ঔষধি গুণসম্পন্ন গাছের কথা বললে যেসব গাছের নাম প্রথমেই মাথায় আসে তার মধ্যে অন্যতম হল অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী। চুল কিংবা ত্বকের পরিচর্যা হোক অথবা হজমশক্তি বৃদ্ধি সবকিছুতেই অ্যালোভেরার জুড়ি মেলা ভার। আশেপাশের নার্সারি গুলোতে আপনারা খুব সহজেই পেয়ে যাবেন এই গাছ।
তাহলে চলুন অ্যালোভেরার উপকারিতা সম্পর্কে বিশদে জেনে নেওয়া যাক।
চুলের যত্নে অ্যালোভেরার ব্যবহার
ঘরোয়া রূপটানে অ্যালোভেরা তুলনাহীন। অ্যালোভেরা আমাদের চুলকে সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি থেকে রক্ষা করে, এতে উপস্থিত মিনারেল চুলের গোড়া মজবুত করে।
চুলের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর জন্য একটি পাত্রে দুই চামচ অ্যালোভেরা জেল নিন। তার মধ্যে দুই চামচ ফেটানো টক দই মিশিয়ে সেই মিশ্রণটা চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত লাগিয়ে 10 মিনিট চুলে রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন।
অন্যদিকে চুল পড়া বন্ধ করতে চাইলে অ্যালোভেরার সাথে অলিভ অয়েল এবং কফি মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন৷ তারপর মিশ্রণটি 30 মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে নিন। সপ্তাহে একবার এই হেয়ার প্যাকটি ব্যবহার করে দেখুন, নিশ্চিত উপকার পাবেন।
ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরার ব্যবহার
ত্বকের জেল্লায় অত্যন্ত কার্যকরী উপাদান হল অ্যালোভেরা জেল। খেয়াল করে দেখবেন বেশিরভাগ বিউটি প্রোডাক্টেই কিন্তু অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করা হয়।
অ্যালোভেরা গাছের একটা বড় পাতা কেটে ভেতর থেকে অ্যালোভেরা জেল বের করে তার মধ্যে নারকেল তেল মিশিয়ে সেই মিশ্রণটি ব্যবহার করলে ব্রণর সমস্যা তো দূর হবেই, পাশাপাশি মুখের দাগছোপও অনেক কমে যাবে।
অ্যালোভেরার সঙ্গে সামান্য গোলাপ জল এবং ভিটামিন ই ক্যাপসুল মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন, তারপর ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে নিন, ত্বক থাকবে চিরতরুণ।
অনেকেই অ্যালোভেরার জুস কিংবা সালাদের মধ্যে ছোট ছোট করে অ্যালোভেরা কেটে খেয়ে থাকেন। এতে কি লাভ জয় জানেন?
- অ্যালোভেরার রস খাদ্যনালী পরিষ্কার রাখে।
- অ্যালোভেরার জুসে উপস্থিত অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান শরীরের জমে থাকা মেদ দূর করে
- হজমশক্তি বাড়ায়
- কোলেস্টেরল ও সুগারের মাত্রা স্বাভাবিক রাখে।
অ্যালোভেরা ব্যবহারের আগে একটি ছোট্ট সতর্কতা:
তবে মনে রাখবেন অ্যালোভেরার পাতা কেটে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবহার করবেন না, সেটা কিছুক্ষণ জলে ভিজিয়ে রাখবেন। তারপর খোসা ছাড়িয়ে জেল বের করবেন।
তবে খাদ্যতালিকায় অ্যালোভেরাকে স্থান দিতে চাইলে পুষ্টিবিদের সঙ্গে আলোচনা করে নেওয়া ভালো।