মোশাররফ করিম নামটা দুই বাংলার মানুষের মধ্যে জনপ্রিয়। তিনি নিজের অসাধারণ অভিনয়ের মাধ্যমে সকলের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন। মোশারফ করিমের নাটক দেখেনি এমন বাঙালি হয়তো কমই আছেন।
জন্ম ও পরিবার পরিচয়, Birth and family identity :
মোশাররফ করিমের জন্ম হয় ১৯৭১ সালের- ২২ আগষ্ট। তিনি বাংলাদেশের ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা আব্দুল করিমের সখ ছিল যে তিনি নিজেও একজন অভিনেতা হবেন। কিন্তু বিভিন্ন কারণে তাঁর এই আশা পূরণ হয়নি, অথচ তারই সন্তান মোশারফ করিম আজ দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা।
পিতা আব্দুল করিমের অষ্টম সন্তান মোশারফ পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ার সময়কালে চলে যান বরিশালের গৌড়নদী উপজেলার পিঙ্গলাকাঠী গ্রামের আড়িয়াল খাঁ পাড়ায়, এটি তাঁর দেশের বাড়ি। গ্রামের জীবন আজও তাঁর কাছে অত্যধিক প্রিয়।
শিক্ষাজীবনের বিভিন্ন অভিজ্ঞতা, Educational experiences :
পিঙ্গলাকাঠী গ্রামেই মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশুনা করেন অভিনেতা মোশাররফ করিম। মোশারফের বাবা আব্দুল করিম যাত্রা শিল্পের সাথে যুক্ত ছিলেন কিন্তু কোনোদিনও ছেলের মতো পেশাদার অভিনেতা হয়ে উঠতে পারেন নি। তাঁর বাবার কন্ঠের কবিতা শুনে শৈশবে মোশারফ অভিভূত হয়ে যেতেন।
বলতে গেলে বাবার বিভিন্ন গুণই তাঁকে ধীরে ধীরে অভিনয় জগতের প্রতি টেনে নিয়ে আসে। ছোটবেলা থেকেই অভিনয়ের প্রতি মোশারফ করিম ঝুঁকে ছিলেন। তিনি সবকিছু যখন বই পড়তেন তখন বইয়ের গল্পের বিভিন্ন চরিত্রগুলো নাটকের মত করে পড়তেন।
গ্রামের স্কুলে থাকতে নাটক করা থেকে যাত্রা দেখা এবং যাত্রায় অভিনয় করা, এই সকল অভিজ্ঞতার সাথেই দশম মান পাস করেন তিনি। তখন থেকে তাঁর মধ্যে অভিনয়ের প্রতি ভালবাসা এক অন্য মাত্রা নেয়। তাই তিনি তারিক আনাম খান-এর নাট্যকেন্দ্র মঞ্চদলে যোগদান করেন।
১৯৮৬ সালে মাধ্যমিক পাশ করেন। অতঃপর আবার ঢাকায় চলে আসেন।
ঢাকায় ফিরে নাটকের প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি, Interest in drama :
ঢাকায় থাকাকালীন সময়ে মোশারফ করিমের জীবনে এক নতুন বাঁক আসে এবং তিনি অভিনয়ের দিকে চলতে শুরু করেন। ঢাকায় এসে তিনি থিয়েটার আরামবাগের প্রযোজনায় মমতাজ উদ্দীনের আহমেদের রচনা তথা নির্দেশনায় ‘ক্ষতবিক্ষত’নামক মঞ্চ নাটক দেখতে যান।
মঞ্চ নাটকের আলো, মঞ্চসজ্জা, ইত্যাদি দেখে তিনি নাটকের প্রতি আকৃষ্ট হন এবং সেই দলেই যুক্ত হবার চেষ্টা করেন, কিন্তু নির্দেশক তখন তাঁকে দলে নিতে রাজি হননি কারণ মোশাররফের বয়স কম ছিল।
