মহাত্মা গান্ধী অহিংসা, সত্যাগ্রহ, এবং স্বাধীনতা সংগ্রাম এর অন্যতম প্রবক্তা। তিনি ছিলেন ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের এক মহান নেতা।
ব্রিটিশ সাম্রাজ্য থেকে মুক্তি লাভের জন্য লক্ষ লক্ষ মানুষ সংগ্রামের পথে অগ্রসর হয় তাঁর নেতৃত্বে। বাপু নামে পরিচিত এই মহান ব্যক্তিত্ব নিজের আদর্শ এবং নীতির মধ্যে দিয়ে বিশ্বের দরবারে সত্য, ন্যায়বিচার, এবং মানবাধিকার এর মূর্ত প্রতীক হয়ে উঠেছিলেন।
মহাত্মা গান্ধীর আহিংসা এবং আত্মনির্ভরতার বার্তা বর্তমান সমাজে ও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক এবং শিক্ষণীয়।
মহাত্মা গান্ধী সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত তথ্য, Brief information about Mahatma Gandhi :
মহাত্মা গান্ধী “বাপু” বা “জাতির পিতা” নামেও পরিচিত। সংক্ষিপ্তভাবে তাঁর জীবনের কিছু তথ্য জেনে নিন :
- পুরো নাম: মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী
- জন্ম: 2 অক্টোবর, 1869
- জন্মস্থান: পোরবন্দর, গুজরাট
- মৃত্যু: 30 জানুয়ারী, 1948
- মৃত্যুর স্থান: দিল্লি, ভারত
- মৃত্যুর কারণ: বন্দুকের গুলিতে হত্যা
- পিতা: করমচাঁদ গান্ধী
- মা: পুতলিবাই গান্ধী
- জাতীয়তা : ভারতীয়
- পত্নী: কস্তুরবা গান্ধী
- সন্তান: হরিলাল গান্ধী, মণিলাল গান্ধী, রামদাস গান্ধী এবং দেবদাস গান্ধী
- পেশা: আইনজীবী, রাজনীতিবিদ, লেখক
মহাত্মা গান্ধীর পারিবারিক পটভূমি, Family Background of Mahatma Gandhi :
গান্ধীজি 1869 সালের ২রা অক্টোবর গুজরাটের পোরবন্দরে জন্মগ্রহণ করেন। গান্ধীজি পিতা করমচাঁদ গান্ধীর চতুর্থ স্ত্রীর সংসারে কনিষ্ঠ সন্তান। তাঁর পিতা ব্রিটিশ আধিপত্যের অধীনে পশ্চিম ভারতের (গুজরাট রাজ্যে) একটি রাজ্যের রাজধানী পোরবন্দরের দেওয়ান (মুখ্যমন্ত্রী) ছিলেন।
গান্ধীজির শিক্ষাগত যোগ্যতা, Gandhiji’s educational qualifications :
গান্ধীর বয়স যখন 9 বছর তখন তিনি রাজকোটের একটি স্থানীয় স্কুলে পড়াশুনা করেন। 11 বছর বয়সে, তিনি রাজকোটের একটি উচ্চ বিদ্যালয়ে অধ্যয়ন শুরু করেন। যদিও বিয়ে হয়ে যাওয়ার কারণে প্রায় এক বছর তাঁর পড়ালেখায় ব্যাঘাত ঘটে।
1888 সালে গান্ধীজি গুজরাটের ভাবনগরের সামলদাস কলেজে ভর্তি হন। পরবর্তীতে, এক পারিবারিক বন্ধুর সহায়তায় তিনি লন্ডনে পড়াশোনা করার সুযোগ পান। গান্ধীজি সামলদাস কলেজে পড়ালেখা নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন না এবং তাই তিনি লন্ডনের প্রস্তাবে রাজি হন।
1891 সালে স্নাতক সম্পন্ন করেন তিনি। এরপর বার কাউন্সিল অফ ইংল্যান্ডে কাজ শুরু করেন। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকাতেও গিয়েছিলেন, কিন্তু সেখানে তাঁকে বর্ণবাদের সম্মুখীন হতে হয়।
গান্ধীজির বিবাহ, Gandhiji’s marriage :
মহাত্মা গান্ধী ১৮৮৩ সালে মাত্র ১৩ বছর বয়সে নিজের বাবা মায়ের পছন্দে কস্তুরবা মাখাঞ্জীকে বিয়ে করেন। পরবর্তী সময়ে তাদের চার পুত্র সন্তানের জন্ম হয়।
দক্ষিণ আফ্রিকায় মহাত্মা গান্ধীর বিভিন্ন অভিজ্ঞতা, Various experiences of Mahatma Gandhi in South Africa :
