বাংলা বর্ণমালা, ইতিহাস ও বিস্তার, স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণ, Bengali Varnamala details pdf


ভাষা একটি জাতির অস্তিত্বের অন্যতম প্রধান উপাদান, আর সেই ভাষার ভিত্তি হলো তার বর্ণমালা। বাংলা ভাষার বর্ণমালা শুধু একটি অক্ষরগুচ্ছ নয়, এটি হাজার বছরের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও ইতিহাসের ধারক। বাংলা বর্ণমালা আমাদের সাহিত্য, সংস্কৃতি, শিক্ষা ও দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। বাংলা ভাষা যেমন আমাদের জাতিসত্তার প্রতীক, তেমনই এর বর্ণমালা আমাদের আত্মপরিচয়ের ভিত্তি গড়ে তোলে।

বাংলা ভাষার বর্ণমালার রয়েছে এক দীর্ঘ বিবর্তনের ইতিহাস। এটি মূলত ব্রাহ্মী লিপি থেকে উদ্ভূত হয়ে নানা পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে আজকের আধুনিক রূপ লাভ করেছে। পাল, সেন ও মুঘল আমলে এর বিকাশ ঘটেছে বিভিন্ন পর্যায়ে, এবং ঊনবিংশ শতাব্দীতে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের প্রচেষ্টায় বাংলা বর্ণমালা আরও সুসংগঠিত ও সহজতর হয়। সময়ের সাথে সাথে এটি খোদাই করা পাথর থেকে পুঁথিপত্র, হাতে লেখা স্ক্রোল থেকে মুদ্রিত বই, এবং আজকের ডিজিটাল স্ক্রিন পর্যন্ত পৌঁছে গেছে।

বাংলা বর্ণমালার স্বকীয়তা এর স্বতন্ত্র উচ্চারণ ও বিশিষ্ট লেখার শৈলীতে প্রকাশ পায়। এতে রয়েছে স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণের চমৎকার বিন্যাস, যা ভাষার শব্দগঠন ও ধ্বনিগত সৌন্দর্য রক্ষা করে। বাংলা ভাষার লেখনরীতি, যুক্তাক্ষর গঠন ও উচ্চারণগত সূক্ষ্মতার জন্য এ বর্ণমালা বিশেষভাবে সমৃদ্ধ। এটি শুধু বাংলাভাষী মানুষদের জন্য নয়, বরং দক্ষিণ এশিয়ার ভাষাতাত্ত্বিক গবেষণার ক্ষেত্রেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

বাংলা বর্ণমালার ইতিহাস

বাংলা ভাষার বর্ণমালার উৎপত্তি ও বিকাশ এক দীর্ঘ ঐতিহাসিক প্রক্রিয়ার ফল। এটি মূলত ব্রাহ্মী লিপি থেকে উদ্ভূত, যা ভারতীয় উপমহাদেশে ব্যবহৃত প্রাচীনতম লিপিগুলোর একটি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই লিপির বিবর্তনের ফলে বাংলা বর্ণমালা তার আধুনিক রূপ লাভ করে।

প্রাচীন যুগ ও উৎপত্তি

বাংলা বর্ণমালার শেকড় পৌরাণিক ব্রাহ্মী লিপিতে, যা খ্রিস্টপূর্ব ৩য় শতকের আশেপাশে ব্যবহৃত হতো। পরবর্তীতে এটি গুপ্ত লিপির মাধ্যমে পরিবর্তিত হয়ে পাল লিপিতে রূপ নেয়। পাল সাম্রাজ্যের (৭৫০-১২০০ খ্রিস্টাব্দ) সময় এটি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হতো। এই লিপি থেকেই বাংলা বর্ণমালার বিকাশ ঘটে।

মধ্যযুগীয় পরিবর্তন

সেন ও মুসলিম শাসনামলে বাংলা লিপির গঠনে পরিবর্তন আসে। তখনকার সময়ে সংস্কৃতের প্রভাব থাকলেও বাংলা ধীরে ধীরে স্বতন্ত্র ভাষা ও লিপি হিসেবে গড়ে ওঠে। ১৬শ শতকে মুদ্রণযন্ত্র আবিষ্কারের পর বাংলা লিপির স্থায়ী রূপ প্রতিষ্ঠিত হতে শুরু করে।