এদিকে মোশারফ ছিল নাছোড়বান্দা, পরবর্তীতে তাঁর অদম্য ইচ্ছা দেখে মমতাজ উদ্দীন তাঁকে শুধু মাত্র শোয়ের দিন আসার জন্য অনুমতি দেন। সেই দলের হয়ে প্রথমদিকে অভিনয় না করে বরং অন্য কাজ করিয়েছিলেন নির্দেশক, যা তাঁকে থিয়েটারকে বুঝে নিতে সাহায্য করবে। তবে তিনি বেশিদিন সেই দলে কাজ করেন নি।
প্রথাগত নাট্য শিক্ষা, Traditional theater education :
অভিনেতা নির্দেশক তারিক আনাম খান একটি নাটকের দল তৈরি করার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেন, মোশারফ করিম সেখানে অডিশন দিয়ে নির্বাচিত হন। নির্বাচিত সকল সদস্যদের জন্য তারিক আনাম কয়েকদিনের ওয়ার্কশপ এর ব্যবস্থা করেন।
এই ওয়ার্কশপ ছিল মোশাররফের জীবনে প্রথম প্রথাগত নাট্য শিক্ষা। ১৯৯০ সালে দল তৈরি হয়ে নাম দেওয়া হয় ‘নাট্যকেন্দ্র’। এই দলেই শুরু হয় মোশারফ করিমের নাট্যচর্চা। নাট্য শিক্ষায় গুরু হিসেবে তিনি তারিক আমিন স্যারকেই মেনে নিয়েছিলেন।
কোচিং সেন্টারে শিক্ষকতা, Teaching in coaching centers :
মোশাররফ করিম কলেজের অধ্যয়ন এবং নাট্যচর্চা, দুইই সমান তালে চালিয়ে যান। কিন্তু নাটক করে টাকা রোজগার হয় না। সংসারেও এই নিয়ে ঈষৎ সমস্যা হয়। তবুও থিয়েটার চালিয়ে গেছেন তিনি। এদিকে অর্থ উপার্জনের জন্য কোচিং সেন্টারে শিক্ষকতা করাকে বেছে নেন।
অভিনেতার ব্যক্তিগত জীবন, Personal life :
কোচিং সেন্টারে পড়ানোর সময় এক ছাত্রীকে ভালোবাসতে শুরু করে অভিনেতা মোশাররফ করিম। একদিন ছাত্রীকে ডেকে মনের কথা বলে দেন তিনি। ছাত্রীর নাম রোবেনা রেজা জুঁই। তারপর শুরু তাদের প্রেম এবং তারপর বিবাহ। বর্তমানে তাদের এক পুত্র সন্তান রয়েছে, যার নাম রোবেন রায়ান করিম। বর্তমানে বাংলাদেশ টেলিভিশনের পর্দায় রোবেনা নিজেও একজন প্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রী।
অভিনয় জগতে সফলতা, Success in the acting career :
মোশাররফ করিম নাট্য চর্চা থেকে বেরিয়ে ২০০৪-২০০৫ সাল নাগাদ টেলিভিশিন সিরিয়ালের কাজ শুরু করেন।
ছোট পর্দায় মোশারফকে প্রথম দেখা যায় ১৯৯৯ সালে ফেরদৌস হাসান পরিচালিত ‘অতিথি’ নামক একটি একক নাটকের মাধ্যমে। তবে টেলিভিশন নাটকের সুনাম আসে ২০০৪ সালে ‘ক্যারাম’ নাটকের মধ্য দিয়ে।
ক্যারাম নাটকে অভিনয় করে জনপ্রিয়তার সাথে সাথে বাংলাদেশ টেলিভিশনে জায়গা করে নিয়েছিলেন মোশারফ। তারপর থেকে আর তাকে পিছনের দিকে ফিরে তাকাতে হয় নি। আজ সে ওপার ও এপার বাংলার এক স্বনামধন্য অভিনেতা।
চলচ্চিত্রে মোশাররফ করিমের অভিনয়, performance in films :
