ভ্রমণ মানেই দিঘা, পুরী কিংবা দীপুদার মতো ঘুরে বেড়ানো! কিন্তু এখন আর বাঙালির ঘোরাঘুরির তালিকাটা এতটাও একঘেয়ে নয়। পাহাড়, সমুদ্র, জঙ্গল—সব কিছুতেই আগ্রহ বেড়েছে। যাঁরা নিরিবিলি, কম ভিড়ের মধ্যে শান্তি খোঁজেন, তাঁদের জন্য আদর্শ গন্তব্য হতে পারে ওড়িশার গঞ্জাম জেলার মার্কণ্ডী সমুদ্রসৈকত।
কোথায় এই মার্কণ্ডী সৈকত?

ব্রহ্মপুর শহর থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত একটি ছোট্ট গ্রাম, মার্কণ্ডী। গ্রামের পাশ দিয়েই বয়ে গিয়েছে একটি ছোট নদী—স্থানীয়রা যাকে বলেন মার্কণ্ডী নদী। এই নদী পেরিয়ে গেলেই ধরা দেয় নির্জন, নিস্তব্ধ এক বালুকাবেলা।
সমুদ্রের নীলজল এসে আছড়ে পড়ে বালিতে, আর সেই দৃশ্যের সামনে দাঁড়িয়ে আপনি এক মুহূর্তে ভুলে যেতে পারেন দৈনন্দিন জীবনের যাবতীয় ক্লান্তি।
কেন যাবেন মার্কণ্ডী?
এই সৈকত এখনও পর্যটকদের ভিড়ে পিষ্ট হয়নি। ফলে চারপাশে নেই কোলাহল, নেই অতিরিক্ত বাণিজ্যিকতা। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এখনও অটুট। বিকেলে ঠান্ডা হাওয়ার পরশ আর সমুদ্রের গর্জন যেন মন ছুঁয়ে যায়।
সৈকতের ধারে মাঝে মাঝে চোখে পড়ে সবুজ কেয়া গাছের ঝোপ আর ছোট ছোট লাল কাঁকড়ার আনাগোনা। সব মিলিয়ে এক অপূর্ব পরিবেশ।
আশেপাশে কী দেখবেন?

সৈকতের কাছেই রয়েছে একটি প্রাচীন শিবমন্দির। সেই সঙ্গে মার্কণ্ডী গ্রামটি নিজেই বেশ মনোরম—অরণ্যঘেরা, শান্ত, সহজ সরল গ্রামীণ পরিবেশ। চাইলে দু-তিন দিনের একান্ত অবকাশ কাটিয়ে নেওয়া যায় এখানে।
কবে যাবেন?
গ্রীষ্মের ছুটিতে কিংবা সাপ্তাহিক ছুটিতেই পরিকল্পনা করে নেওয়া যেতে পারে এই অচেনা গন্তব্যে ছোট্ট সফরের।
যদি আপনার মনে হয়, এই গরমে দিঘা-পুরী নয়, বরং কোথাও একটু নির্জনে, শান্তিতে সময় কাটানো দরকার—তাহলে একবার ঘুরে আসতেই পারেন মার্কণ্ডী সমুদ্রসৈকত থেকে। খুব বেশি খরচ নয়, ঝামেলাও কম। কিন্তু মনে রাখার মতো অভিজ্ঞতা, নিশ্চয়ই হবে।
আপনার ব্যাগটা গোছান, আর বেরিয়ে পড়ুন অচেনা এক সমুদ্রের টানে!