সম্প্রতি বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী পরীমনির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। এই ঘটনায় বিভিন্ন মহলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে এবং অনেকেই এর পেছনের কারণ নিয়ে আলোচনা করছেন।
ঘটনার সূত্রপাত:

ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদের দায়ের করা মারধর, ভাঙচুর ও ভয়ভীতি দেখানোর মামলায় পরীমনির বিরুদ্ধে এই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। ২০২১ সালের ৮ই জুন সাভারের বোট ক্লাবে একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল। অভিযোগ অনুযায়ী, পরীমনি ও তার সহযোগীরা ক্লাবে ঢুকে ভাঙচুর ও মারধর করেন। এই ঘটনায় নাসির উদ্দিন মাহমুদ বাদী হয়ে পরীমনির বিরুদ্ধে মামলা করেন।
পরীমনি এর আগে একাধিকবার এই মামলার শুনানিতে অনুপস্থিত ছিলেন। তার আইনজীবী অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে সময় চেয়ে আবেদন করেছিলেন, যা আদালত নামঞ্জুর করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
আইনজীবীর বক্তব্য:
সম্প্রতি পরীমণির আইনজীবী জানিয়েছেন, তিনি আদালতের কাছে সময় চেয়ে নিয়েছিলেন। তবে সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায় এবং পরীমনির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন হয়। এদিকে আদালতে হাজিরা না দেওয়ার কারণে পরীমনির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।
রাজনৈতিক কারণের গুঞ্জন:

কেউ কেউ বলছেন, নতুন সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খোলার কারণেই নাকি পরীমনির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। তবে এই অভিযোগের স্বপক্ষে কোনো নির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
এই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির ফলে পরীমনিকে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তবে, তিনি সম্প্রতি আত্মসমর্পণ করেন তাই তাঁকে জামিন দেওয়া হয়।
পরবর্তী পদক্ষেপ:
এখন দেখার বিষয়, পরীমনি এই গ্রেফতারি পরোয়ানার বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেন কিনা। তিনি যদি উচ্চ আদালতে আপিল করেন, তাহলে পরিস্থিতির ভিন্নতা হতে পারে।
এই ঘটনাটি পরীমনির ক্যারিয়ারে এবং তার ব্যক্তিগত জীবনেও প্রভাব ফেলতে পারে। বর্তমানে এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে এবং অনেকের দৃষ্টি এখন এই ঘটনার দিকে নিবদ্ধ রয়েছে।