চলচ্চিত্র জগতে এক ময়রার চরিত্র দিয়ে মোশারফ করিমের প্রবেশ ঘটে। ক্রমে আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন পরিচালক মোস্তাফা সারোয়ার ফারুকী পরিচালিত ‘টেলিভিশন ও থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার’ সিনেমায় অভিনয় করে সুনাম অর্জন করেন তিনি।
সম্মান ও পুরস্কার প্রাপ্তি, Receiving honors and awards :
- ২০০৮ সালে ‘আলমারি’ নাটকের জন্য, ২০০৯ সালে ‘হাউস্ফুল’ নাটকের জন্য, ২০১১ সালে ‘চাঁদের নিজস্ব কোনও আলো নেই’ নাটকের জন্য, ২০১২ সালে ‘জর্দা জামাল’ নাটকের জন্য, ২০১৩ সালে ‘সেই রকম চা খোর’ নাটকের জন্য, ২০১৩ সাকে ‘সিকান্দর বক্স এখন বিরাট মডেল’ এর জন্য, ২০১৪ সালে ‘সেই রকম পান খোর’ নাটকের জন্য, ২০১৫ সালে ‘সিকান্দর বক্স এখন নিজ গ্রামে’ নাটকের জন্য, ২০১৬ সালে ‘ বউগিরি ‘ নাটকের জন্য মেরিল প্রথম আলো পুরস্কার।
- ‘জালালের গল্প’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য পর্তুগালের আভাঙ্কা চলচ্চিত্র উৎসবে পরস্কার পান।
- আরটিভি স্টার এওয়ার্ড পান তিন বার।
- ৪২ তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান ‘কমলা রকেট’ সিনেমার জন্য। যদিও তিনি পুরস্কারটি ফিরিয়ে দেন।
মোশাররফ করিমের অভিনীত নাটক, Dramas starring Mosharraf Karim :
- অতিথি
- হেফাজ ভাই
- দুই রুস্তম
- ফ্লেক্সিলোড
- কিংকর্তব্যবিমূঢ়
- আউট অফ নেটওয়ার্ক
- জুয়া
- সুখের অসুখ
- সিরিয়াস কথার পরের কথা
- সন্ধান চাই
- লস
- ঝাল মুড়ি
- সিটি লাইফ
- বিহাইন্ড দ্যা সিন
- ক্যারাম প্রথম পত্র
- ক্যারাম দ্বিতীয় পত্র
- কথা দিলেম তো
- হাতেম আলি
- জর্দা জামাল
- বউচি
- চাঁদের আলোয় কয়েকজন যুবক
- চাল বাচাল
- অফ দ্যা রেকর্ড
- সাদা গোলাপ
- এ গ্রেট মিস্টেক ইন মাই লাইফ
- আবু করিম
- কোরবান আলীর ব্যাংক ব্যালেন্স
- আবুল কবিরাজ
- আগামীকাল
- আজকের দেবদাস
- আমেরিকা
- অসুখ
- আমি হিমু হতে চাই
- বিভ্রম ভালবাসার গল্প
- বংশ রক্ষা
- গন্তব্যর দিকে
- বনলতা সেন
- বর+বৌ = ?
- বসরাই গোলাবের সৌরভ
- ছাইয়া ছাইয়া
- চ্যালেঞ্জ
- চোর তিথি আর আমি
- কামিং সুন
- দেনমোহর
- দেয়ালহীন দরজা
- দর্প হরণ
- একদা এক বাঘের গলায় হাড় ফুটিয়া ছিল
- ইতি এবং
- ফোর্থ সাবজেক্ট
- হাতা বাবা রিটার্ন
- কোরিয়ান
- ব্যাংকক
- কালো ভ্রমর
- ল্যাইছ ফিতা
- লস প্রজেক্ট
- লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড
- মেঘ বন্ধু
- নাটক শেষ ভালবাসা শুরু
- নৈশভোজ
- পিক পকেট
- পয়েন্ট থ্রী
- পল্টিবাজ
- রঙ্গিন ফানুস
- সংখ্যাতত্ত্ব
- শূন্যস্থান পূরণ
- শূন্যতায় বোনা ঘর
- ঠগবাজ
- ঠুয়া