আইনজীবী হিসাবে কাজ করার জন্য 1893 সালের মে মাসে মহাত্মা গান্ধী দক্ষিণ আফ্রিকা যান। গান্ধীজি দাদা আব্দুল্লা এন্ড সন্সের আইনজীবী হিসাবে দক্ষিণ আফ্রিকায় যান। দক্ষিণ আফ্রিকা গান্ধীর জীবনকে নাটকীয়ভাবে পরিবর্তন করে দেয়। সেখানে তিনি জাতিগত বৈষম্যের অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছিলেন।
ভারতীয়দের বিরুদ্ধে বর্ণবাদ, কুসংস্কার এবং অবিচার লক্ষ্য করে গান্ধী তার জনগণের মর্যাদা এবং অবস্থান নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে ওঠেন। দক্ষিণ আফ্রিকায় তাঁর সাথে হওয়া কিছু ঘটনা গান্ধীজির মনের উপর গুরুতর প্রভাব ফেলেছিল এবং তিনি জাতিগত বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সিদ্ধান্ত নেন।
1894 সালের 22 মে গান্ধীজি Natal Indian Congress (NIC) প্রতিষ্ঠা করেন এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় ভারতীয়দের অধিকারের উন্নতির জন্য কঠোর পরিশ্রম করেন। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় জীবনের 21 বছর কাটিয়ে 1915 সালে ভারতে ফিরে আসেন।
ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে গান্ধীজির ভূমিকা, Gandhiji’s role in India’s independence movement :
1915 সালে গান্ধীজি ভারতে ফিরে এসে গোপাল কৃষ্ণ গোখলের সাথে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসে যোগদান করেন।
গান্ধীজির রাজনৈতিক জীবনের প্রথম বড় কৃতিত্ব ছিল 1918 সালে বিহার ও গুজরাটের চম্পারণ ও খেদা আন্দোলনের নেতৃত্ব দান। চম্পারণ সত্যাগ্রহ ছিল বিহার রাজ্যের চম্পারণ জেলার কৃষকদের মধ্যে একটি বিদ্রোহ। এটি মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে ছিল এবং কৃষকদের দ্বারা জোরপূর্বক নীল চাষের বিরুদ্ধে ছিল।
ক্রমে তিনি ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে অসহযোগ আন্দোলন, আইন অমান্য আন্দোলন, স্বরাজ তথা ভারত ছাড়ো আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
মহাত্মা গান্ধী সত্য, অহিংসা, পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সহযোগিতা এবং ত্যাগের শিক্ষা ও প্রচার করেছিলেন। এভাবেই তিনি ভারতের জন্য যুদ্ধ করে স্বাধীনতা অর্জন করেছিলেন।
অসহযোগ আন্দোলনে গান্ধীজির ভূমিকা, Gandhiji’s Role in Non-Cooperation Movement :
অসহযোগ আন্দোলন ছিল ভারতে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার অহিংস গণপ্রচার। মহাত্মা গান্ধী 1920 সালে অসহযোগ আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
অসহযোগ আন্দোলনের অনেক কারণ ছিল। মূল কারণ হল অর্থনৈতিক শোষণ, ব্রিটিশ শাসনের প্রতি অসন্তোষ, জাতীয়তাবাদী উচ্ছ্বাস এবং রাজনৈতিক মোহ। এই আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য ছিল ভারতবর্ষ থেকে ব্রিটিশ সরকারকে বিলুপ্ত করা। মহাত্মা গান্ধীর ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্ব এবং তার অসহযোগের দর্শন জনগণের মধ্যে অনুরণিত হয়েছিল।
লবণ সত্যাগ্রহ আন্দোলনে গান্ধীজির ভূমিকা, Gandhiji’s Role in Salt Satyagraha Movement :
ব্রিটিশ সরকারের লবণের উপর কর বসানোর প্রতিবাদে গুজরাতের উপকূলবর্তী গ্রাম ডান্ডি থেকে অভিযান শুরু করেন মহাত্মা গান্ধী। সমুদ্রের জল থেকে দেশীয় পদ্ধতিতে লবণ উৎপাদন করে ঔপনিবেশিক সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করা ছিল তাঁর এই মার্চের উদ্দেশ্য।
