‘মৌসুমী জলবায়ু’ কথাটির সাথে আমরা সকলেই পরিচিত। এর প্রধান বৈশিষ্ট্যে হলো ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে দিক পরিবর্তন। গ্রীষ্মকালে এটি জলভাগ থেকে স্থলভাগের দিকে এবং শীতকালে স্থলভাগ থেকে জলভাগের দিকে প্রবাহিত হয়। এর ফলে গ্রীষ্মকাল থাকে বৃষ্টিবহুল এবং শীতকাল প্রায় বৃষ্টিহীন অবস্থায় কেটে যায়। বায়ুর চাপ, তাপ, প্রবাহ এবং বৃষ্টিপাত দ্বারা এই মৌসুমী জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য নিরূপন করা হয়।
মৌসুমী বায়ু কি ? What is monsoon climate?
আরবি শব্দ ‘মৌসিম’ বা মালয় শব্দ ‘মনসিন’ থেকে মৌসুমী শব্দের উৎপত্তি হয়েছে, যার অর্থ হল ঋতু। ঋতুভেদে দিক পরিবর্তন করে প্রবাহিত ধারাবাহিক বায়ুপ্রবাহকে মৌসুমী বায়ু বলে, আর এই মৌসুমি বায়ুর প্রভাবাধীন দেশ বা অঞ্চলগুলি মৌসুমি জলবায়ুর অন্তর্গত অঞ্চল হিসেবে গণ্য হয়।
কোন দেশে মৌসুমী জলবায়ু পরিলক্ষিত হয় ? In which country monsoon climate is observed?
নিরক্ষরেখার উভয়দিকে 10° থেকে 25° অক্ষরেখার মধ্যে মৌসুমী জলবায়ু বিস্তৃত। যে দেশগুলিতে মৌসুমী জলবায়ুর প্রভাব পরিলক্ষিত হয় সেগুলি হল :
- ভারত,
- বাংলাদেশ,
- মায়ানমার,
- দক্ষিণ চীন,
- মালয়েশিয়া,
- ইন্দোনেশিয়া,
- ফিলিপাইন দ্বীপপুঞ্জ
এছাড়াও জাপান, কোরিয়া, তাইওয়ান এবং কাম্পুচিয়ায় এই জলবায়ু আংশিক ভাবে দেখা যায়।
মৌসুমী জলবায়ুর প্রভাবে বৃষ্টিপাত, Precipitation due to monsoonal climate
সাধারণত মৌসুমী জলবায়ুর প্রবাহের অঞ্চলে তিনটি ঋতু সুস্পষ্টভাবে পরিলক্ষিত হয়। এইগুলো হল : শীতল ও শুষ্ক শীতকাল, উষ্ণ ও আর্দ্র গ্রীষ্মকাল এবং আর্দ্র বর্ষাকাল। মৌসুমী জলবায়ু অঞ্চলভুক্ত এলাকাগুলোতে প্রায় সব ঋতুতেই কম বেশি বৃষ্টিপাত হতে দেখা যায়। তবে স্বাভাবিকভাবে বর্ষাকালেই সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে।
মৌসুমী জলবায়ু প্রবাহ সৃষ্টির কারণ, Seasonal climate causes flow
জলবায়ুর পরিবর্তন আবহাওয়ার পরিবর্তনের উপর নির্ভরশীল। কোনো স্থানের আবহাওয়ার পরিবর্তন একটি স্বাভাবিক ঘটনা। আবহাওয়ার এ পরিবর্তন সাধারণত ঐ স্থানের তাপমাত্রা, আর্দ্রতা, বৃষ্টিপাতের পরিমাণ প্রভৃতি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। আর কোনো স্থানের আবহাওয়ার উপাদানগুলোর স্থায়ী পরিবর্তন হলো জলবায়ু পরিবর্তন। প্রসঙ্গত, মৌসুমী জলবায়ু প্রবাহ সৃষ্টির কারণগুলো হল :
- (i) মৌসুমি বায়ু প্রকৃতপক্ষে সমুদ্রবায়ু ও স্থলবায়ুর বৃহত্তর সংস্করণ।