- তৃতীয় পক্ষ
- ভায়োলিন
- ভূগোল
- ভ্রমর
- বাড়াবাড়ি
- ঢেউ পোলাও ডট কম
- চা অথবা কফি
- বন্ধু আমরা তিনজন
- মানিব্যাগ
- একটি ঘটনা অথবা দুর্ঘটনা
- ভেজাল
- শর্টকাট
- জন্মদিন
- চাইছি তোমার বন্ধুত্ব
- যমজ
- প্রিয় পারভিন
- গরিবের বন্ধু
- কবি বলেছেন
- আন্তনগর
- মোবাইল কোর্ট
- ভুল এবং অনুতপ্ত
- দেবদাস হতে চাই
- সিকান্দার বক্স এখন কক্সবাজারে
- সিকান্দার বক্স এখন পাগল প্রায়
- সিকান্দার বক্স এর হাওয়াই গাড়ী
- সিকান্দার বক্স এখন বান্দরবানে
- সিকান্দার বক্স এখন রাঙ্গামাটি
- সিকান্দার বক্স এখন নিজ গ্রামে
- সোনার ডিম
- প্রথম সূর্যের গল্প
- হারানো সুর
- সিমিলার টু
- কঠিন প্রেম
- লা লাটিম
- ভালবাসার গল্প ফুল
- ভালোবাসার উল্টোপিঠ
- ভালবাসার এবেলা ওবেলা
- চন্দ্র বিন্দু
- গরু চোর
- চোর ও নভেলিস্ট
- শুধু একটু বিরহের জন্য
- একটি নোট
- দূরত্ব বজায় রাখুন
- না মানুষ
- প্রথম প্রেম
- পাইরেসি
- গুগল ডট কম
- একটি ঈদের জন্য
- আতঙ্ক
- মানিকজোড়
- ডানা ভাঙ্গা স্বপ্ন
- অফ দ্যা ফুটবল
- দ্যা নিউ হাতেম আলী
- দেবদাস
- সেই রকম চা খোর
- বউ চোর
- সরল গল্প
- পাপ
- হাই প্রেশার
- সিন্দুক
- চেরাগ
- লাল বাক্স
- ভেজাল মন্ডল
- চিলেকোঠা
- ২০ তারিখ আমার বিয়ে
- চোরের ভবিষ্যৎ
- এলোমেলো শব্দের জলসিঁড়ি
- দ্বিতীয় স্থান থেকে
- প্রেমের জন্য পাগল
- আমি মফিজ
- সিরিয়াস একটা কথা আছে
- প্রেম পাগল
- ঘুম বাবু
- তিন বেকারের কর্মশালা
- চিঠি দিও প্রতিদিন
- সুখ টান
- বন্ধু এবং ভালবাসা
- নিজস্ব সম্পত্তি
- কাজের বুয়া
- পাত্র চাই
- ভণ্ড প্রেমিক
- সেলফি
- জগতি
- হরতাল
- সাধারণ জ্ঞান
- সুপারম্যান
- যমজ ২
- ডেঞ্জার ম্যান
- সেই রকম পানখোর
- ঠাডা
- চান্স মাষ্টার
- দ নয় ধ
- প্রেম ও প্রতিশোধের গল্প
- রতন ডাকাতের দেশটা
- অভিনেতা
- আমি স্পেশাল মানুষ
- বউয়ের জ্বালা
- এল বি ডব্লিউ
- দ্যা বিজনেস অফ বাটপারি
- রাস্কেল
- অসমাপ্ত প্রেমের গল্প
- মেহমান
- শাড়ি
- আষাঢ়ে গল্প
- ঝুলুন্ত বাবুরা
- সেন্সলেস
- জামাই শ্বশুর
- দ্যা নিউ হাতেম আলি
- সেই রকম ঘুষখোর
- হ্যালো
- মীরজাফর
- রঙ
- ব্যাকআপ আর্টিস্ট
- এনালগ ভালবাসা
- সুপারম্যান
- তারা খান
- আসিতেছে তারা খান
- মেডেল
- ক্ষুধা
- অলৌকিক মানুষ
- কৃষকের বন্ধু ফ্লোরা
- আমি ভিলেন হতে চাই
- পুরান ঢাকার ফুল ভাই
- একটি আদর্শ বিদ্যালয়
- আজ শুভ দিন
- সুইচ অফ
- প্যারা
- দাওয়াই
- কথা দিলাম তো
- কালো চশমা
- আপন কথা
- মানবতা
- প্রেমিকা অপহরণ
- রসগোল্লা
- আমি কে
- শত্রু প্রেম
- সাদা সিধে মানুষের গল্প
- প্রপোজ
- দুই বান্দর
- ল্যাম্প