এই পদযাত্রা ঔপনিবেশিক ভারতে ব্রিটিশদের একচেটিয়া লবণ নীতির বিরুদ্ধে একটি অহিংস করপ্রদান-বিরোধী প্রতিবাদ আন্দোলন। এই আন্দোলনের মাধ্যমেই আইন অমান্য আন্দোলনের সূচনা হয়।
১৯২০-২২ সালের অসহযোগ আন্দোলনের পর লবণ সত্যাগ্রহই ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংগঠিত ব্রিটিশ-বিরোধী আন্দোলন। ১৯৩০ সালের ২৬ জানুয়ারি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস “পূর্ণ স্বরাজ” প্রস্তাব গ্রহণ করার অব্যবহিত পরেই এই সত্যাগ্রহের সূচনা ঘটে।
মহাত্মা গান্ধী আমেদাবাদের কাছে তাঁর সবরমতী আশ্রম থেকে ডান্ডি পদযাত্রা শুরু করে ২৪ দিনে ২৪০ মাইল (৩৯০ কিলোমিটার) পথ পায়ে হেঁটে ডান্ডি গ্রামে এসে বিনা-করে সমুদ্রের জল থেকে লবণ প্রস্তুত করেন।
মহাত্মা গান্ধীর সত্যাগ্রহ আন্দোলন, Mahatma Gandhi’s Satyagraha movement :
সত্যাগ্রহ শব্দটি মহাত্মা গান্ধী 1919 সালের গোড়ার দিকে তৈরি এবং বিকশিত করেছিলেন। গান্ধী ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অংশ হিসাবে এবং ভারতীয় অধিকারের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকায় সংগ্রামের সময়ও সত্যাগ্রহ অনুশীলন করেছিলেন।
গান্ধীজি নিজের অহিংস কর্মের সামগ্রিক পদ্ধতিকে সত্যাগ্রহ হিসাবে চিহ্নিত করেছিলেন। গান্ধীজির সত্যাগ্রহ স্বাধীনতা, সাম্য এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের সংগ্রামে নেলসন ম্যান্ডেলা এবং মার্টিন লুথারের মতো বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদেরকেও প্রভাবিত করেছিল। প্রকৃত নীতি ও অহিংসার উপর ভিত্তি করে মহাত্মা গান্ধীর সত্যাগ্রহ আন্দোলন সংগঠিত হয়েছিল। তিনি বলেছিলেন যে,
"এমনভাবে বাঁচো যেন তুমি আগামীকাল মারা যাবে। এমনভাবে শিখো যেন তুমি চিরকাল বেঁচে থাকবে।"
গান্ধীজির স্মরণে, In memory of Gandhiji :
- গান্ধীজির জন্ম তারিখ ২ অক্টোবর ভারতের জাতীয় ছুটি তথা গান্ধী জয়ন্তী হিসাবে পালিত হয়।
- ২০০৭ সালের ১৫ জুন জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে গান্ধীর জন্মদিনকে আন্তর্জাতিক অহিংসা দিবস হিসাবে পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল।
- বিশ্বজুড়ে মহাত্মা গান্ধীজির ৭০টিরও বেশি মূর্তি রয়েছে।
গান্ধীজির সাহিত্যকর্ম, Gandhiji’s Literary Works :
গান্ধীজি একজন বিশিষ্ট লেখক ছিলেন। তাঁর কিছু উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্ম হল :
• গুজরাটি ভাষায় প্রকাশিত ‘হিন্দ স্বরাজ’, 1909 সালে প্রকাশিত হয়।
• গান্ধীজির আত্মজীবনী ‘দ্য স্টোরি অফ মাই এক্সপেরিমেন্টস উইথ ট্রুথ’। অন্যান্য আত্মজীবনীর মধ্যে রয়েছে ‘দক্ষিণ আফ্রিকার সত্যাগ্রহ’, ‘ভারতীয় হোম রুল’।
এসব ছাড়াও তিনি গুজরাটি, হিন্দি এবং ইংরেজি ভাষায় হরিজনসহ বেশ কয়েকটি সংবাদপত্র সম্পাদনা করেন। পাশাপাশি ইন্ডিয়ান ওপিনিয়ন, ইয়ং ইন্ডিয়া, ইংরেজিতে, এবং নবজীবন, একটি গুজরাটি মাসিকও সম্পাদনা করেছিলেন তিনি।
মহাত্মা গান্ধীর রাজগুরু কে ছিলেন? Who was Mahatma Gandhi’s political guru?
