কম পুঁজিতে লাভজনক বিনিয়োগ শুরু করার জন্য কিছু কৌশল নিচে দেওয়া হল।
- নিজের দক্ষতা ও আগ্রহকে কাজে লাগান: আপনার যদি কোনো বিশেষ দক্ষতা বা আগ্রহ থাকে, যেমন – লেখালেখি, ছবি আঁকা, বা হাতের কাজ, তাহলে সেই দক্ষতা ব্যবহার করে ছোট ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
- কম চাহিদার জিনিস তৈরি বা বিক্রি করুন: প্রথমে এমন কিছু জিনিস তৈরি বা বিক্রি করার চেষ্টা করুন, যা তৈরি করতে কম খরচ হয় এবং যা মানুষের দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজন। যেমন – হাতে তৈরি গয়না, পোশাক, বা খাবার।
- অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করুন: নিজের তৈরি করা জিনিস বিক্রি করার জন্য বা নিজের কাজের প্রচার করার জন্য বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে পারেন।
- ছোট পরিসরে শুরু করুন: প্রথমে ছোট পরিসরে ব্যবসা শুরু করুন এবং ধীরে ধীরে এর পরিধি বাড়ান। এতে আপনার ঝুঁকি কম থাকবে।
- খরচ কমিয়ে লাভ বাড়ানোর চেষ্টা করুন: ব্যবসার শুরুতেই বেশি খরচ না করে, কিভাবে কম খরচে বেশি লাভ করা যায় সেদিকে নজর দিন।
- ধৈর্য ধরুন: যে কোনো ব্যবসা শুরু করতে সময় লাগে। তাই ধৈর্য ধরে চেষ্টা চালিয়ে যান।
কম পুঁজিতে ব্যবসা শুরু করার অনেক উপায় রয়েছে। এখানে কিছু ধারণা দেওয়া হলো:
১. অনলাইন ব্যবসা:

- ড্রপশিপিং: এখানে আপনাকে কোনো পণ্য স্টক করতে হবে না। আপনি অন্য কারো কাছ থেকে পণ্য কিনবেন এবং আপনার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিক্রি করবেন।
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং: আপনি অন্য কোম্পানির পণ্য বা সেবার প্রচার করবেন এবং কমিশনের মাধ্যমে আয় করবেন।
- ফ্রিল্যান্সিং: আপনি আপনার দক্ষতা যেমন লেখা, ডিজাইন, প্রোগ্রামিং ইত্যাদি ব্যবহার করে অন্যদের জন্য কাজ করতে পারেন।
২. ছোট দোকান:
- মুদি দোকান: আপনার এলাকার মানুষের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বিক্রি করতে পারেন।
- স্টেশনারি দোকান: স্কুল বা কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বিক্রি করতে পারেন।
- ফলের দোকান: স্বাস্থ্যকর খাবার বিক্রি করতে পারেন।

৩. খাদ্য ব্যবসা:
- ঘরে তৈরি খাবার: আপনি ঘরে তৈরি খাবার যেমন আচার, মিষ্টি, কেক ইত্যাদি বিক্রি করতে পারেন।
- ফুড ট্রাক: আপনি একটি ছোট ট্রাক বা ভ্যানে করে খাবার বিক্রি করতে পারেন।
- অনলাইন ফুড ডেলিভারি: আপনি বিভিন্ন রেস্টুরেন্টের খাবার সংগ্রহ করে গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দিতে পারেন।
৪. সেবা ব্যবসা:

- বিউটি পার্লার: আপনি মহিলাদের জন্য সৌন্দর্য সেবা প্রদান করতে পারেন।
- লন্ড্রি সার্ভিস: আপনি কাপড় ধোয়া ও ইস্ত্রি করার সেবা প্রদান করতে পারেন।
- ক্লিনিং সার্ভিস: আপনি ঘর বা অফিস পরিষ্কার করার সেবা প্রদান করতে পারেন।
৫. অন্যান্য ব্যবসা:

- হাতের তৈরি জিনিস: আপনি নিজের তৈরি করা জিনিস যেমন গয়না, পোশাক, খেলনা ইত্যাদি বিক্রি করতে পারেন।
- ব্লগিং: আপনি কোনো বিষয়ে লিখে বা ভিডিও তৈরি করে আয় করতে পারেন।
- ইউটিউব চ্যানেল: আপনি ভিডিও তৈরি করে ইউটিউবে আপলোড করে আয় করতে পারেন।
ব্যবসা শুরু করার আগে, আপনার আগ্রহ এবং দক্ষতা বিবেচনা করা উচিত। এছাড়াও, আপনার এলাকার মানুষের চাহিদা এবং প্রতিযোগিতার মাত্রা সম্পর্কে জেনে নেওয়া ভালো।