ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস, Brief History of Brahmanbaria District in Bengali

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের চট্টগ্রাম বিভাগের একটি অঞ্চল হল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা। বাংলাদেশের একটি “এ” শ্রেণীভুক্ত এই জেলাটি শিক্ষা ও সংস্কৃতির পীঠস্থান রূপে পরিচিত। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাকে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক রাজধানীও বলা হয়ে থাকে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আয়তন ও অবস্থান, Area and Location of Brahmanbaria District

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আয়তন ১,৯২৭.১১ বর্গ কিলোমিটার (৪,৭৬,১৯৯ একর)।

চট্টগ্রাম বিভাগের সর্ব-উত্তরে ২৩°৩৯´ থেকে ২৪°১৬´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০°৪৪´ থেকে ৯১°৫১´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ জুড়ে এ জেলার অবস্থান।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আয়তন ও অবস্থান

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার উত্তরে রয়েছে কিশোরগঞ্জ জেলা ও হবিগঞ্জ জেলা, দক্ষিণে কুমিল্লা জেলা, পূর্বে হবিগঞ্জ জেলা ও ভারতের ত্রিপুরা এবং পশ্চিমে অবস্থিত মেঘনা নদী, কিশোরগঞ্জ জেলা, নরসিংদী জেলা ও নারায়ণগঞ্জ জেলা।

১৯৮৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি গঠিত হয় বর্তমান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা। 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ইতিহাস, History of Brahmanbaria

বর্তমান ব্রাহ্মণবাড়িয়া ভূখণ্ড প্রাচীন আমলে প্রাচীন বাংলার সমতট জনপদের অংশ ছিল। বারো ভূঁইয়াদের নেতা ঈসা খাঁর জন্ম হয় বর্তমান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল অঞ্চলে। তিনি সরাইল পরগনার জমিদারি লাভ করার পর এখানে রাজধানী স্থাপন করেন।

ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ১৭৬৫ সালে বাংলার দেওয়ানী লাভের পর ত্রিপুরাকে পার্বত্য ত্রিপুরা ও চাকলা রৌশনাবদে বিভক্ত করে। ১৭৮১ সালে বৃহত্তর কুমিল্লা ও নোয়াখালী নিয়ে ইংরেজরা একটি জেলা গঠন করে। ইংরেজরা এ জেলাকে রোশনাবাদ ত্রিপুরা বলত। সেসময় বর্তমান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার অধিকাংশ এলাকা ময়মনসিংহ জেলার অর্ন্তভূক্ত ছিল।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ইতিহাস

১৮৩০ সালে ছাগলনাইয়া থানা ব্যতীত বৃহত্তর নোয়াখালীর বাকী অংশ ত্রিপুরা জেলা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ময়মনসিংহ থেকে সরাইল, দাউদপুর, হরিপুর, বেজরা ও সতেরখন্দল পরগনাকে ত্রিপুরায় অর্ন্তভুক্ত করা হয়। পরবর্তীতে ১৮৬০ সালের ব্রিটিশ আইনে ত্রিপুরার তিন সাব-ডিভিশন থেকে নাসিরনগর মহকুমা সৃষ্টি হয়। ১৮৭৫ সালে মহকুমা সদর নাসিরনগর থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে স্থানান্তরিত হয়। ক্রমে ছয়টি থানার সমন্বয়ে নবগঠিত মহকুমার নামকরণ করা হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া, থানাগুলোর নাম:

  • ব্রাহ্মণবাড়িয়া
  • সরাইল
  • নাসিরনগর
  • নবীনগর
  • আখাউড়া
  • বাঞ্ছারামপুর

১৮৬৮ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। 

নামকরণ, Nomenclature

বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নামকরণ নিয়ে ইতিহাসে একাধিক মত প্রচলিত আছে। এস এম শাহনূর প্রণীত “নামকরণের ইতিকথা” থেকে জানা যায়, সেন বংশের রাজত্বকালে এই অঞ্চলে অভিজাত ব্রাহ্মণকুলের অভাব ছিল বলে এখানকার পূজা অর্চনায় বিঘ্নতার সৃষ্টি হত। এ সমস্যা নিরসনের জন্য রাজা লক্ষণ সেন আদিসুর কন্যকুঞ্জ থেকে কয়েকটি ব্রাহ্মণ পরিবারকে এখানে নিয়ে আসলে কিছু ব্রাহ্মণ পরিবার শহরের মৌলভী পাড়ায় বাড়ি তৈরি করে নেয়। অনেকে বিশ্বাস করেন যে, সেই ব্রাহ্মণদের বাড়ির জন্য জেলার নামকরণ ব্রাহ্মণবাড়িয়া হয়।

বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নামকরণ নিয়ে ইতিহাসে একাধিক মত প্রচলিত আছে

অন্য একটি মতানুসারে, দিল্লি থেকে আগত ইসলাম ধর্ম প্রচারক শাহ সুফী হযরত কাজী মাহমুদ শাহ এই অঞ্চল থেকে ব্রাহ্মণ পরিবার সমূহকে বেরিয়ে যাবার নির্দেশ প্রদান করার পর থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নামের উৎপত্তি হয়। 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐতিহ্য, Traditions of Brahmanbaria

ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুঘল আমলে মসলিন কাপড় তৈরির জন্য বিখ্যাত ছিল। তাছাড়া এ জেলার বিখ্যাত মিষ্টান্ন হল ছানামুখী, এছাড়াও তালের রস দিয়ে তৈরি তালের বড়া ও রসমালাইও এখানকার বিখ্যাত মিষ্টি। 

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার রেলপথ যোগাযোগ, Railway communication of Brahmanbaria district

ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহের সাথে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে। আখাউড়া রেলওয়ে জংশন বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ রেলওয়ে জংশন, যার সাথে বর্তমানে আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেললাইন নির্মাণ করা হয়েছে, যা প্রতিবেশী দেশের যথে যোগাযোগ আরো সহজ করে দিয়েছে।

নৌপথে যোগাযোগ, Communication by sea

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় নৌ যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম তিতাস ও মেঘনা নদী। আশুগঞ্জে আন্তর্জাতিক নৌ-বন্দর স্থাপন করা হয়েছে এবং এটি ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় মাল পরিবহনের কাজেও ব্যবহৃত হচ্ছে । নৌ যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে শাখা নদীর মধ্যে রয়েছে হুরল, সিংরা কালাছড়া, বালুয়া, আউলিয়া জুড়ি, পাগলা, ডোল ভাঙ্গা, বলভদ্র, বিজনা, লঙ্ঘন, লহুর, রোপা, সোনাই, ছিনাইহানি প্রভৃতি। আশুগঞ্জ ঘাটের সাথে হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, সিলেট ও কিশোরগঞ্জের লঞ্চ যোগাযোগ রয়েছে । 

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় নৌ যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম তিতাস ও মেঘনা নদী

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শিক্ষা ব্যবস্থা, Education system of Brahmanbaria

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐতিহ্য

ব্রাহ্মণবাড়িয়া কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে। ২০১১ সালে হওয়া আদমশুমারি অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সাক্ষরতার হার ৪৫.৩%। এই জেলায় রয়েছে 

  • ৪১টি কলেজ,
  • ৩টি কারিগরী,
  •  ৮৯৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়,
  • ১৮২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, 
  • ১টি ল’কলেজ, 
  • ১টি নার্সিং ইন্সটিটিউট, 
  • ১টি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুল, 
  • ১টি পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট, 
  • ১টি পিটিআই। 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শিল্প ও অর্থনীতি, Industry and Economy of Brahmanbaria

১৯৬২ সালে আবিষ্কৃত হয় তিতাস গ্যাস ফিল্ড, ১৯৬৮ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গ্যাস সরবরাহ শুরু করা হয়, এই ফিল্ড দেশের এক-তৃতীয়াংশ গ্যাস সরবরাহ করে। এছাড়াও এই জেলা তাঁত শিল্পের জন্য বিখ্যাত। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। আশুগঞ্জ সার কারখানা দেশের ইউরিয়া সারের অন্যতম বৃহত্তম শিল্প কারখানা। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া বন্দর হল দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্থলবন্দর। এ বন্দরের মাধ্যমেই প্রতিবেশী দেশ ভারতে বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি হয়। 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শিল্প ও অর্থনীতি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সংস্কৃতি, Culture of Brahmanbaria

