বর্তমানে প্রায় সবকিছুই ডিজিটাল হয়ে যাচ্ছে। টাকা লেনদেন থেকে শুরু করে জরুরী কাগজপত্রও অনলাইনে আবেদন এবং সংগ্রহ করা যায়, যা আমাদের কাজকে আরো সহজ করে তুলছে। তাছাড়া অনলাইনে জরুরী তথ্যগুলো সংগ্রহ করা থাকলে সেগুলো হারিয়ে যাওয়ার ভয় থাকে না।
অন্যান্য বিভিন্ন জরুরী তথ্যগুলোর মত এখন অনলাইনেই খুব সহজে পাওয়া যায় ই-পাসপোর্ট। কিভাবে আবেদন করবেন, কত দিনে হাতে পাবেন, সেই সব বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে এই প্রতিবেদনে।
কারা পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে পারবেন ? Who can apply for passport
কোনো ব্যক্তি বাংলাদেশী পাসপোর্ট করতে চাইলে, অবশ্যই তাকে বাংলাদেশের অধিবাসী হতে হবে। যেকোনো বয়সের ব্যক্তি চাইলেই খুব সহজে বাংলাদেশী পাসপোর্ট তৈরি করতে পারবেন। তবে মনে রাখা উচিত যে, পাসপোর্ট তৈরি করার জন্য বেশ কিছু নিয়মকানুন অনুসরণ করতে হয় এবং নিজের বেশ কিছু জরুরী তথ্য পাসপোর্ট আবেদনের কাজ সফলভাবে করার জন্য দিতে হয়।
পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে বেশকিছু পর্যায় রয়েছে, যেগুলো সঠিকভাবে পেরিয়ে যেতে হবে, তবেই আবেদন করার কাজ সফলভাবে সম্পন্ন হবে।
পাসপোর্ট আবেদন করতে কি কি প্রয়োজন ? What is required to apply for a passport
পাসপোর্টের জন্য আবেদন করার ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম আপনাকে যে বিষয়টি জেনে নিতে হবে, সেটি হল : পাসপোর্ট আবেদন করতে কি কি রকমের তত্ত্বের প্রয়োজন হবে। ভিন্ন ভিন্ন বয়সের ব্যক্তিবর্গের ক্ষেত্রে পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় তথ্যের বিষয়টি ভিন্ন হয়ে থাকে।
প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য পাসপোর্ট আবেদন করার যে সমস্ত তথ্যের প্রয়োজন হয়, অপ্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে পাসপোর্ট আবেদন করার ক্ষেত্রে সেইসমস্ত তত্ত্বের প্রয়োজন নাও হতে পারে।
অপ্রাপ্তবয়স্কদের পাসপোর্ট আবেদন করার শর্ত, Conditions for minors to apply for passports :
অপ্রাপ্তবয়স্ক আবেদনকারী, অর্থাৎ যদি আপনার বয়স ১ বছর থেকে ১৮ বছরের ভিতরে হয়ে থাকে তাহলে পাসপোর্ট আবেদন করার ক্ষেত্রে যে সব তথ্যের প্রয়োজন হবে সেগুলো হলো:
- পাসপোর্ট আবেদন ফরম এর প্রয়োজন হবে।
- পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয় পত্রের মূল কপি এবং ফটোকপি এর প্রয়োজন হবে।
- যে ব্যক্তি পাসপোর্ট করতে চায় সেই ব্যক্তির ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবির প্রয়োজন হবে।
- এক কপি 3R সাইজের সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড কালার ছবি হতে হবে। এই ছবিটি অবশ্যই ল্যাব প্রিন্ট হতে হবে।
- পিতা-মাতা উভয়ের দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবির প্রয়োজন হবে।
- এক্ষেত্রে আপনি যদি আপনার পেশা যাচাই-বাছাই না করাতে চান, তাহলে যে অপ্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির পাসপোর্ট আবেদন করবেন, সেই ব্যক্তির পেশা ডিপেন্ডেন্ট সিলেক্ট করে নিতে পারেন।