আধুনিক বাংলা বর্ণমালার বিকাশ

১৭৭৮ সালে নাথানিয়েল ব্রাসি হ্যালহেড তাঁর “A Grammar of the Bengali Language” গ্রন্থে প্রথম বাংলা বর্ণমালাকে সুশৃঙ্খলভাবে লিপিবদ্ধ করেন। এরপর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বাংলা বর্ণমালার আধুনিক সংস্কারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তিনি অপ্রচলিত কিছু বর্ণ বাদ দেন এবং বাকিগুলোকে আরও সহজ ও মানসম্মত করেন।

বাংলা বর্ণমালার গঠন

বর্তমানে বাংলা বর্ণমালায় ১১টি স্বরবর্ণ ও ৩৯টি ব্যঞ্জনবর্ণ রয়েছে, যা লেখার ও উচ্চারণের জন্য নির্দিষ্ট নিয়মে বিন্যস্ত। এছাড়া, যুক্তবর্ণ ও চিহ্নের ব্যবহার বাংলা লিপিকে সমৃদ্ধ করেছে।

বাংলা বর্ণমালার সংখ্যা

বাংলা বর্ণমালায় মোট ৫০টি অক্ষর রয়েছে, যার মধ্যে ১১টি স্বরবর্ণ ও ৩৯টি ব্যঞ্জনবর্ণ অন্তর্ভুক্ত।

বাংলা বর্ণমালার ব্যঞ্জনবর্ণ, ব্যঞ্জনবর্ণ কাকে বলে এবং এর উদাহরণ কী?

ব্যঞ্জনবর্ণ বাংলা ভাষার শব্দ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এটি স্বরবর্ণের সহায়তায় শব্দ তৈরি করে। বাংলা ব্যঞ্জনবর্ণের সংখ্যা ৩৯টি এবং এগুলো উচ্চারণভেদে বিভিন্ন শ্রেণিতে বিভক্ত। এক কথায় বলা যেতে পারে, যেসব বর্ণ উচ্চারিত হওয়ার সময় মুখগহ্বরের কোনো ভাবে বাধাপ্রাপ্ত হয় তাদের বলা হয় ব্যঞ্জনবর্ণ। আগেই বলা হয়েছে যে এরা অন্যান্য বর্ণের সাহায্যে (মূলতঃ স্বরবর্ণের) উচ্চারিত হয়ে থাকে।

বাংলা বর্ণমালার আবিষ্কার

বাংলা বর্ণমালা প্রাচীন ব্রাহ্মী লিপি থেকে উদ্ভূত। এটি গুপ্ত লিপি ও সিদ্ধমাতৃকা লিপির মাধ্যমে বিকাশ লাভ করে। বাংলা লিপির আধুনিক সংস্কার করেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, যিনি স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণের সংহত রূপ তৈরি করেন।

বাংলা বর্ণমালার মাধ্যমে শব্দ গঠন

বাংলা ভাষার শব্দ গঠনের জন্য স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণ পরস্পরের সাথে মিলিত হয়। ব্যঞ্জনবর্ণ একা শব্দ গঠন করতে পারে না; স্বরবর্ণের সংযোগে বিভিন্ন শব্দের উৎপত্তি হয়। যেমন:

• ‘ক’ + ‘অ’ = ক

• ‘ম’ + ‘া’ = মা

• ‘গ’ + ‘ো’ = গো

স্বরবর্ণ ১১টি কী কী?

বাংলা বর্ণমালায় মোট ১১টি স্বরবর্ণ রয়েছে। সেগুলো হলো:
অ, আ, ই, ঈ, উ, ঊ, ঋ, এ, ঐ, ও, ঔ

ব্যঞ্জনবর্ণ কয়টি ও কি কি?

