বাংলাদেশের অন্যতম উল্লেখ্যযোগ্য মহানগর হল ময়মনসিংহ। এই জেলা বাংলাদেশের অষ্টম বিভাগীয় শহর হিসেবে গণ্য, পাশাপাশি এটি দেশের ১২ তম সিটি কর্পোরেশন। জনসংখ্যার দিক থেকে ময়মনসিংহ দেশের ৮ ম বৃহত্তম মহানগর। ময়মনসিংহ মহানগরের স্থায়ী জনসংখ্যা ডিজিটাল জনশুমারী ও গৃহগণনা ২০২২ অনুযায়ী ৫,৭৬,৭২২ জন।
ময়মনসিংহ মহানগরের ভৌগোলিক পরিচিতি, Geographical introduction of Mymensingh metropolis
ময়মনসিংহ শহরের জেলা পরিষদ সজল কোরায়শীর ডিজাইনে নির্মিত। এর নির্মাণকাল – ২০১১ সাল।
ময়মনসিংহ জেলা ২৪°০২’০৩” থেকে ২৫°২৫’৫৬” উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯°৩৯’০০” থেকে ৯১°১৫’৩৫” পূর্ব দ্রাঘিমাংশের অবস্থিত। দেশের ভূমি রেকর্ড ও ১৯৭১ সালের জরিপ অনুযায়ী এটি ৫,০৩৯.৭৬ বর্গ মাইল অর্থাৎ ১৩,০৫২.৯২ বর্গ কিলোমিটার ব্যাপী অঞ্চল নিয়ে গঠিত। উত্তর বরাবর প্রবাহিত ব্রহ্মপুত্র নদী দ্বারা ময়মনসিংহ শহরটি চিহ্নিত। বলাই বাহুল্য যে ব্রহ্মপুত্র নদটি এই বিভাগের প্রধান নদী। তবে ১৮৯৭ সালের ভূমিকম্পের প্রভাবে এই নদের তলদেশ উত্থিত হয়ে নদের অবস্থা এখন মৃত প্রায়।
ময়মনসিংহ জেলার নামকরণ, Naming of Mymensingh district
বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলার নামকরণ নিয়ে ইতিহাসবিদদের মধ্যে ভিন্ন মত প্রচলিত আছে।
আইন-ই-আকবরীতে ‘মিহমানশাহী’ এবং ‘মনমনিসিংহ’ সরকার বাজুহার পরগনা হিসাবে বর্ণিত আছে; যা বর্তমান ময়মনসিংহকেই ধরা যায়। এর থেকে মনে করা হয় যে সম্রাট আকবরের রাজত্ব কালের পূর্ব থেকেই ময়মনসিংহ নামটি প্রচলিত ছিলো। আবার অনেকে এটাও মনে করে থাকে যে, ময়মনসিংহ নামকরণ করা হয় সম্রাট আকবরের প্রধান সেনাপতি মান সিংহের নাম অনুসারে।
অনেকের মতে, ব্রিটিশ আমলে ময়মনসিংহ অঞ্চলের সমৃদ্ধ জমিদারগণ সরকারের কাছে জেলার নাম ‘ময়মনসিংহ’ রাখার আবেদন করলে সরকার তা গ্রহণ করে নেন।
এই নামকরণ নিয়ে আরও একটি মতবাদ প্রচলিত আছে যে, তুর্কী ইসলাম প্রচারক শাহ সুলতান কমর উদ্দীন রুমী (শাহ সুলতান রুমী) মোমেন শাহ নামক তাঁর একজন শিষ্যকে এই অঞ্চলে ইসলাম প্রচারের দায়িত্ব দেন। উক্ত শিষ্যের এই নাম থেকেই মোমেনশাহী নাম হয় এবং পরে ময়মনসিংহ নামকরণ হয়।
ময়মনসিংহ জেলা সৃষ্টির ইতিহাস, History of creation of Mymensingh district
ময়মনসিংহ জেলা গঠিত হয় ১৭৮৭ সালের ১ মে, এখানকার প্রথম কালেক্টর ছিলেন মি. এফ লি গ্রোস। জেলা গঠিত হওয়ার আগের সময়ে খাগডহর ইউনিয়নের বেগুনবাড়ীর কোম্পানির কুঠিসহ বিভিন্ন জায়গায় কাচারী বসত ছিল। কিন্তু ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে কুঠি বিলীন হয়ে যায়, ফলে শহরের উত্তর অংশে খাগডহরে কাচারী স্থাপন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল।
কিন্তু ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙ্গনের ফলস্বরূপ সেই উদ্যোগও ভেস্তে যায়। পরবর্তী সময়ে কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুরের দক্ষিণে ‘দগদগা’ নামক প্রাচীন বাণিজ্যকেন্দ্রে কাওনা নদীর তীরে জেলা শহর স্থাপন করার উদ্যোগ নেওয়া হলে ঐ অঞ্চলের জমিদাররা এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছিল। তাই ১৭৯১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সেহড়া মৌজায় নাসিরাবাদ নাম দিয়ে জেলা শহরটির পত্তন হয়।