- নাগরিকত্ব সনদের প্রয়োজন হবে।
প্রাপ্তবয়স্কদের পাসপোর্ট আবেদন করতে কি কি প্রয়োজন ? What is required to apply for an adult passport
একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি অর্থাৎ যাদের বয়স ১৮ বছর বা তার চেয়ে বেশি, সেই ব্যক্তির ক্ষেত্রে ই পাসপোর্ট করতে যেসব তথ্য প্রয়োজন :
- সর্বপ্রথম তথ্য হিসেবে e-passport আবেদনের প্রিন্ট কপি এর প্রয়োজন হবে।
- পাসপোর্ট সাইজের ২ কপি ছবির প্রয়োজন হবে।
- জাতীয় পরিচয় পত্রের প্রয়োজন হবে। সেটি না থাকলে জন্ম নিবন্ধন সনদের প্রয়োজন হবে।
- শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রমাণের জন্য শিক্ষাগত সনদের প্রয়োজন হবে।
- পূর্ববর্তী পাসপোর্টের ফটোকপি ও অরিজিনাল পাসপোর্ট লাগতে পারে সেজন্য এটিকে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বলা হয়ে থাকে।
- ঠিকানা প্রমাণের জন্য ইউটিলিটি বিল এবং নাগরিকত্ব সনদের প্রয়োজন হবে।
- পেশাগত সনদের ফটোকপি বা চাকুরীর আইডি কার্ড (পেশাজীবির ক্ষেত্রে- যেমন ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, হিসাবরক্ষক, আইনজীবি)
- অনলাইনে আবেদনের ক্ষেত্রে সামারি কপির প্রয়োজন হবে।
অনলাইনে ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম জেনে নিন, Know the rules for applying e-passport online :
অনলাইনে ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম জেনে নিন :
ঘরে বসে অনলাইনে ই-পাসপোর্ট করার ক্ষেত্রে কয়েকটি পদক্ষেপ অনুসরণ করতে হয়, যার মাধ্যমে আপনি চাইলে সফলভাবেই পাসপোর্ট আবেদন করতে পারবেন।
এক্ষেত্রে সর্বপ্রথম আপনাকে https://www.epassport.gov.bd/onboarding লিংকে ভিজিট করতে হবে।
প্রথম ধাপ :
লিংকে ভিজিট করে প্রথমেই দেখতে হবে যে, আপনার অঞ্চলে ই-পাসপোর্ট রয়েছে কিনা। এরজন্য আপনাকে আপনার জেলা সিলেক্ট করে নিতে হবে এবং নিকটস্থ পুলিশ স্টেশন সিলেক্ট করে নিতে হবে। এছাড়াও আপনি বাংলাদেশে বসে আবেদন করছেন, নাকি বিদেশে বসে ই-পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করছেন সেটি নির্বাচন করে নিতে হবে। তারপর কন্টিনিউ বাটন এর উপরে ক্লিক করে দিন।
দ্বিতীয় ধাপ :
দ্বিতীয় ধাপে আপনাকে পাসপোর্ট আবেদন যে ইমেলের মাধ্যমে করতে চান, সেটি সিলেক্ট করে নিতে হবে, এই ইমেইল এড্রেস এর মাধ্যমে পাসপোর্ট সংক্রান্ত সকল তথ্যবলী পেয়ে যাবেন। লগইন করার ক্ষেত্রে এই ইমেইল এড্রেস এর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
ইমেইল এড্রেস বসিয়ে কন্টিনিউ বাটন এর উপরে ক্লিক করে দিন।
তখন আপনি অন্য আরেকটি পেজে চলে যেতে পারবেন। সেই পেজে আপনাকে ই-মেইল এড্রেসটি পুনরায় বসিয়ে দিতে হবে এবং তারপর অ্যাকাউন্ট সম্পর্কিত যা তথ্য প্রয়োজন সেগুলো বসিয়ে দিন।
পরবর্তীতে পাসপোর্ট পুনরায় আবেদন করার জন্য ইমেইল এড্রেসের সাথে পাসওয়ার্ড নির্বাচন করে নিতে হবে, যাতে করে আপনি লগইন করতে পারেন। পাশাপাশি আইডি কার্ডের তথ্য অনুযায়ী অ্যাকাউন্টের নাম এবং অন্যান্য তথ্যগুলো সম্পৃক্ত করে নিতে হবে। সমস্ত তথ্যগুলো যথাযথভাবে সম্পৃক্ত করে “Create account” বাটন এর উপরে ক্লিক করে দিন। এরপর ইমেইল এড্রেসে একটি কনফারমেশন ইমেইল যাবে, সেটি কনফার্ম করে অ্যাকাউন্ট তৈরি করার কাজ সম্পন্ন করে নেবেন।
