বলিউডের ইতিহাসে এমন বহু গল্প আছে, যেখানে সময়ের সঙ্গে বদলে গেছে তারকাদের ভাগ্য। তেমনই এক ঘটনা জড়িয়ে রয়েছে রাজেশ খান্না ও বলিউডের এক নায়িকার নামের সঙ্গে। কে সেই নায়িকা? জানতে চাইলে প্রতিবেদনটি শেষ অবধি পড়ুন।
রাজেশ খান্নার এক কথায় চলত বলিউড
সত্তরের দশকে রাজেশ খান্না ছিলেন বলিউডের একচ্ছত্র রাজা। তাঁর অনুমোদন ছাড়া কোনো নায়িকা তো দূরের কথা, ছবির অন্য অভিনেতাদেরও কাস্ট করা হতো না। পরিচালক-প্রযোজকদের থেকেও বেশি ক্ষমতা ছিল সুপারস্টার রাজেশের হাতে।

এক কথায় ‘বাতিল’ পদ্মিণী!
১৯৭৭ সালে ছোট বয়সেই বলিউডে কাজের সুযোগ খুঁজছিলেন পদ্মিণী কোলাপুরি। তখনও তিনি নামী নায়িকা নন, বরং শিশু অভিনেত্রী হিসেবে কাজ করছিলেন। ঠিক সে সময়ই রাজেশ খান্নার ছবির জন্য ‘চলতা পুরজা’ সিনেমার অডিশনে ডাক পান পদ্মিণী। যথাসময়ে স্টুডিওতে পৌঁছে যান তিনি।
অডিশনও দেন, কিন্তু রাজেশ খান্না তাঁর অভিনয় দেখেই তৎক্ষণাৎ পদ্মিণীকে নাকচ করে দেন। শুধু তাই নয়, কটাক্ষ করে বলেন— “এত বিশ্রী দেখতে! এই মেয়ে নায়িকা হবে?” পদ্মিণীর তৎকালীন ত্বকের সমস্যা ও মুখের দাগের কারণেই তাঁকে পছন্দ হয়নি সুপারস্টারের।

রাজ কাপুরের চোখে নতুন নায়িকা
এই অপমানের ঠিক এক বছর পর, ১৯৭৮ সালে মুক্তি পায় রাজ কাপুরের ‘সত্যম শিবম সুন্দরম’। ছোট্ট পদ্মিণী নজর কাড়েন নিজের অভিনয় দক্ষতা দিয়ে। যে নায়িকাকে এক ঝলক দেখেই বাতিল করেছিলেন রাজেশ, তিনিই হয়ে ওঠেন বলিউডের সম্ভাবনাময় তারকা!
প্রেমরোগ-এর সাফল্য ও বলিউড কুইনের তকমা
১৯৮২ সালে ‘প্রেমরোগ’ ছবিতে ঋষি কাপুরের বিপরীতে অভিনয় করেন পদ্মিণী কোলাপুরি। ছবিটি বক্স অফিসে বিপুল সাফল্য পায়। রাতারাতি বলিউড কুইন হয়ে ওঠেন তিনি। এরপর একের পর এক হিট ছবিতে অভিনয় করে প্রমাণ করেন নিজের প্রতিভা।

অবশেষে রাজেশের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার
যে রাজেশ খান্না একসময় তাঁকে ‘বিশ্রী’ বলে খারিজ করেছিলেন, পরবর্তীতে তাঁর সঙ্গেও কাজ করেন পদ্মিণী। সেই সময় বলিউডের চিত্রটাই বদলে গিয়েছিল। রাজেশ খান্নার তারকা খ্যাতি কমছিল, আর পদ্মিণী হয়ে উঠেছিলেন অন্যতম সফল নায়িকা।
এই ঘটনা বলিউডের সেই চিরন্তন সত্যই মনে করিয়ে দেয়— সময়ই ঠিক করে দেয়, কে কোথায় থাকবে!