বাংলা ভাষায় ব্যঞ্জনবর্ণ আছে ৩৯টি । এগুলো হচ্ছে— ক খ গ ঘ ঙ চ ছ জ ঝ ঞ ট ঠ ড ঢ ণ ত থ দ ধ ন প ফ ব ভ ম য র ল শ ষ স হ ড় ঢ় য় ৎ ং ঃ ঁ।  তবে আধুনিক বাংলা উচ্চারণের ক্ষেত্রে ব্যঞ্জনবর্ণের উচ্চারণে তেমন কিছু পার্থক্য চোখে পড়ে না মধ্যে যেমন “ন” (দন্ত্য-ন), “ণ” (মূর্ধন্য-ণ) আর “ঞ” (ঞীয়/ইঙ)।

বাংলায় মৌলিক স্বরবর্ণ কয়টি?

বাংলায় মৌলিক স্বরবর্ণ ৭টি, যেগুলো হল:
অ, আ, ই, উ, এ, ও, ঋ

বাংলা ভাষার বর্ণমালা কয়টি?

বাংলা ভাষার বর্ণমালায় মোট ৫০টি অক্ষর রয়েছে, যার মধ্যে ১১টি স্বরবর্ণ ও ৩৯টি ব্যঞ্জনবর্ণ।

বাংলা লিপির আধুনিক রূপ দিয়েছেন কে?

বাংলা লিপির আধুনিক সংস্কার করেছেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। তিনি বাংলা বর্ণমালার অপ্রয়োজনীয় কিছু বর্ণ বাদ দিয়ে সহজ ও সংগঠিত করেছেন। তাঁর সংস্কারের ফলে বর্তমান বাংলা বর্ণমালা গঠনগতভাবে পরিপূর্ণতা লাভ করেছে।

বাংলা ভাষার জনক কে?

বাংলা ভাষার নির্দিষ্ট কোনো জনক নেই, তবে ভাষাবিদদের মতে, চর্যাপদ বাংলা ভাষার প্রাচীনতম নিদর্শন। চর্যাপদের অন্যতম কবি লুইপা, কাহ্নপা, ভুসুকুপা প্রমুখ কবিরা বাংলা ভাষার আদি বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।

বাংলা বর্ণমালা কে সৃষ্টি করেছিলেন?

বাংলা বর্ণমালা সরাসরি কোনো একজন ব্যক্তি সৃষ্টি করেননি। এটি ব্রাহ্মী লিপি থেকে বিকশিত হয়ে প্রাচীন কুটিল লিপি ও পরবর্তীতে গৌড়ীয় লিপি রূপ নেয়। সময়ের সাথে সাথে বাংলা বর্ণমালার বর্তমান রূপ পেয়েছে, যার আধুনিক সংস্কার করেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর।

লিপি আবিষ্কারকের নাম কী?

বাংলা লিপির আদি উৎস ব্রাহ্মী লিপি, যা ভারতীয় উপমহাদেশে সর্বপ্রথম ব্যবহৃত হতো। এই ব্রাহ্মী লিপি থেকে বিভিন্ন ভাষার লিপি যেমন—দেবনাগরী, বাংলা, অসমিয়া, ওড়িয়া ইত্যাদি বিকশিত হয়েছে। তবে বাংলার নিজস্ব লিপির আধুনিক রূপ দেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, যিনি বাংলা বর্ণমালাকে সহজ ও সংগতিপূর্ণ করেন।

বাংলা বর্ণমালার উচ্চারণ

বাংলা বর্ণমালার উচ্চারণ নির্ভর করে স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণের সঠিক ব্যবহার ও তাদের সংযোগের ওপর। বাংলা ভাষায় স্বরবর্ণ ১১টি এবং ব্যঞ্জনবর্ণ ৩৯টি থাকলেও, উচ্চারণের ক্ষেত্রে স্থানভেদে কিছু পার্থক্য দেখা যায়। বাংলা ভাষার উচ্চারণে স্বরাঘাত, ধ্বনির দীর্ঘতা ও অনুস্বার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