- বান্দরবান
- হাত বদল
- হিটার
- মহিনের পাদুকা জোড়া
- কিড সোলায়মান
- রক
- বউগিরি
- এভারেজ আসলাম
- জান কুরবান
- ধান্দাবাজি
- মিসফায়ার
- এই গল্পটা হাসির
- লায়েক চাঁন দি গ্রেট
- টেস্ট
- আতঙ্ক
- কোনো এক প্রেমিক
- লাভলু
- ঘাড়তেরা বউ
- সেই রকম ঘুষখোর
- গ্রেট চাপাবাজ
- একজন রিকশাওয়ালা
- ফ্লাই ওভার
- ফাঁপর মান্না
- স্মার্টবয়
- স্মার্টবয় এখন মালোশিয়া
- টার্গেট সেকেন্ড হোম
- থার্ড পারসন
- আকান্দা
- বিবেকের লাঠি
- বডিগার্ড হোসেন
- দিবারাত্রি কোরিয়ার সার্ভিস
- ঘাউড়া মজিদ এখন পেরেশানে
- শেখ সাদির সেইসব দিনরাত্রি
- যমজ ৮
- ম্যারিড লাইফে এভারেজ আসলাম
- সদা ভয় সদা লাজ
- সরল মানুষ
- উৎকোচ
- দ্য জেন্টেলম্যান
- এভারেজ আসলাম ইজ নট এ ব্যাচালর
- মাহিনের নীল তোয়ালে
- প্যারা ৪
- অভিনয়
- লাইফ ইজ কালারফুল
- বুলির বেল্কনি
- চোর ও চুরি
- মানুষ অমানুষ
- সব চরিত্র কাল্পনিক নয়
- অভিনন্দন
- ইস্যু
- ইতি ও ভালোবাসা
- মার্গারেট ও চন্ডি কথক
- গুলজার
- জীবন বাবুর চিঠি
- সোনা বৌ
- লক্ষ্মী ছেলে
- ওপেন টি বায়োস্কোপ
- শুধুমাত্র কোম্পানির প্রচারের স্বার্থে
- ফেরারি মন
- যমজ ৯
- ওরে বাবা মান সম্মান
- বিউটি ফোবিয়া
- সান্ত্বনা দে
- ব্রেইন ওয়াশ
- হাই প্রেসার ২
- চশমা পরিবার
- মাহিনের লাল ডায়রি
- সারপ্রাইজ
- আমি একজন হাতেম তাঈ হতে চাই
- অতি লোভে তাঁতি নষ্ট
- প্রফেসর টম এ্যান্ড জেরি
- তগদীর
- এখানে জীবনানন্দ নেই
- হাই প্রেসার
- হাই প্রেসার ২
- উগান্ডা মাসুদ
- যমজ ১০
- গৃহ শিক্ষক দিচ্ছি নিচ্ছি
- ঘাউরা মজিদ এখন ব্যবসায়ী
- ফ্যাটম্যান ফ্যান্টাস্টিক
- হিটলারের মৃত্যু চাই
- দানব
- দরদী মজনু
- ক্যারিয়ার
- বন্ধু আমরা
- আস্থা
- আবুলের ব্রেইন ওয়াশ
- হায় সমশেদ
- হায় বেবি
- বিয়ের দাওয়াত রইলো
- শালার জ্বালা
- নীল দংশন
- লুজার্স
- কবুলিয়তনামা
- রাজন দ্যা কিং
- সেই রকম কাচ্চিখোর
- আদম
- তখনও সূর্য ডুবেনি
- মুই বরিশাইল্লা মুই বাংলাদেশী
- এক বৈশাখী ভোরে
- যে শহরে টাকা ওড়ে
- যমজ ১১
- যমজ ১২
- স্বর্ণমানব-৩
- আই অ্যাম আন্ডার অ্যারেস্ট
- পরী ও পানির বোতল
- গল্পওয়ালা
- রোদের অপেক্ষা
- ডিভোর্স ফটোগ্রাফি
- সাইজ ডাসনট ম্যাটার
- মাটির ব্যাংকে ভালোবাসা
- পাগল মন
- প্রেম বিজ্ঞান
- বনলতা আর জোনাকির গল্প
- এ ডে উইদাউট ফোন
- ভাইরাল মাসুদ
- উচ্চতর ভালোবাসা
- এই বৈশাখী ভোরে
- এখানে তো কোন ভুল ছিলো না
- লুকিয়ে বাঁচুক ভালোবাসা
- ম্যাগনেট বাবু
- কন্ট্রাক
- রাতপ্রহরী ফুলনদেবী
- বোধ
- অনাত্মীয় দম্পতি (২০২১)
- প্রচ্ছদ (২০২১)
- বদলে যাওয়া মানুষ (২০২১)
