বলি ইতিহাসের এক অলটাইম ব্লকবাস্টার ‘শোলে’। ১৯৭৫ সালের সেই কালজয়ী সিনেমা, যা বদলে দিয়েছিল হিন্দি ফিল্মের ধারা। জয়-বীরুর বন্ধুত্ব, বসন্তির হাসি-ঠাট্টা, গব্বর সিংয়ের ভয়াবহতা—সব কিছুই আজও দর্শকের মনে গেঁথে আছে। রমেশ সিপ্পির পরিচালনায় এই ছবি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৭৫ সালে। সেই সময়কার সবচেয়ে বড় তারকাদের এক ছাদের নিচে এনে রেকর্ড গড়েছিল এই সিনেমা। তবে জানেন কি, এই ছবির সবচেয়ে দামি তারকা কে ছিলেন?

অমিতাভ নন, হেমা নন, সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন যিনি, সেই নাম শুনে রীতিমতো অবাক হবেন! বলিপাড়ার অন্দরমহল বলছে, ‘শোলে’ ছবিতে সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন ধর্মেন্দ্র। ঠিকই পড়ছেন! বীরুর চরিত্রে অভিনয় করে তিনি পেয়েছিলেন ১.৫ লক্ষ টাকা,আর ‘জয়’ চরিত্রে থাকা অমিতাভ বচ্চন? তিনি পেয়েছিলেন মাত্র ১ লক্ষ টাকা! আজ যাঁকে ‘শাহেনশাহ’ বলে সম্বোধন করা হয়, তখন কিন্তু ছিলেন পিছিয়ে।
হেমা মালিনীও ছিলেন আলোচনার কেন্দ্রে।
বসন্তি চরিত্রে প্রাণ এনে দিয়েছিলেন তিনি। তাঁর পারিশ্রমিক? ৭৫ হাজার টাকা—অমিতাভের থেকেও কম, তবে সম্মানজনক। তবে সবচেয়ে অবাক করা তথ্য? জয়া বচ্চনের পারিশ্রমিক!
ছবিতে অল্প সময়ের উপস্থিতি থাকলেও, তিনি পেয়েছিলেন মাত্র ৩৫ হাজার টাকা। ‘রাধা’ চরিত্রের জন্য এই ক্ষুদ্র পারিশ্রমিক দেখে অনেকেই হতবাক!
আর গব্বর সিং? চলচ্চিত্র ইতিহাসের অন্যতম ভয়ংকর খলনায়ক হয়ে ওঠা আমজাদ খান পেয়েছিলেন ৫০ হাজার টাকা। আর ‘ঠাকুর’ সঞ্জীব কুমার? তাঁর পারিশ্রমিক ছিল ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা—অমিতাভের থেকেও বেশি!
শেষে কী দাঁড়াল হিসাব?

ধর্মেন্দ্র > সঞ্জীব কুমার > অমিতাভ বচ্চন > হেমা মালিনী > আমজাদ খান > জয়া বচ্চন!
‘শোলে’ ছবিতে যেখানে সবচেয়ে আলোচিত চরিত্র ছিল গব্বর, জয়-বীরু বা বসন্তি, সেখানে সবচেয়ে বেশি রেমুনারেশন পেয়েছিলেন বীরু—অর্থাৎ ধর্মেন্দ্র!
এটাই বলিউড! এখানে কে কবে আলো ছড়াবে, আর কে পিছিয়ে পড়বে, সেটা কেউই বলতে পারে না।
তবে আজও ‘শোলে’র গান, ডায়লগ আর চরিত্রগুলো মনে করলেই হৃদয় কাঁপে—সেই তো আসল সাফল্য!
আপনিও কি ভেবেছিলেন অমিতাভই সবচেয়ে দামি তারকা হবেন? জানাতে ভুলবেন না কমেন্টে!