- (ii) উষ্ণমণ্ডলে পূর্ব-পশ্চিমে বিস্তৃত এক বিশাল স্থলভাগের দক্ষিণে এক বিপুল জলভাগের অবস্থান, অথবা বিস্তীর্ণ এক জলভাগের উত্তরে এক বিরাট স্থলভাগের অবস্থান, মৌসুমি বায়ুপ্রবাহের সৃষ্টির প্রধান কারণ ।
- (iii) বিভিন্ন ঋতুতে স্থলভাগ ও সমুদ্রের মধ্যে বায়ুচাপের পার্থক্য হল মৌসুমি বায়ু সৃষ্টির অন্যতম কারণ ।
মৌসুমি জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য, Features of monsoon climate
১) বায়ুচাপ ও বায়ু প্রবাহ সংক্রান্ত বৈশিষ্ট্য :
অনির্দিষ্ট মৌসুমী বায়ু:-
বায়ুচাপ ও বায়ু প্রবাহের উপর ভিত্তি করে মৌসুমী বায়ুর আগমনকাল ও প্রত্যাবর্তনকাল সুনির্দিষ্ট থাকে না, নির্দিষ্ট সময়ের আগে বা পরে এই জলবায়ু প্রবাহের আগমন ঘটে থাকে।
নিম্নচাপ ও উচ্চচাপ সৃষ্টি:-
গ্রীষ্মকালে স্থলভাগ প্রচণ্ড উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ফলে গভীর নিম্নচাপ সৃষ্টি হয় এবং সমুদ্রে অর্থাৎ ভারত মহাসাগরে সৃষ্টি হয় উচ্চচাপ। অন্যদিকে শীত ঋতুতে স্থলভাগ উচ্চচাপের অন্তর্গত হয়ে সমুদ্রে সৃষ্টি হয় নিম্নচাপ। সেই অনুসারে জলবায়ুর প্রভাব পরিবর্তিত হয়।
বায়ুপ্রবাহ:-
গ্রীষ্মকালে সমুদ্র থেকে জলীয় বাষ্পপূর্ণ আর্দ্র বায়ু স্থলভাগের দিকে প্রবাহিত হয় দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু নামে। অন্যদিকে শীতকালে স্থলভাগ থেকে শুষ্ক বায়ু সমুদ্রের দিকে প্রবাহিত হয় উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ু নামে।
বায়ুমণ্ডলীয় গোলযোগ:-
গ্রীষ্মকালে প্রচন্ড উত্তাপ থাকার কারণে বায়ুমন্ডলে অস্থিরতা শুরু হয়। গ্রীষ্মকালে বেশিরভাগ সময় অপরাহ্ণের দিকে বায়ুমণ্ডলীয় গোলযোগ ঘটে বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড়, শিলাবৃষ্টি প্রভৃতি সংঘটিত হয়।
২) বৃষ্টিপাত সংক্রান্ত বৈশিষ্ট্য :
মৌসুমী বায়ুর প্রভাব:-
মৌসুমী বায়ুর প্রভাব যেসব অঞ্চলে থাকে সেখানে গ্রীষ্মকালে মোট বৃষ্টিপাতের প্রায় 90 শতাংশই দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু দ্বারা ঘটে থাকে।
বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাত:-
মৌসুমী বায়ুর প্রভাব যেসব অঞ্চলে থাকে সেখানে বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ 150 থেকে 200 সেমি।
বৃষ্টিপাতের বন্টন:-
মৌসুমী বায়ুর প্রভাব যেসব অঞ্চলে থাকে সেখানে বৃষ্টিপাতের বন্টন সর্বত্র সমান নয়। সমুদ্র উপকূলবর্তী অঞ্চল গুলিতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ দেশের অভ্যন্তরভাগের দিকে বৃষ্টিপাতের পরিমাণের তুলনায় বেশি হয়।