মোশাররফ করিমের ধারাবাহিক নাটক, serial drama :
- ৪২০
- তোমার দোয়ায় ভালো আছি মা
- এফ এন এফ (ফ্রেন্ডস অ্যান্ড ফ্যামিলি)
- জিম্মি
- এই সময় সেই সব মানুষেরা
- এইম ইন লাইফ
- আষাঢ়ের গল্প
- দশ হাজার এক টাকা
- এফ ডি সি
- ফিফটি ফিফটি
- ঘর কুটুম
- ভবের হাট
- ঘোড়ার ডিম
- হাউসফুল
- মামা ভাগ্নে
- পরশি বাড়ি
- পাটি গণিত
- মাইক
- মফিজ কট
- জামাই মেলা
- পুতুল খেলা
- রেড সিগন্যাল
- গরিবের বন্ধু
- মোহর শেখ
- সাকিন সারি সুরি
- সুখটান
- কালার অফ ক্যামব্রিজ
- রেডিও চকলেট
- ফোবিয়া
- ধান্দা
- কবুলীয়তনামা
- পেরেশান
- লং মার্চ
- হাড় কিপটে
- ইউনিভার্সিটি
- ইয়েস বস নো বস
- পরিবার করি কল্পনা
- আনন্দগ্রাম
- তিনি আসবেন
- রাস্কেল
- আদর্শ লিপি
- জোৎস্নাকাল
- অতিথি পাখি
- নগর আলো
- হাটা বাবা রিটার্ন
- ভায়োলিন
- শেষ বিকেলের গান
- চলিতেছে সার্কাস
- লড়াই
- এই কূলে আমি আর ওই কূলে তুমি
- দ্যা ভিলেজ ইঞ্জিনিয়ার
- ঝামেলা আনলিমিটেড
- নো ম্যানস ল্যান্ড
- অচেনা প্রতিবিম্ব
- টেন মিলিয়ন ডলার
- অর্কিড
- আমার কিছু মেঘ আছে
- হাওয়ায় মিঠাই
- ভালোবাসা কারে কয়
- চাটাম ঘর
- চাঁদের নিজস্ব কোন আলো নেই
- চাঁন বিরিয়ানী
- বিবাহ হবে
- প্রিয়জন
- মেডেল
মোশাররফ করিমের সম্পদের পরিমাণ, Net worth :
মোশারফ করিম শুধু একজন জনপ্রিয় অভিনেতাই নন, বরং তিনি বাংলাদেশের ধনী সেলিব্রিটিদের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন। মোশারফ করিম বিপুল সম্পদের অধিকারী। তাঁর সম্পদের অর্থমূল্য প্রায় ২২৭ কোটি টাকা।
ঢাকায় মোশারফ করিমের বাড়ির দাম আট কোটি টাকা। এছাড়াও তাঁর আরো একটা চার কোটি দামের বাড়ি আছে। অভিনেতার স্থাবর সম্পত্তির মোট পরিমাণ ১৫ কোটিরও বেশি। তিনি তিনটে গাড়ি ব্যবহার করেন। সেগুলি হল, প্রাডো টয়টা, এবং করলা সিরিজের গাড়ি। তিনটি গাড়ীর মোট মূল্য এক কোটি টাকা।
একসময় প্রথম ছবিতে কাজ করার জন্য তিনি কোনো টাকা পারিশ্রমিক নেন নি, এরপর অভিনয়ের কাজে পেয়েছিলেন দু হাজার টাকা, ক্রমে সেটা চার হাজারে ওঠে এবং আজ তা এক লক্ষ তিরিশ হাজার ছাড়িয়েছে।
শেষ কথা, Conclusion :
মোশাররফ করিম একজন কৌতুকাভিনেতা। তিনি এতো প্রাণবন্ত অভিনয় করেন যে সকলেই তাঁর অভিনয় দেখে মুগ্ধ হয়। তাঁর বেশিরভাগ নাটকই প্রভূত খ্যাতি অর্জন করেছে। আশা করা যায় যে ভবিষ্যতে তাঁকে আরো ভালো কাজ করতে দেখা যাবে।
Frequently asked Questions :
মোশাররফ করিম নামটা দুই বাংলার মানুষের মধ্যে জনপ্রিয়। মোশারফ করিমের নাটক দেখেনি এমন বাঙালি হয়তো কমই আছেন।
১৯৭১ সালের- ২২ আগষ্ট।
প্রায় ২২৭ কোটি টাকা।