১৮৬৯ সালের ৮ই এপ্রিল, নাসিরবাদ মিউনিসিপ্যালিটি অর্থাৎ পৌরসভা গঠিত হয়। বঙ্গদেশে এটি ছিল প্রথম এবং উপমহাদেশে এটি ছিল দ্বিতীয় পৌরসভা। পৌরসভার প্রথম অফিসিয়াল চেয়ারম্যান ছিলেন মি. আরপর্চা। প্রথম নন অফিশিয়াল চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন চন্দ্রকান্ত ঘোষ। ময়মনসিংহ শহরের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল কালেক্টরেট ভবন।
এরপর ওই সালেই অর্থাৎ ১৭৮৭ সালে প্রচলন করা হয় সরকারী ডাক ব্যবস্থার । ক্রমে জেলা বোর্ড গঠন করা, সরকারি চিকিৎসা কেন্দ্র চালু করা ইত্যাদি কাজও সম্পন্ন হয়। ১৮১৫ সালে ময়মনসিংহ শহর থেকে প্রথম মুদ্রিত পুস্তক প্রকাশিত হয়। প্রথম ইংরেজি স্কুল ১৮৪৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় । ১৮৫৩ সালে জিলা স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হয় প্রথম আদম শুমারী পরিচালিত হয় ১৮৮৩ সালে।
তারপর থেকে একের পর এক করে টেলিগ্রাফ অফিস স্থাপন, ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথ এবং ময়মনসিংহ-জগন্নাথগঞ্জ রেলপথ চালু করা হয়। নাসিরবাদ নাম ১৯০৫ সালে বদলে ময়মনসিংহ পৌরসভা নামকরণ করা হয়। পৌরসভার একতলা পাকা ভবন ১৯১০ সালে নির্মাণ করা হয় যা এখনো ব্যবহৃত হচ্ছে।
ময়মনসিংহ জেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, Educational institutions of Mymensingh district
ময়মনসিংহ উত্তর-মধ্য বাংলাদেশের একটি প্রধান আর্থিক কেন্দ্র এবং শিক্ষাকেন্দ্র। শহরে বেশ কয়েকটি পুরাতন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দেশে সুখ্যাতি অর্জনের পাশাপাশি বিদেশেও সুনাম রয়েছে। ময়মনসিংহ জেলার উল্লেখযোগ্য কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হল :
- ময়মনসিংহে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়,
- জামিয়া আরাবিয়া মাখযানুল উলুম তালতলা,
- বালিয়া মাদ্রাসা ফুলপুর,
- জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়,
- অম্বিকাগঞ্জ কলেজ,
- ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ,
- ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ,
- কমিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজ,
- আনন্দ মোহন কলেজ, ময়মনসিংহ,
- ময়মনসিংহ সরকারি কলেজ,
- মুমিনুন্নিসা সরকারি মহিলা কলেজ,
- ময়মনসিংহ গার্লস ক্যাডেট কলেজ,
- শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজ,
- নটরডেম কলেজ ময়মনসিংহ,
- ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট,
- কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ,
- ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ,
- মুসলিম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ,