বৃষ্টিপাতের পদ্ধতি:-
মৌসুমী জলবায়ু অঞ্চলে বেশিরভাগ বৃষ্টিপাত ঘূর্ণবাতজনিত কারণে এবং শৈলোৎক্ষেপ প্রক্রিয়ায় সংঘটিত হয়।
খরা ও বন্যার সৃষ্টি:-
মৌসুমী বায়ু প্রবাহ অনির্দিষ্ট হওয়ার কারণে অনেক সময় অধিক বৃষ্টিপাত হয়, যার ফলে কোথাও বন্যা, আবার খুব স্বল্প বৃষ্টি বা অনাবৃষ্টির জন্য কোথাও খরার প্রাদুর্ভাব ঘটে থাকে।
মৌসুমী বায়ুর প্রবাহ প্রক্রিয়া, Monsoon flow process
পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে যে গ্রীষ্মকালে ভারতের পশ্চিমাঞ্চলের ভূখণ্ডে প্রচণ্ড তাপ থাকে, যার কারণে নিম্নচাপ কেন্দ্রের সৃষ্টি হয়, অন্যদিকে একই সময়ে ভারত মহাসাগর তুলনামূলকভাবে শীতলতর থাকে বলে উচ্চচাপ কেন্দ্রের সৃষ্টি হয়। এর ফলে সাগর থেকে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্পসহ ভূখণ্ডে মৌসুমি বায়ু প্রবাহিত হয় যা স্থলভাগে ভারি বৃষ্টিপাত ঘটায়।
গ্রীষ্মকালীন মৌসুমি বায়ু ভারত মহাসাগর অঞ্চলে দুই শাখায় বিভক্ত: আরব সাগর প্রবাহ এবং বঙ্গোপসাগর প্রবাহ। ভারতের কেন্দ্রভূমির আবহাওয়ার ওপর অধিক প্রভাব বিস্তার করে আরব সাগরের বায়ুপ্রবাহ।
অন্যদিকে বঙ্গোপসাগরের মৌসুমি বায়ুপ্রবাহটি মূলত গাঙ্গেয় সমভূমি অঞ্চল তথা ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আবহাওয়ার প্রকৃতিকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। জুন মাসের শুরুর দিক থেকে এই বায়ুপ্রবাহ বাংলাদেশের বেশ কিছু অঞ্চলের উপর দিয়ে ভারতের কেন্দ্র-অঞ্চলের নিম্নচাপ কেন্দ্রের দিকে প্রবাহিত হতে থাকে।
শীতকালে ভারত মহাসাগরের জলের তুলনায় ভারতীয় ভূখণ্ড অর্থাৎ স্থলভাগ দ্রুত শীতল হয়ে উচ্চচাপ কেন্দ্র হিসেবে গড়ে ওঠে এবং ভারত মহাসাগর অঞ্চলে সৃষ্টি হয় নিম্নচাপ, যার ফলে শীতকালীন মৌসুমি বায়ু প্রবাহিত হয় এবং এই বায়ুপ্রবাহের একটি ধারা বাংলাদেশ অতিক্রম করে বঙ্গোপসাগর অভিমুখেও ধাবিত হয়।
ক্রান্তীয় মৌসুমী জলবায়ু, Tropical monsoon climate
জলবায়ু পরিবর্তন একটি ধীর ও চলমান প্রক্রিয়া। ভারত ও বাংলাদেশের জলবায়ু মোটামুটি উষ্ণ, আর্দ্র ও সমভাবাপন্ন। মৌসুমি বায়ুর প্রভাব এখানে এত অধিক যে, এ জলবায়ু ‘ক্রান্তীয় মৌসুমি জলবায়ু’ নামে পরিচিত। ক্রান্তীয় মৌসুমী জলবায়ু ক্রান্তীয় আর্দ্র জলবায়ু বা ক্রান্তীয় মৌসুমি ও উপকূলীয় আয়নবায়ুর জলবায়ু নামেও পরিচিত।