বাংলা বর্ণমালায় মাত্রাহীন বর্ণ

বাংলা বর্ণমালায় কিছু ব্যঞ্জনবর্ণের নিজস্ব মাত্রা নেই, অর্থাৎ এগুলো নিজে উচ্চারিত হতে পারে না। সাধারণত “ং”, “ঃ” ও “৺” প্রভৃতি চিহ্ন মাত্রাহীন হিসেবে বিবেচিত হয়।

বাংলা বর্ণমালার লেখার নিয়ম

বাংলা লেখার কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম আছে, যেমন—

• স্বরবর্ণ এবং ব্যঞ্জনবর্ণ পৃথকভাবে বা যুক্তবর্ণের মাধ্যমে লেখা হয়।

• উচ্চারণভেদে কিছু বর্ণ সংক্ষিপ্তভাবে লেখা হয়, যেমন “ক” + “ষ” = “ক্ষ”।

• শব্দের শুরুতে বা শেষে নির্দিষ্ট ধ্বনি পরিবর্তন ঘটতে পারে, যা উচ্চারণে প্রভাব ফেলে।

বাংলা বর্ণমালায় অর্ধমাত্রা বর্ণ

বাংলা ভাষায় কিছু ব্যঞ্জনবর্ণ অর্ধমাত্রা হিসেবে ব্যবহৃত হয়, যেমন “য” (যফলা), “র” (রেফ), “ৎ” ইত্যাদি। এগুলো সাধারণত অন্য বর্ণের সঙ্গে যুক্ত হয়ে নতুন উচ্চারণ তৈরি করে।

বাংলা বর্ণমালা: ছবি সহ ব্যাখ্যা

বাংলা বর্ণমালার প্রতিটি অক্ষরের নির্দিষ্ট চিত্ররূপ আছে, যা শিশু ও শিক্ষার্থীদের শেখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত বাংলা স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণ চিত্রসহ বোঝানো হয়, যাতে তাদের সহজে চিনতে ও উচ্চারণ করতে সুবিধা হয়।

বাংলা ভাষায় ১১টি স্বরবর্ণ ও ৩৯টি ব্যঞ্জনবর্ণ রয়েছে। নিচে প্রতিটি বর্ণের জন্য একটি করে বাক্য দেওয়া হলো:

স্বরবর্ণের উদাহরণ:

  • 1. অ – অরণ্য অনেক গাছপালায় ভরা।
  • 2. আ – আমি প্রতিদিন সকালবেলা হাঁটতে যাই।
  • 3. ই – ইলিশ মাছ বাংলাদেশের জাতীয় মাছ।
  • 4. ঈ – ঈগল আকাশে উঁচুতে উড়ে।
  • 5. উ – উজ্জ্বল আলোতে বই পড়তে ভালো লাগে।
  • 6. ঊ – ঊষার আলো প্রকৃতিকে সুন্দর করে তোলে।
  • 7. ঋ – ঋতু পরিবর্তনের কারণে আবহাওয়া ঠান্ডা হয়ে গেছে।
  • 8. এ – এবার পরীক্ষায় সবাই ভালো ফল করেছে।
  • 9. ঐ – ঐতিহ্য আমাদের সংস্কৃতির অংশ।
  • 10. ও – ওজন কমাতে নিয়মিত ব্যায়াম করা দরকার।
  • 11. ঔ – ঔষধ খেলে দ্রুত সুস্থ হওয়া যায়।
স্বরবর্ণের উদাহরণ

ব্যঞ্জনবর্ণের উদাহরণ:

  • 1. ক – কাক আকাশে উড়ছে।
  • 2. খ – খেলাধুলা স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
  • 3. গ – গাছ আমাদের অক্সিজেন দেয়।
  • 4. ঘ – ঘোড়া খুব দ্রুত দৌড়ায়।
  • 5. ঙ – বাঘ গর্জন করলে জঙ্গলে আওয়াজ হয়।
  • 6. চ – চাঁদ রাতে আকাশে সুন্দর লাগে।
  • 7. ছ – ছাতা বৃষ্টির দিনে কাজে লাগে।
  • 8. জ – জল মানুষের বেঁচে থাকার জন্য জরুরি।
  • 9. ঝ – ঝড় এলে গাছপালা নড়ে ওঠে।
  • 10. ঞ – বাচ্চারা আনন্দে নাচ-গান করে।
  • 11. ট – টেবিলে অনেক বই রাখা আছে।
  • 12. ঠ – ঠাণ্ডা পানি পান করলে সতর্ক থাকতে হয়।
  • 13. ড – ডাল ভাত আমাদের প্রধান খাবার।
  • 14. ঢ – ঢোল বাজলে উৎসবের আমেজ তৈরি হয়।
  • 15. ণ – বৃক্ষ আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ।
  • 16. ত – তরমুজ গ্রীষ্মকালের সুস্বাদু ফল।
  • 17. থ – থামলেই সফলতা আসে না, চেষ্টা করতে হয়।
  • 18. দ – দীপা ভালো গান গায়।
  • 19. ধ – ধান কৃষকের মূল ফসল।
  • 20. ন – নদী প্রকৃতির সৌন্দর্য বাড়ায়।
  • 21. প – পদ্মফুল আমাদের জাতীয় ফুল।
  • 22. ফ – ফল খেলে শরীর সুস্থ থাকে।
  • 23. ব – বাতাস বইলে শরীর আরাম পায়।
  • 24. ভ – ভোরবেলা পাখির ডাক শোনা যায়।
  • 25. ম – মানুষ সামাজিক জীব।
  • 26. য – যুদ্ধ কখনো শান্তি আনতে পারে না।
  • 27. র – রাজা প্রজাদের ভালোবাসেন।
  • 28. ল – লাল রঙ ভালোবাসার প্রতীক।
  • 29. শ – শিশুদের যত্ন নেওয়া দরকার।
  • 30. ষ – শিশুদের শিক্ষা দেওয়া প্রয়োজন।
  • 31. স – সমুদ্রের ঢেউ অনেক সুন্দর।
  • 32. হ – হাতি খুব বড় প্রাণী।
  • 33. ড় – বড় ভাই সবসময় আমাকে সাহায্য করে।
  • 34. ঢ় – ঢেঁকি স্বভাবে উঁচু হলেও এটি কাজে লাগে।
  • 35. য় – দায়িত্ব পালন করা প্রত্যেকের কর্তব্য।
  • 36. ৎ – বিশ্বস্ত বন্ধু দুঃসময়ে পাশে থাকে।
  • 37. ং – গঙ্গা নদী ভারতের দীর্ঘতম নদীগুলোর একটি।
  • 38. ঃ – অধ্যবসায়ঃ সাফল্যের মূল চাবিকাঠি।
  • 39. ঁ – চাঁদনী রাতে নদীর দৃশ্য অসাধারণ লাগে।
স্বরবর্ণের উদাহরণ

পরিশেষে :-

বর্ণমালা একটি ভাষার অস্তিত্বের মূল ভিত্তি, তাই এটি সংরক্ষণ ও চর্চার প্রয়োজনীয়তা অস্বীকার করার উপায় নেই। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে আরও সমৃদ্ধ করতে হলে আমাদের এই বর্ণমালার যথাযথ চর্চা ও ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। আজকের প্রযুক্তির যুগে বাংলা বর্ণমালা ডিজিটাল মাধ্যমে আরও প্রসার লাভ করছে, যা আমাদের ভাষাকে নতুন মাত্রায় পৌঁছে দিচ্ছে। ফলে বাংলা বর্ণমালা কেবল অতীতের গর্ব নয়, এটি ভবিষ্যতের দিকেও সমানভাবে বিস্তৃত।

Contents show

Oindrila Banerjee

Oindrila Banerjee, a master's graduate in Modern History from Calcutta University, embodies a diverse range of passions. Her heart resonates with the rhythm of creative expression, finding solace in crafting poetic verses and singing melodies. Beyond her academic pursuits, Oindrila has contributed to the educational realm, serving as a teachers' coordinator in a kindergarten English medium school. Her commitment to nurturing young minds reflects her belief in the transformative power of education. Oindrila's guiding principle in life, encapsulated in the motto, "There are two ways of spreading light: to be the candle or the mirror that reflects it,"

Recent Posts