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বেশ কিছু খ্যাতিমান সঙ্গীতজ্ঞের জন্ম হয়েছিল, তাদের মধ্যে ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ,আলী আকবর খান,বাহাদুর খান প্রমুখ উল্লেখযোগ্য। উপমহাদেশের শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে উক্ত ব্যক্তিদের অবদান অসীম। অন্যদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুতুল নাচের জন্যও বিখ্যাত। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার কৃষ্ণনগর গ্রামের বিপিন পাল ভারতীয় উপমহাদেশের প্রথম পুতুল নাচের প্রচলন করেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সংস্কৃতি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐতিহ্যবাহী উৎসব সমূহ, Traditional festivals of Brahmanbaria

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস নদীতে বছরের পর বছর ধরে ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। প্রতিবছর ভাদ্র মাসের প্রথম তারিখে মনসা পূজা উপলক্ষে তিতাস নদীতে এ নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও ভাদুঘরের বান্নী (মেলা) – তিতাস নদীর তীরে অনুষ্ঠিত হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জনপ্রিয় খেলা, Popular game of Brahmanbaria

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জনপ্রিয় খেলাগুলো হল – ক্রিকেট, ফুটবল, ব্যাডমিন্টন। এছাড়াও এই জেলার ঐতিহ্যবাহী খেলার মধ্যে আছে – নৌকা বাইচ, লাঠিখেলা, গরু দৌড়, আসিল মোরগ লড়াই ইত্যাদি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ক্রীড়াঙ্গনের মূলকেন্দ্র হল নিয়াজ মোহাম্মদ স্টেডিয়াম, যা নির্মিত হয় ১৯৩৪ সালে, এর প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন তৎকালীন এসডিও নিয়াজ মোহাম্মদ খান। এটি দেশের প্রাচীনতম স্টেডিয়াম। 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দর্শনীয় স্থানসমূহ, Sights of Brahmanbaria

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বেশ কিছু ঐতিহাসিক এবং গুরুত্বপূর্ণ ভ্রমনযোগ্য স্থান রয়েছে। সেগুলি হল:

  • ভুরভুরিয়া,বাঞ্ছারামপুর,ব্রাহ্মণবাড়ীয়া
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহীদ স্মৃতিসৌধ অবকাশ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
  • সৌধ হিরন্ময়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
  • জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসা,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
  • কাজী মাহমুদ শাহ (র.) এর মাজার শরীফ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
  • কালভৈরব মূর্তি (১৯০০ শতাব্দী, উচ্চতা ২৮ ফুট), ব্রাহ্মণবাড়িয়া
  • উলচাপাড়া জামে মসজিদ (১৬০০ শতাব্দী), ব্রাহ্মণবাড়িয়া
  • ভাদুঘর শাহী জামে মসজিদ (১৬৬৩ খ্রীষ্টাব্দ)
  • তিতাস নদীর নান্দনিক দৃশ্য, সদর
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিশু পার্ক, সদর
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ, সদর
  • লোকনাথ দীঘি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
  • অদ্বৈত মল্লবর্মনের বাড়ি, গোকর্ণ ঘাট, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
  • আশুগঞ্জ ফার্টিলাইজার কোম্পানী লিমিটেড, আশুগঞ্জ
  • আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানী লিঃ
  • মেঘনা নদী ও চর সোনারামপুরের নান্দনিক দৃশ্য, আশুগঞ্জ
  • শহীদ আব্দুল হালিম রেলওয়ে সেতু, আশুগঞ্জ
  • সৈয়দ নজরুল ইসলাম সড়ক সেতু, আশুগঞ্জ
  • রাষ্ট্রপতি মোঃ জিল্লুর রহমান ২য় রেলওয়ে সেতু, আশুগঞ্জ
  • ভাস্কর্য ‘জাগ্রত বাংলা’ সারকারখানা গেইট
  • মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌধ পাওয়ার স্টেশন গেইট
  • সম্মুখ সমর, নাটাল মাঠ, আশুগঞ্জ
  • বঙ্গবন্ধু মুরাল, কাচারী বিথীকা, আশুগঞ্জ বাজার।
  • ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের মুরাল, ফিরোজ মিয়া সরকারি কলেজ, আশুগঞ্জ।
  • দৃষ্টিনন্দন শহীদ মিনার, ফিরোজ মিয়া সরকারি কলেজ, আশুগঞ্জ
  • গেছুদারাজ (কেল্লা শহীদ) এর মাজার শরীফ, আখাউড়া
  • বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালের কবর, দরুইন, আখাউড়া
  • গঙ্গাসাগর দিঘী- আখাউড়া
  • আখাউড়া স্থলবন্দর
  • কৈলাঘর দুর্গ (কসবা), কুল্লাপাথর শহীদ স্মৃতিসৌধ, কসবা
  • মঈনপুর মসজিদ, কসবা
  • আড়িফাইল মসজিদ, সরাইল
  • ধরন্তির নান্দনিক দৃশ্য, সরাইল
  • সরাইল জামে মসজিদ (১৬৬২)
  • আনন্দময়ী কালীমূর্তি, সরাইল
  • বাসুদেব মূর্তি, সরাইল
  • হাতিরপুল ও ওয়াপদা রেস্ট হাউস, শাহবাজপুর, সরাইল
  • বাঁশি হাতে শিবমূর্তি, নবীনগর
  • কাইতলা জমিদার বাড়ী, নবীনগর
  • গোয়ালীর পীরমুড়ি বিল,নবীনগর
  • রুসুলপুর পুল, নবীনগর
  • হরিপুরের জমিদার বাড়ি, নাসিরনগর
  • ঘাগুটিয়ার পদ্ম বিল- আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নে অবস্থিত। এখানে ঘাগুটিয়া ও মিনারকুট নামে ২টি বিল রয়েছে। শরৎকালে যা পদ্ম ফুলে ভরে যায়।
  • গোকর্ণ নবাব বাড়ি কমপ্লেক্স (সৈয়দ শামসুল হুদার বাড়ি)- নাসিরনগর উপজেলার গোকর্ণ গ্রামে অবস্থিত।
  • কালাছড়া চা বাগান- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার একমাত্র চা বাগান। অন্য নাম ‘হরিহর টি এস্টেট’। বিজয়নগর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের কালাছড়া গ্রামে অবস্থিত।
  • আখাউড়া স্থল বন্দর- আগরতলা-আখাউড়া সীমান্তে বিকালে অনুষ্ঠিত (বিএসএফ) ও (বিজিবি) এর যৌথ কুচকাওয়াজ।
  • কসবা সীমান্ত হাট- কসবা উপজেলায় রয়েছে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত হাট।
  • ক্যামেলিয়া ডানকান ফাউন্ডেশন অর্কিড প্রজেক্ট – সরাইল উপজেলার শাহবাজপুরে অবস্থিত।
  • বিজয়নগর উপজেলার লিচু বাগান- এখানকার সবচেয়ে বড় লিচুর বাজার হল আউলিয়া বাজার ও মেরাশানী বাজার।
  • আনন্দ ভুবন- বল্লভপুর শিমরাইলের মহামিলন, রাজার খালের উপর নির্মিত ব্রীজের দু’পাশ।
  • নারুই ব্রীজ- নারুই ব্রাহ্মানহাতার তিতাস নদীর উপর নির্মিত ব্রীজের দু’পাশ, যার অপরূপ পরিবেশ দেখার জন্য পর্যটকদের আগমন ঘটে।
  • নবীনগর লঞ্চঘাট সংলগ্ন বুড়ি নদীর অপরূপ দৃশ্য
  • রূপসদী জমিদার বাড়ি
  • জয়কুমার জমিদার বাড়ি
  • হরষপুর জমিদার বাড়ি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দর্শনীয় স্থানসমূহ

শেষ কথা, Conclusion 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাংলাদেশের ঐতিহ্যপূর্ণ তথা সংস্কৃতি সম্পন্ন একটি অঞ্চল। তাছাড়া এখানকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বেশ উন্নত এবং দর্শনীয় স্থানসমূহও দেশব্যাপী বেশ জনপ্রিয়। আজকের এই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা বিষয়বস্তুর মাধ্যমে আশা করি আপনারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য জানতে পেরেছেন।

Oindrila Banerjee

Oindrila Banerjee, a master's graduate in Modern History from Calcutta University, embodies a diverse range of passions. Her heart resonates with the rhythm of creative expression, finding solace in crafting poetic verses and singing melodies. Beyond her academic pursuits, Oindrila has contributed to the educational realm, serving as a teachers' coordinator in a kindergarten English medium school. Her commitment to nurturing young minds reflects her belief in the transformative power of education. Oindrila's guiding principle in life, encapsulated in the motto, "There are two ways of spreading light: to be the candle or the mirror that reflects it,"

Recent Posts