ক্রান্তীয় মৌসুমী জলবায়ুর মাসিক গড় তাপমাত্রা বছরের প্রতি মাসে এবং শুকনো মরসুমে ১৮ °সে (৬৪ °ফা) এর বেশি থাকে। ক্রান্তীয় জলবায়ুতে বার্ষিক বৃষ্টিপাত প্রচুর পরিমাণে থাকে। সাধারণত গ্রীষ্মমণ্ডলীয় জলবায়ুতে দুটি মৌসুম থাকে, একটি হল ভেজা মৌসুম এবং অপরটি শুকনো মৌসুম। বার্ষিক তাপমাত্রার পরিসীমা ক্রান্তীয় জলবায়ুতে সাধারণত খুব অল্প থাকে এবং সূর্যের আলো তীব্র হয়। ক্রান্তীয় জলবায়ুর তিনটি মূল প্রকার রয়েছে,সেগুলি হল : ক্রান্তীয় অতিবৃষ্টি অরণ্য জলবায়ু , ক্রান্তীয় মৌসুমি জলবায়ু এবং ভেজা এবং ক্রান্তীয় সাভানা জলবায়ু , যা বার্ষিক বৃষ্টিপাতের এবং সেই অঞ্চলে সবচেয়ে শুষ্কতম মাসের বৃষ্টিপাতের পরিমান দ্বারা শ্রেণিবদ্ধ করা হয়।
মৌসুমী জলবায়ু অঞ্চলের উদ্ভিদ, Plants of monsoon climate
মৌসুমী জলবায়ু অঞ্চলে প্রধানত পর্ণমোচী (শুল্ক শীতকালে গাছের পাতা ঝরে যায়) প্রকৃতির উদ্ভিদের প্রাধান্য হলেও বৃষ্টিপাতের তারতম্য অনুসারে বনভূমির প্রকৃতি পরিবর্তিত হয়। যেসব অঞ্চলে বার্ষিক বৃষ্টিপাত খুব বেশি (২০০ সেমি), সেখানে শুষ্ক ঋতুতেও মাটি ভেজা থাকায় মেহগনি, শিশু, গর্জন-এর চিরসবুজ বনভূমি সৃষ্টি হয়।
মাঝারি বৃষ্টিপাতযুক্ত (বার্ষিক ১০০-২০০ সেমি) অঞ্চলে শাল, সেগুন, শিমুল, পলাশ, শিরিষ, মহুয়া, আম, কাঁঠাল জাতীয় পর্ণমোচী বৃক্ষের মিশ্র বনভূমি দেখা যায়। আবার শুষ্ক অঞ্চলে ফণীমনসা, বাবলা, ক্যাকটাস জাতীয় কাঁটাগাছের ঝোপঝাড় দেখা যায়। উপকূল অঞ্চলে সুন্দরী, গরান, গেঁওয়া গাছের ম্যানগ্রোভ অরণ্য দেখা যায়।
মৌসুমি জলবায়ু ও ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ুর পার্থক্য, Difference between Monsoon climate and Mediterranean climate
প্রতিটি জলবায়ু অঞ্চলের উষ্ণতা, বায়ুরচাপ, বায়ুপ্রবাহ ও বৃষ্টিপাত প্রভৃতির নিজস্ব বৈশিষ্ট্য আছে যার ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট জলবায়ু অঞ্চলটি অন্য জলবায়ু অঞ্চল থেকে আলাদা হয়। মৌসুমি জলবায়ু ও ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু পৃথিবীর দুটি অন্যতম প্রধান জলবায়ু। মৌসুমি জলবায়ু ও ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ুর পার্থক্য গুলি হল :
অক্ষাংশগত অবস্থান :
- ১০ ডিগ্রি থেকে ৩০ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশের মধ্যবর্তী অঞ্চলে মৌসুমি জলবায়ুর অবস্থান।
- অন্যদিকে ৩০ ডিগ্রি থেকে ৪৫ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশের মধ্যবর্তী অঞ্চলে ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ুর অবস্থান।
জলবায়ুর দৈশিক অবস্থান :
- মৌসুমি জলবায়ু সাধারণত ভারত, বাংলাদেশ ও দক্ষিণ ও পূর্ব এশিয়ার দেশ গুলোতে বেশি লক্ষ্য করা যায় ।
- অন্যদিকে ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু ভূমধ্যসাগরের পার্শ্ববর্তী দেশ গুলি অর্থাৎ ইতালি, স্পেন, পর্তুগাল ফ্রান্স প্রভৃতি দেশে দেখা যায়।
বায়ুপ্রবাহ জনিত পার্থক্য :
- মৌসুমি জলবায়ু অঞ্চলগুলোতে শীত ও গ্রীষ্মকালে বিপরীত মুখী উত্তর-পূর্ব এবং দক্ষিন-পূর্ব মৌসুমি বায়ুপ্রবাহ লক্ষ্য করা যায়।
- অন্যদিকে ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ুতে শীতকালে আর্দ্র পশ্চিমা বায়ু ও গ্রীষ্মকালে শুষ্ক উত্তর-পূর্ব আয়ন বায়ুপ্রবাহ লক্ষ্য করা যায়।
জলবায়ু অঞ্চলে ঋতুবৈচিত্র্য
- মৌসুমি জলবায়ু অঞ্চলগুলোতে প্রধানত চারটি ঋতুর উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়, সেগুলি হল – শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা ও শরৎ।
- অন্যদিকে ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে কেবল দুটি ঋতু দেখা যায়। যথা – শীত ও গ্রীষ্ম।
স্থানীয় বায়ুপ্রবাহ :
- গ্রীষ্মকালে মৌসুমি জলবায়ু অঞ্চলে কিছু স্থানীয় বায়ু প্রবাহ লক্ষ্য করা যায়। সেগুলো হল – আঁধি, কালবৈশাখী ইত্যাদি।
- অন্যদিকে ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু অঞ্চলেও স্থানীয় বায়ুপ্রবাহের মধ্যে রয়েছে : মিস্ট্রাল, সিরক্কো
বৃষ্টিপাত
- মৌসুমি জলবায়ু অঞ্চলে মোট বৃষ্টিপাতের ৮০ থেকে ৯০% বর্ষাকালেই হয়ে থাকে। শীতকালে বৃষ্টি সাধারণত হয় না।
- অন্যদিকে ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু অঞ্চলে বেশির ভাগ বৃষ্টিপাত হয় শীতকালে।
বৃষ্টিপাতের নিয়ন্ত্রক বায়ু
- মৌসুমি জলবায়ু অঞ্চলে প্রধানত দক্ষিণ – পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বৃষ্টিপাত হয় ।
- অন্যদিকে ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে শীতকালে দক্ষিণ- পশ্চিম পশ্চিমা বায়ুর প্রভাবে বৃষ্টিপাত হয়।
উপসংহার, Conclusion
মৌসুমী জলবায়ু সম্পর্কে আমরা প্রায় সকলেই ছোটবেলা থেকে পাঠ্য বই-তে পড়েছি। তাছাড়া বিভিন্ন সময়ে এই জলবায়ুর প্রভাবও প্রত্যক্ষ করেছি। মৌসুমি বায়ু দক্ষিণ এশিয়া এবং ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জলবায়ুতে সবচেয়ে বেশি প্রভাব বিস্তারকারী বায়ুপ্রবাহ।