মৎস্যজীবী গ্রাম থেকে মেগাসিটি! বদলে যাওয়া এক নগরীর গল্প


দুবাই—এই নামটা শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে বিলাসবহুল জীবনযাত্রা, আকাশছোঁয়া অট্টালিকা, ঝলমলে শপিং মল আর চোখ ধাঁধানো সব বিনোদন কেন্দ্র! কিন্তু জানেন কি, এই মেগাসিটি একসময় ছিল নিছকই এক সাধারণ মৎস্যজীবী গ্রাম? অবিশ্বাস্য লাগছে তো? এটাই দুবাইয়ের আসল গল্প!

কেউ কি ভাবতে পেরেছিল? শুধু মাছ আর মুক্তো ছিল যাদের জীবন!

আজকের দুবাইকে দেখলে কল্পনাও করতে পারবেন না, এর শুরুটা কত সাদামাটা ছিল! বানি ইয়াস নামক এক আদিবাসী গোষ্ঠী ছিল এখানকার প্রধান বাসিন্দা। তাদের জীবন কাটত সাগরে মাছ ধরে আর ঝিনুক থেকে মুক্তো সংগ্রহ করে। হ্যাঁ, মুক্তোই ছিল তাদের কাছে সোনার মতো মূল্যবান, যা বিক্রি করেই চলত তাদের সংসার। চারদিকে ছিল শুধু ধু ধু মরুভূমি আর বালি, আধুনিকতার ছিঁটেফোঁটাও ছিল না। ১৮৮৩ সালে এই গ্রামটি আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে।

মাছ আর মুক্তো ছিল দুবাইবাসীর জীবন!

এক বন্দরের জাদুতে বদলে গেল সবকিছু!

একসময় যা ছিল কেবল কিছু জীর্ণ কুঁড়েঘর আর জেলেদের নৌকা, সেখানেই ধীরে ধীরে গড়ে উঠল একটি বন্দর। আর এই বন্দরই ছিল দুবাইয়ের ভাগ্যের চাবিকাঠি! বন্দরকে কেন্দ্র করে শুরু হলো ব্যবসা-বাণিজ্য। দলে দলে লোক আসতে শুরু করল, বসতি স্থাপন করল, আর সেই ছোট্ট গ্রামটি বদলে যেতে শুরু করল এক নতুন রূপে। গ্রামের পর নগর, আর তারপর শহর—এই ধাপে ধাপে এগিয়েই দুবাই আজ বিশ্বমঞ্চে এক ঈর্ষণীয় স্থান দখল করে নিয়েছে।

 দুবাইয়ের প্রতীক হলো বিশ্বের উচ্চতম ভবন বুর্জ খলিফা।

আজ দুবাইয়ের প্রতীক হলো বিশ্বের উচ্চতম ভবন বুর্জ খলিফা। ভাবুন একবার, যেখানকার মানুষ একসময় বালির নিচে চাপা পড়া মুক্তোর সন্ধানে জীবন কাটাত, সেখানেই আজ মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে এই সুবিশাল স্থাপনা! এটি শুধু একটি বিল্ডিং নয়, এটি এক সাধারণ জনপদের অবিশ্বাস্য রূপান্তরের জীবন্ত প্রমাণ।

বুর্জ খলিফা: আজকের গৌরব!

আজ দুবাই শুধু আরব বিশ্বের নয়, গোটা পৃথিবীর কাছেই এক সাফল্যের কিংবদন্তি। এটি প্রমাণ করে, সঠিক স্বপ্ন আর কঠোর পরিশ্রম থাকলে যেকোনো কিছুই সম্ভব!

RIma Sinha

Rima Sinha is working as a writer and also as a journalist. she got her bachelor of arts degree from Tripura University. She has also completed Master of Arts in Journalism and mass communication from Chandigarh University.

Recent Posts