সদ্য সোহিনী সরকার এবং শোভন গঙ্গোপাধ্যায়ের চার হাত এক হয়েছে। তার মধ্যেই রণজয় বিষ্ণু এবং তার প্রাক্তন প্রেমিকাদের নানা অভিযোগে চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে সোহিনী এবং রণজয়। সোহিনী সরকারের বিয়ের পর মিডিয়ার কাছে শোভন- সোহিনীকে শুভকামনা জানান রণজয় বিষ্ণু। তারপর রণজয় বিষ্ণুর প্রাক্তন প্রেমিকা সায়ন্তনী গুহ ঠাকুরতা পুরো বিষয়টিকেই সিম্প্যাথি নেওয়ার টেকনিক বলে দাবি করেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিনেত্রী লেখেন – ‘প্রাক্তন প্রেমিকার বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর সেটা কে নিয়ে পাবলিসিটি করতে খুব কম গুণী মানুষই পারেন… এরা হল তারা যারা মৃত শবের পাশে শুয়েও ইন্টারভিউ দিতে পারেন, কারণ পাবলিক সিমপ্যাথি বাড়লে এদের ফলোয়ার্সও বাড়বে। তার সঙ্গে সুবিধা হবে নেক্সট গার্লফ্রেন্ড থুড়ি নতুন এটিএম কার্ড জোগাড় করতে। আসলে সোনার ডিম পাড়া মুরগি চলে গেলে খারাপ তো সকলেরই লাগে। আমার মনে হয় নতুন এটিএম কার্ড থেকে বোধহয় এখনও টাকা তোলা যায়নি। যাক মেয়েরা সতর্কও থাকুন এই সব কালজয়ী অভিনেতাদের থেকে, যারা পর্দাতে এবং বাস্তব জীবনে একসঙ্গে তাল মিলিয়ে অভিনয় করে যাচ্ছে। হায় রে নির্বোধ দর্শক।’
সায়ন্তনীর এই পোস্টে ‘লাভ’ ইমোজি দেন সোহিনী সরকার। সায়ন্তনীর এই বক্তব্যকে সমর্থন করেন রণজয় এর আরেক প্রাক্তন অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা মণ্ডল।
এই প্রসঙ্গে এক সংবাদমাধ্যমে সোহিনী সরকার জানিয়েছেন – ‘রণজয় বিষ্ণুর মতো মানুষেরা ভাল চায় দেখানোর নাম করে লাগাতার সাক্ষাৎকার দিয়ে চলেছে। কেউ কারও ভালো যদি সত্যি চেয়ে থাকে তবে সে তো আমায় ব্যক্তিগত ভাবে সেই ভাল চাওয়াটা ব্যক্ত করবে।’
অন্যদিকে সংবাদমাধ্যমের কাছে রণজয় বিষ্ণু জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত জীবনটা খুব ব্যক্তিগত। সবার নিজের মতো অতীত রয়েছে। কাউকে ছোট করে নিজে বড় হওয়া যায় না। ভালো থাকার অধিকার সবার আছে, সবাই ভালো থাকুক এটাই চান অভিনেতা।
টেলি পাড়ার গুঞ্জন বর্তমানে রণজয় বিষ্ণু এবং শ্যামৌপ্তি মুদলি নাকি সম্পর্কে রয়েছেন। যদিও এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে রণজয় কিংবা শ্যামৌপ্তি কেউই প্রকাশ্যে কিছু জানাননি।