- আলমগীর মনসুর (মিন্টু) মেমোরিয়াল কলেজ,
- ময়মনসিংহ জিলা স্কুল,
- বিদ্যাময়ী সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়,
- গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরী হাই স্কুল।
উক্ত স্কুল ও কলেজ সহ আরও বিভিন্ন খ্যাতনামা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে এখানে।
ময়মনসিংহ জেলায় উদীচী, নজরুল একাডেমি, শিল্পকলা একডেমী সহ আরও বেশ উল্লেখ্যযোগ্য কিছু সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। পাশাপাশি কয়েকটি তারুণ্যভিত্তিক সংগঠন রয়েছে, শহরে তারুণ্যভিত্তিক সংগঠন হিসেবে প্রশংসনীয় কাজ করছে “জয় বাংলা ইয়ুথ এওয়ার্ড ২০২১” বিজয়ী প্রতিষ্ঠান প্রজন্ম।
ময়মনসিংহের কিছু দর্শনীয় স্থানসমূহ, Some of the places to visit in Mymensingh
ময়মনসিংহে গিয়ে ঘুরে দেখার যোগ্য বেশ কিছু দর্শনীয় স্থান রয়েছে। বিশেষ করে এই শহরের ঐতিহাসিক গুরুত্ব সম্পন্ন স্থানগুলো ভ্রমণের জন্য উল্লেখযোগ্য। ময়মনসিংহের কিছু দর্শনীয় স্থানসমূহের নাম নিম্নে তুলে ধরা হলো :
- ১৯৭১ স্মৃতিসৌধের ফলক
- শশী লজ (মহারাজা শশীকান্ত আচার্য্য চৌধুরির বাসভবন)
- গৌরিপুর লজ (সোনালি ব্যাংক হেড অফিস সাবেক গৌরিপুরের জমিদারদের বাসভবন)
- বড় মসজিদ, ময়মনসিংহ (স্থাপিত- ১৮৫০/১৮৫২ সাল)
- মদিনা মসজিদ, চর খরিচা, ময়মনসিংহ
- হাসান মঞ্জিল (ধনবাড়ি জমিদারদের শহরের বাড়ি)
- মাথাভাঙ্গা মঠ, ময়মনসিংহ শহর ( ১৮ শতক)
- শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন সংগ্রহশালা
- আলেকজান্ডার ক্যাসেল (লোহার কুটি), ময়মনসিংহ শহর
- স্বাধীনতা স্তম্ভ বা মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ
- শিল্পাচার্য জয়নুল উদ্যান
- ময়মনসিংহ জাদুঘর (প্রত্নতত্ত্ব)
- বোটানিক্যাল গার্ডেন, বাকৃবি
- বিপিন পার্ক (২০০ বছরের পুরোনো)
- ঐতিহাসিজ সার্কিট হাউস ময়দান (আয়তন ১৬ একর)
- আঞ্জুমান ঈদগাহ ময়দান
- বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ
- বাংলাদেশ মৎস্য জাদুঘর, বাকৃবি, ময়মনসিংহ
- কৃষি জাদুঘর, বাকৃবি, ময়মনসিংহ
- মুক্তা গবেষণা ইন্সটিটিউট, বাকৃবি, ময়মনসিংহ
- জার্মপ্লাজম সেন্টার, বাকৃবি, ময়মনসিংহ
- কেওয়াটখালী দ্বিতল রেললাইন, ময়মনসিংহ
- আনন্দ মোহন কলেজ, ময়মনসিংহ (১৯০৮)
- এস কে হাসপাতাল (মহারাজা সূর্যকান্ত কালাজ্বর গবেষণা কেন্দ্র)
- তালজাঙ্গা হাউজ (তালজাঙ্গা জমিদারের শহরের বাসা বর্তমানে মিন্টু কলেজ, ), ময়মনসিংহ শহর
- চাকলাদার হাউজ (বর্তমান সেহরা হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ), ময়মনসিংহ শহর
- রামগোপাল জমিদারের শহরের বাড়ি , কালিবাড়ি রোড, ময়মনসিংহ শহর
- বুধা বাবুর জমিদার বাড়ি( বর্তমানে খামার বাড়ি) ,মহারাজা রোড, ময়মনসিংহ শহর
- জমিদার মদন বাবুর বাড়ি (সাবেক ময়মনসিংহ প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘর), ময়মনসিংহ শহর
- মসুয়ার জমিদারের শহরের বাড়ি, হরিকিশোর রায় রোড, ময়মনসিংহ
- দূর্গাবাড়ি মন্দির (১৮৬৭), ময়মনসিংহ