তৃতীয় ধাপ :
ইমেইল এড্রেস দেওয়ার পর, ইমেইল এড্রেস ভেরিফাই করে নেয়ার পরে ই- পাসপোর্টের ওয়েবসাইটে লগইন করে Apply for a new Passport লেখা যে বাটন পাবেন, সে বাটন এর উপরে ক্লিক করে দিন। তারপরে; Passport Type হিসেবে সাধারণ পাসপোর্ট হলে Ordinary এবং সরকারি আদেশে বা NOC এর মাধ্যমে পাসপোর্ট হলে Official সিলেক্ট করুন। তারপরে save and continue তে ক্লিক করার পর ব্যাক্তিগত তথ্য দেয়ার মত অপশন পেয়ে যাবেন।
মনে রাখবেন যে, তথ্যগুলো লেখার সময় অবশ্যই সঠিক বিন্যাস অনুযায়ী সকল তথ্য দিতে হবে। তারপরে “Save and Continue” বাটনে উপরে ক্লিক করে দিন।
পরবর্তী ধাপ, Next step :
আপনার ঠিকানা এবং আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র সম্পর্কিত যে সমস্ত তথ্যাবলী প্রয়োজন সেগুলো প্রত্যেকটি তথ্য লিখে দিয়ে, সর্বশেষে আপনি কোথা থেকে পাসপোর্ট ডেলিভারি নেবেন, সেই সম্পর্কিত তথ্য সম্পৃক্ত করে নিয়ে কাজ সম্পন্ন করে নিতে হবে।
এছাড়াও আপনি যদি চান তবে নির্দিষ্ট একটি দিন ঠিক করে অ্যাপয়েনমেন্ট নিয়ে সমস্ত তথ্য ভালোভাবে যাচাই করে নিয়ে পাসপোর্ট আবেদন সম্পন্ন করে নিতে পারবেন। সমস্ত তথ্য যদি সঠিকভাবে দেওয়া হয় তাহলে আপনি পাসপোর্ট আবেদন করার কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করে নিতে পারবেন।
যদি আপনার পাসপোর্ট আবেদন সফলভাবে সম্পন্ন হয়ে যায়; তাহলে আপনি সেটি পাসপোর্ট একাউন্টে ড্যাশবোর্ড থেকে দেখে নিতে পারবেন।
পাসপোর্ট আবেদনের পরবর্তী পদক্ষেপ, Next Steps for Passport Application :
পাসপোর্ট আবেদনের পরবর্তী সময়ে আপনাকে বেশ কিছু ধাপ অতিক্রম করে এগিয়ে যেতে হবে, পাসপোর্ট আবেদন করার পরের গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে রয়েছে :
১) পুলিশ ভেরিফিকেশন :
পুলিশ ভেরিফিকেশনে ধাপটি পাসপোর্ট আবেদন করার ক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে আপনার দেওয়া তথ্যে কোন রকমের গরমিল থাকলে, আপনি এই ধাপটি পাড়ি দিতে পারবেন না।
তবে আপনার দেওয়া প্রত্যেকটি তথ্য যদি সঠিক হয়ে থেকে থাকে এবং আপনি যদি কোন সাজাপ্রাপ্ত মামলার আসামি না হয়ে থাকেন, তাহলে এই ধাপটি সহজেই পাড়ি দিতে পারবেন।
পুলিশ ভেরিফিকেশন এর জন্য গেলে নিম্নে উল্লেখিত তথ্য সাথে নিয়ে যেতে হবে :
- পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরম যথাযথভাবে পূরণ করতে হবে।
- আবেদন করার সময় যে পুলিশ স্টেশনের নাম দিয়েছেন, সেই পুলিশ স্টেশনে যেতে হবে।
- তথ্য নিয়ে কোনো রকমের সমস্যার সম্মুখীন হলে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
২) বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশন বা ফিঙ্গারপ্রিন্ট প্রদান :
