হ্যাট্রিক (ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর সাথে যৌথভাবে)
- ইউরোপীয়ান কাপের এক খেলায় সর্বোচ্চ গোলদাতা: ৫ গোল (অন্য ১৩ জন খেলোয়াড়ের সাথে যৌথভাবে)
- উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বে সর্বোচ্চ গোল: ৭৮ গোল
- উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে সর্বোচ্চ ভিন্ন দলের বিপক্ষে গোল: ৪০ টি
- উয়েফা সুপার কাপের সর্বোচ্চ গোলদাতা: ৩ গোল (অন্য ৭ জন খেলোয়াড়ের সাথে যৌথভাবে)
- সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে ১০০ উপস্থিতি: ২৮ বছর ৮৪ দিন (২০১৫ সালে)
- প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে টানা ১৮ উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ আসরে গোল
- কোপা আমেরিকার সর্বোচ্চ সহায়তাকারী: ১৭ সহায়তা
- কনমেবল অঞ্চলে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের সর্বোচ্চ গোলদাতা: ২৭ গোল
বার্সেলোনার রেকর্ড, Barcelona record
- বার্সেলোনা ডার্বিতে সর্বোচ্চ গোলদাতা: ২৫ গোল।
- এল ক্লাসিকোতে সর্বোচ্চ গোলদাতা: ২৬ গোল।
- অ্যাথলেটিক-বার্সেলোনা ক্লাসিকোতে সর্বোচ্চ গোলদাতা: ৩২ গোল।
- প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে সর্বোচ্চ গোলদাতা: ৬৭২ গোল।
- ইউরোপীয় প্রতিযোগিতায় সর্বোচ্চ গোলদাতা: ১২৩ গোল।
- লা লিগায় সর্বোচ্চ হ্যাটট্রিক: ৩৬টি।
- সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে সর্বোচ্চ হ্যাটট্রিক: ৪৮টি।
- সর্বাধিক প্রতিযোগিতামূলক ট্রফি জয়: ৪১টি।
মেসি সম্পর্কে বিশেষ কিছু তথ্য, Some special facts about Messi
লিওনেল মেসি একজন মহান ফুটবল খেলোয়াড় হওয়া সত্ত্বেও, তার জীবনধারা ব্যক্তিগত এবং বিনয়ী। তিনি ইউনিসেফের একজন রাষ্ট্রদূত হিসেবেও দীর্ঘসময় ধরে কাজ করেন এবং নিজের এক দাতব্য ফাউন্ডেশনও পরিচালনা করেন। তাঁর এই ফাউন্ডেশন মূলত শিশুদেরকে শিক্ষা ও খেলাধুলার ক্ষেত্রে অনুপ্রাণিত করার কাজে সহায়তা করে। মেসির সাথে সম্পর্কিত বিশেষ কিছু তথ্য হল :
মেসির উচ্চতা : ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি
মাঠে অবস্থান : আক্রমণভাগের খেলোয়াড়
বর্তমান ক্লাব : পারি সাঁ-জেরমাঁ
জার্সি নম্বর : ৩০
উপসংহার, Conclusion
ফুটবল খেলার ইতিহাসে মেসি সর্বাধিক আলোচ্য ব্যক্তিদের মধ্যে একজন। ফুটবল ভক্তরা তাঁকে সংখ্যা রেকর্ড তথা তাঁর খেলার ধরনের উপর ভিত্তি করে অনেক শ্রদ্ধা ও সম্মান করে। মেসির ভক্ত তথা অনুরাগীরা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে রয়েছে। তাঁর খেলা বহু তরুণ খেলোয়াড়দেরকে অনুপ্রাণিত করে।
Frequently Asked Questions:
লিওনেল মেসি একজন ফুটবল খেলোয়াড়।
লিওনেল মেসি’র জন্ম হয় আর্জেন্টিনায় ।
লিওনেল মেসি’র জন্ম হয় ২৪ জুন ১৯৮৭ সালে ।
লিওনেল মেসি’র গোল সংখ্যা ৬০০ টির বেশি ।
লিওনেল মেসি’র বর্তমান ক্লাবের নাম পারি সাঁ-জেরমাঁ ।
লিওনেল মেসি’র উচ্চতা ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি ।