টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী রুক্মিণী মৈত্র ফের একবার প্রমাণ করলেন—তিনি শুধু সৌন্দর্যের জন্যই নয়, অভিনয়ের দক্ষতার জন্যও প্রশংসার যোগ্য। ‘বিনোদিনী’ চরিত্রে তাঁর মন কাড়া অভিনয় এবার এনে দিল অসামান্য সম্মান। দাদাসাহেব ফালকে ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অ্যাওয়ার্ড ২০২৫-এ শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কারে ভূষিত হলেন তিনি।
বিনোদিনী হয়ে মন ছুঁয়েছেন দর্শকদের

‘বিনোদিনী’ ছবির মাধ্যমে একজন থিয়েটার কিংবদন্তীর চরিত্রে অভিনয় করে নিজের অভিনয় জীবনের এক মাইলস্টোন ছুঁয়ে ফেলেছেন রুক্মিণী। তাঁর সাবলীল অভিনয়, সংবেদনশীল অভিব্যক্তি ও চরিত্রে মিশে যাওয়ার ক্ষমতা দর্শক এবং সমালোচক উভয়ের কাছ থেকেই প্রশংসা কুড়িয়েছে।
এবার সেই পারফরম্যান্স স্বীকৃতি পেল জাতীয় স্তরে। দাদাসাহেব ফালকে ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে তাঁর এই পুরস্কার পাওয়া নিঃসন্দেহে টলিউডের গর্ব।
পুরস্কার পেয়ে আবেগে ভাসলেন অভিনেত্রী
সোশ্যাল মিডিয়ায় এই খুশির খবর ভাগ করে নিয়ে রুক্মিণী জানান, এই সম্মান তাঁর কাছে একেবারে অকল্পনীয়।
“যখন পোস্ট করছিলাম, তখনও হাত কাঁপছিল। এখনো কথা বলছি, মন কেমন করছে। এই স্বীকৃতি সত্যিই হৃদয় ভরিয়ে দিয়েছে,”—বলেছেন তিনি।
আরও বলেন, “এই ধরনের সম্মান আরও ভালো কাজ করার অনুপ্রেরণা দেয়, একটু চাপও বাড়িয়ে দেয়। আমি সব সময়ই চাই নিজেকে ছাড়িয়ে যেতে। চাহিদা আমার একটু বেশি (হাসি)।”
পাশে ছিলেন দেব, প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন
রুক্মিণীর দীর্ঘদিনের সঙ্গী অভিনেতা দেব তাঁর এই সাফল্যে ভীষণ গর্বিত। রুক্মিণী জানান, “দেব বলল, এটা সত্যিই অসাধারণ। তোমার জন্য আমি খুবই গর্বিত।”
প্রিয় মানুষের মুখ থেকে এমন প্রশংসা পাওয়া যে তাঁর কাছে কতটা মূল্যবান, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
যদি জাতীয় পুরস্কার আসে?

এই প্রশ্নের উত্তরে রুক্মিণী অকপটে বলেন, “আমি অজ্ঞান হয়ে যাব! এতটা ভাবিনি কখনও। বিনোদিনী করার সময়েও ভাবিনি এত কিছু পাবো। আমার কাছে আসল স্বীকৃতি সেদিন এসেছিল, যেদিন স্টার থিয়েটার ‘বিনোদিনী থিয়েটার’ নামে পরিচিতি পায়। এটাই আমার জীবনের সবচেয়ে বড় পাওনা।”
রুক্মিণী মৈত্রর এই সম্মান কেবল একজন অভিনেত্রীর প্রাপ্তি নয়, এটি টলিউডের নারীকেন্দ্রিক সিনেমার জয়ের গল্পও। ‘বিনোদিনী’-র মতো ঐতিহাসিক চরিত্রকে নিজের অভিনয় দিয়ে জীবন্ত করে তোলা সহজ নয়। রুক্মিণী তা করে দেখিয়েছেন। ভবিষ্যতে জাতীয় পুরস্কার হোক বা আন্তর্জাতিক—এই সাফল্যই তাঁকে এগিয়ে নিয়ে যাবে নতুন শিখরে।