অনলাইনে কিংবা অফলাইনে পাসপোর্ট করার জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হল নিকটস্থ পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে ফিঙ্গারপ্রিন্ট প্রদান করা। পাসপোর্ট আবেদন সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিতে হলে আপনাকে নিকটস্থ পাসপোর্ট অফিসে চলে যেতে হবে এবং সেখানে গিয়ে নিজের সম্পর্কে নির্দিষ্ট কিছু তথ্য দেওয়ার পর; ফিঙ্গারপ্রিন্ট দেয়ার কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করে নিতে হবে।
ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিতে গেলে সাথে যে সমস্ত তথ্য নিয়ে যেতে হবে সে সমস্ত তথ্য গুলো হল:
- আবেদনপত্রের প্রিন্ট কপি (অ্যাপয়েন্টমেন্টসহ); অর্থাৎ আপনি যে আবেদন করেছেন এবং সেটি দাখিল হয়েছে সে সম্পর্কিত কাগজ সাথে নিয়ে যেতে হবে।
- শনাক্তকরণ নথির প্রিন্ট কপি (জাতীয় পরিচয় পত্র/ জন্ম নিবন্ধন নম্বর সম্বলিত কার্ড সাথে নিয়ে যেতে হবে।
- আপনার পেমেন্ট সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে এটি প্রমাণের জন্য পেমেন্ট স্লিপ সাথে নিয়ে যেতে হবে।
- পূর্ববর্তী পাসপোর্ট এবং ডাটা পেজের প্রিন্ট কপি যদি থেকে থাকে তাহলে সেটি সাথে নিতে হবে।
- যদি তথ্য সংশোধনের প্রয়োজন হয় তাহলে তথ্য সংশোধনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিতে হবে। • এছাড়াও আপনি চাইলে আবেদনপত্রের প্রিন্ট কপি সাথে নিয়ে যেতে পারেন। যদিও অনেক ক্ষেত্রে এটির কোন প্রয়োজন হয় না।
পাসপোর্ট আবেদনের কত দিনের মধ্যে পাসপোর্ট পেয়ে যাবেন ? After applying for the passport How many days later you will get the passport
ই-পাসপোর্ট ৪৮ ও ৬৪ পাতার। ই- পাসপোর্টের রয়েছে তিনটি ধরণ; সেগুলি হল অতি জরুরি, জরুরি ও সাধারণ। ৫ বছর ও ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্টের জন্য ফি ভিন্ন ভিন্ন হারে জমা দিতে হবে। সফলভাবে সমস্ত পদক্ষেপ অনুসরণ করে পাসপোর্ট আবেদন করা হলে :
- ৫ বছর মেয়াদি ৪৮ পাতার ই-পাসপোর্ট ২ দিনে পেতে ফি দিতে হবে ৭,৫০০ টাকা। জরুরি পাসপোর্ট ৭ দিনে পেতে ফি দিতে হবে ৫,৫০০ টাকা এবং সাধারণ পাসপোর্ট ১৫ দিনে পেতে ফি দিতে হবে ৩,৫০০ টাকা।
- ১০ বছর মেয়াদি ৪৮ পাতার ই-পাসপোর্ট ১৫ দিনে পেতে ফি দিতে হবে ৫,০০০ টাকা। জরুরি পাসপোর্ট ৭ দিনে পেতে ফি দিতে হবে ৭,০০০ টাকা এবং অতি জরুরি পাসপোর্ট ২ দিনে পেতে ফি দিতে হবে ৯,০০০ টাকা।
- ৫ বছর মেয়াদি ৬৪ পাতার ‘সাধারণ পাসপোর্ট’ ১৫ দিনে পেতে ফি দিতে হবে ৫,৫০০ টাকা। জরুরি পাসপোর্ট’ ৭ দিনে পেতে ফি দিতে হবে ৭,৫০০ টাকা এবং অতি জরুরি পাসপোর্ট ২ দিনে পেতে ফি দিতে হবে ১০,৫০০ টাকা।
- ১০ বছর মেয়াদি ৬৪ পাতার সাধারণ পাসপোর্ট ১৫ দিনে পেতে ফি দিতে হবে ৭,০০০ টাকা। ৬৪ পাতার ‘জরুরি পাসপোর্ট’ ৭ দিনে পেতে ফি দিতে হবে ৯,০০০ টাকা। ৬৪ পাতার অতি জরুরি পাসপোর্ট ২ দিনে পেতে ফি দিতে হবে ১২,০০০ টাকা।
শেষ কথা, Conclusion :
ই-পাসপোর্ট তৈরি করতে হলে উপরিউক্ত পদক্ষেপের মাধ্যমে আবেদন করে দিতে পারেন। এভাবে বিভিন্ন পদক্ষেপগুলোর সাহায্যে এগিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে আপনারা খুব সহজে অনেক কম সময়ের মধ্যে ই-পাসপোর্ট পেয়ে যাবেন।