- নাটোর জমিদারের শহরের বাড়ি, মৃত্যুঞ্জয় স্কুল সংলগ্ন, ময়মনসিংহ শহর
- করোটিয়া জমিদারের শহরের বাড়ি, খান বাহাদুর ঈসমাইল রোড, ময়মনসিংহ শহর
- নারায়নডহের জমিদারের শহরের বাড়ি, ময়মনসিংহ শহর
- গাঙ্গাটিয়া জমিদারের শহরের বাড়ি, ময়মনসিংহ শহর
- বৈলর জমিদারের শহরের বাড়ি, ময়মনসিংহ শহর
- আঠারোবাড়ি বিল্ডিং, আঠারোবাড়ি জমিদারের শহরের বাড়ি, ময়মনসিংহ শহর
- অঘোর বন্ধু গুহের বাড়ি (ময়মনসিংহ মহাবিদ্যালয়), ময়মনসিংহ শহর
- আমবাড়িয়া স্টেট জমিদারের শহরের বাড়ি, ময়মনসিংহ শহর
- সুসং দূর্গাপুরের রাজার শহরের বাড়ি, ময়মনসিংহ শহর
- ডোহাখলা জমিদারের শহরের বাড়ি, ময়মনসিংহ শহর
- গোলকপুর জমিদারের শহরের বাড়ি, ময়মনসিংহ শহর
- ধিৎপুর জমিদারের শহরের বাসভবন , ময়মনসিংহ
- ময়মনসিংহ চিড়িয়াখানা
- ময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় কারাগার (১৭৯২)
- বিজিবি পার্ক, ময়মনসিংহ
- বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু (ব্রহ্মপুত্র সেতু)
- সুতিয়াখালী সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র, ময়মনসিংহ
- বড় কালীবাড়ি মন্দির।
ময়মনসিংহ বিভাগে কয়টি গ্রাম আছে? How many villages are there in Mymensingh division?
ময়মনসিংহ জেলা স্থাপিত হয় ১৭৮৭ সালে। পরবর্তীতে এটিকে ছয়টি জেলায় বিভক্ত করা হয়। টাঙ্গাইল, জামালপুর, ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ, শেরপুর ও নেত্রকোনা। জেলাটি ৮টি পৌরসভা, ১৩টি উপজেলা ও ১৪৭ ইউনিয়ন রয়েছে, ৮৪টি ওয়ার্ড, ২২০১ টি মৌজা এবং ২৭০৯ টি গ্রাম নিয়ে গঠিত।
ময়মনসিংহ বিভাগে কয়টি থানা আছে? How many police stations are there in Mymensingh division?
মোট 4টি পুলিশ সার্কেল এবং 14টি থানা রয়েছে: ময়মনসিংহে কোতয়ালী, মুক্তাগাছা, ফুলবাড়িয়া, পাগলা, ত্রিশাল, গৌরীপুর, ঈশ্বরগঞ্জ, নান্দাইল, ফুলপুর, হালুয়াঘাট, ধুবাওড়া, গোফরগাঁও, ভালুকা ও তারাকান্দা।
ময়মনসিংহ জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত ? What is Mymensingh district famous for?
ময়মনসিংহ জেলা মূলত মৈমনসিংহ গীতিকা, মলুয়া,চন্দ্রাবতী, দেওয়ানা মদিনা, দীনেশ চন্দ্র সেন, কবিকঙ্ক, জাকির মিয়ার জিলাপি ও মুক্তাগাছার মন্ডার জন্য বিখ্যাত বলা হয়। এছাড়া ময়মনসিংহ জেলায় আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের স্মৃতি বিজড়িত স্থান।
ময়মনসিংহ কোন খাবারের জন্য বিখ্যাত? Mymensingh is famous for what food?
মুক্তাগাছার মণ্ডা ময়মনসিংহের বিখ্যাত খাবার। তবে এটি ছাড়াও আরো বিখ্যাত রয়েছে সেগুলো হল :
- জাকির মিয়ার টক মিষ্টি জিলাপি
- খুদের ভাত
- ম্যারা পিঠা
- কবাক
- মিডুড়ী
- চ্যাপা শুঁটকি
শেষ কথা, Conclusion
বাংলাদেশের ময়মনসিংহ দেশের একটি বিখ্যাত জায়গা। অবস্থানের দিকে ময়মনসিংহ জেলা বাংলাদেশের উওর অংশে অবস্থিত একটি জেলা। প্রাকৃতিক বৈচিত্র বা সৌন্দর্যের দিক থেকেও জেলাটি অন্য জেলা থেকে কম নয়।
Frequently Asked Questions :
১৩টি।
মুক্তাগাছার মণ্ডা।
ময়মনসিংহ।