মহাত্মা গান্ধী গোপাল কৃষ্ণ গোখলেকে রাজনীতিতে তাঁর গুরু বলে মনে করেন। গোপাল কৃষ্ণ গোখলে ছিলেন ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সিনিয়র নেতা এবং সার্ভেন্টস অফ ইন্ডিয়ান সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা। তিনি মহাত্মা গান্ধীর একজন পরামর্শদাতা হিসেবে পরিচিত।
গান্ধীর সবচেয়ে বিখ্যাত ভাষণ কোনটি? Which is the most famous speech of Gandhi?
8 আগস্ট 1942 সালের ভারত ছাড়ো আন্দোলনের প্রাক্কালে মহাত্মা গান্ধী ভারত ছাড়ো ভাষণ দিয়েছিলেন। তার ভাষণটি মধ্যরাতের কিছু আগে, বোম্বে (বর্তমান মুম্বাই) এর গোয়ালিয়া ট্যাঙ্ক ময়দান পার্কে জারি করা হয়েছিল।
মহাত্মা গান্ধীর মৃত্যু, Death of Mahatma Gandhi :
জাতির জনক গান্ধীজি 1948 সালের 30 জানুয়ারী নাথুরাম গডসে কর্তৃক নিহত হন। হত্যাকারী গডসে ছিলেন হিন্দু জাতীয়তাবাদী এবং হিন্দু মহাসভার সদস্য। গান্ধীজির বিরুদ্ধে তিনি পাকিস্তানের পক্ষ নেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন। বিড়লা হাউসের গান্ধী স্মৃতিতে 30 জানুয়ারি জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধীকে হত্যা করা হয়েছিল। তাই, এই দিনটিকে শহীদ দিবস হিসাবে পালন করা হয়।
ভারতের বিখ্যাত মহাত্মা গান্ধী স্মৃতিসৌধ, Famous Mahatma Gandhi Memorials in India :
রাজ ঘাট: মহাত্মা গান্ধী স্মারক রাজ ঘাট দিল্লিতে অবস্থিত। গান্ধীর শেষ কৃত্যের স্থানটি কালো মার্বেল দিয়ে তৈরি করা হয় 1948 সালের 31 জানুয়ারী।
গান্ধী স্মৃতি: একসময় বিড়লা হাউস নামে পরিচিত বর্তমানের দিল্লী যাদুঘর, মহাত্মা গান্ধীর জীবনের শেষ 144 দিন তার বাসভবন ছিল। উক্ত বিল্ডিংয়ের ভিতরে, তাঁর হত্যার স্থান বিশেষভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
সবরমতি আশ্রম: আশ্রমটি গুজরাটের আহমেদাবাদে অবস্থিত। আশ্রমটি ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে গান্ধীজীর ক্রিয়াকলাপের ভিত্তি হিসেবে কাজ করেছিল।
ডান্ডি মার্চ মেমোরিয়াল: ন্যাশনাল সল্ট সত্যাগ্রহ মেমোরিয়াল বা ডান্ডি মেমোরিয়াল হল ডান্ডি , গুজরাট , ভারতের একটি স্মারক, যা 1930 সালে মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে ঔপনিবেশিক ভারতে অহিংস আইন অমান্যের একটি কাজ, লবণ সত্যাগ্রহের কর্মী এবং অংশগ্রহণকারীদের সম্মান জানায় । স্মৃতিসৌধটি 15 একর (61,000 m 2 ) জুড়ে বিস্তৃত এবং উপকূলীয় শহর ডান্ডিতে অবস্থিত।
গান্ধী মেমোরিয়াল মিউজিয়াম: ভারতে মুম্বাই, মাদুরাই এবং পাটনা সহ বেশ কয়েকটি গান্ধী স্মৃতি জাদুঘর রয়েছে।
শেষ কথা, Conclusion :
মহাত্মা গান্ধী বহুত্ববাদী ভারতীয় সমাজে সৌভ্রাতৃত্বপূর্ন সহাবস্থান আদর্শের বিশিষ্ট প্রবক্তা। আজকের এই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা তথ্যগুলো থেকে আশা করি আপনারা মহাত্মা গান্ধীর জীবনের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। পোস্ট টি ভালো লাগলে অবশ্যই নিজের পরিবার ও বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন।
Frequently asked questions :
গোপাল কৃষ্ণ গোখলে।
মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী 30 জানুয়ারী 1948-এ 78 বছর বয়সে দ্য বিড়লা হাউসে (বর্তমানে গান্ধী স্মৃতি ) নাথুরাম গডসে কর্তৃক নিহত হন।
বিশ্বজুড়ে মহাত্মা গান্ধীজির ৭০টিরও বেশি মূর্তি রয়েছে।