বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলের ঢাকা বিভাগের একটি জেলা হল নারায়ণগঞ্জ। জেলার প্রশাসনিক সদর দপ্তর নারায়ণগঞ্জ শহরেই অবস্থিত। নারায়ণগঞ্জ সোনালী আঁঁশ পাটের উৎপাদনের জন্য প্রাচ্যের ড্যান্ডি নামে পরিচিত। নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দর শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ে অবস্থিত, যা একটি বিখ্যাত নদীবন্দর।
নারায়ণগঞ্জের নামকরণ, Naming of Narayanganj
ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির থেকে ১৭৬৬ সালে মুসলিম ধর্মীয় নেতা নারুল ইসলাম, বর্তমান নারায়ণগঞ্জ অঞ্চল নিজ অধীনস্থ করেন। তিনি প্রভু নারায়ণের সেবার ব্যয়ভার বহন করার জন্য লিখিতভাবে শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে অবস্থিত বাজারকে দেবোত্তর সম্পতি হিসেবে ঘোষণা করেন। এজন্যই পরবর্তীকালে উক্ত স্থানের নাম হয় নারায়ণগঞ্জ।
নারায়ণগঞ্জের আদি নাম কি? What is the original name of Narayanganj?
নারায়ণগঞ্জ নামকরণের পূর্বে সোনারগাঁ ছিল প্রাচীন বাংলার রাজধানী। মুসলিম আমলের সোনারগাঁ নামের উদ্ভব প্রাচীন সুবর্ণগ্রামকে কেন্দ্র করেই। বহু অঞ্চলে মুসলিম অধিকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে ঢাকা নগরের অভ্যুদয়ের পূর্ব পর্যন্ত সময়কালে দক্ষিণ-পূর্ববঙ্গের প্রশাসনিক কেন্দ্র ছিল সোনারগাঁ।
নারায়ণগঞ্জের অবস্থান ও আয়তন, Location and size of Narayanganj
নারায়ণগঞ্জ জেলা বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে অবস্থিত, অর্থাৎ ২৩°৩৩’ থেকে ২৩°৫৭’ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০°২৬’ থেকে ৯০°৪৫’ পূর্ব দ্রাঘিমাংশে এই জেলার অবস্থান। নারায়ণগঞ্জ জেলার উত্তরে নরসিংদী জেলা ও গাজীপুর জেলা রয়েছে, দক্ষিণে আছে মুন্সীগঞ্জ জেলা, এই জেলার পূর্বে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও কুমিল্লা জেলা, পশ্চিমে আছে ঢাকা।
বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জ জেলার মোট আয়তন ৬৮৪.৩৫ বর্গ কিলোমিটার। উক্ত জেলাটি সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে ১৩ মিটার বা ৩২ ফুট গড় উচ্চতায় রয়েছে। ভূসংস্থান অনুসারে গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা অববাহিকার এ জেলা পাললিক মাটির সমতল ভূমি। এখানে বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ হল ১৭৭৭ মিলিমিটার। জেলার আবহাওয়ার কথা বলতে গেলে, বছরের অধিকাংশ সময়ই এখানে ক্রান্তীয় গরম ও শুষ্ক আবহাওয়া বিরাজ করে।
এ উপজেলাতেও দেশের অন্যান্য স্থানের মতো এপ্রিল থেকে জুন মাস সবচেয়ে উষ্ণতম মাস হিসেবে গণ্য হয়, এসময় তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ৩৩.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত থাকে এবং সবচেয়ে শীতলতম মাস হল ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি, শীতে এখানকার তাপমাত্রা সর্বনিম্ন ১২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
নারায়ণগঞ্জ কি সবচেয়ে ছোট জেলা? Is Narayanganj the smallest district?
নারায়ণগঞ্জ জেলা বাংলাদেশের ঝিনাইদহের পর দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম জেলা। তাছাড়া এটি দেশের অন্যতম প্রাচীন শিল্প জেলার প্রাচীন শহরটির আবাসস্থল।
নারায়ণগঞ্জের প্রশাসনিক এলাকাসমূহ, Administrative areas of Narayanganj
১৯৮৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি নারায়ণগঞ্জকে জেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। নারায়ণগঞ্জ জেলার অভ্যন্তরীণ মানচিত্র ২৯২ বর্গমাইল এলাকা নিয়ে গঠিত ছিল যা ৫টি উপজেলায় বিভক্ত। ১৮৮২ সালে নারায়ণগঞ্জ মহকুমা ঘোষিত হয়েছিল। পরবর্তীতে ১৯৮৪ সালে এই মহকুমা জেলায় উন্নীত হয়। ২০১১ সালের ৫ই মে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন করা হয়, যা নারায়ণগঞ্জ সদর পৌরসভা, বন্দর থানার কদমরসুল ও সিদ্ধিরগঞ্জ পৌরসভা সমন্ময়ে গঠন করা হয়।
উপজেলার নাম সমূহ, Name of the various Sub Districts
নারায়ণগঞ্জ জেলায় উপজেলা হল ৫টি। সেগুলোর নাম :
- নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা
- বন্দর উপজেলা
- আড়াইহাজার উপজেলা
- রূপগঞ্জ উপজেলা
- সোনারগাঁও উপজেলা
থানার নাম সমূহ, Name of the police stations
নারায়ণগঞ্জ জেলায় সর্বমোট ৭টি থানা রয়েছে। সেগুলি হল :
- নারায়ণগঞ্জ সদর থানা
- ফতুল্লা থানা
- সিদ্ধিরগঞ্জ থানা
- বন্দর থানা
- সোনারগাঁও থানা
- রূপগঞ্জ থানা
- আড়াইহাজার থানা
নারায়ণগঞ্জের প্রাচীনতম স্থান কোনটি? Which is the oldest place of Narayana Ganj?
পানাম শহর ছিল একটি প্রাচীন শহর, যার প্রত্নতাত্ত্বিক ধ্বংসাবশেষ বাংলাদেশের সোনারগাঁও, নারায়ণগঞ্জে অবস্থিত। এটি বাংলাদেশের প্রাচীনতম শহরগুলির মধ্যে একটি যা এখনও একইভাবে আছে।
নারায়ণগঞ্জ জেলার জনসংখ্যা, Narayanganj district population
নারায়ণগঞ্জ জেলার জনসংখ্যা ২০১৫ সালের তথ্য অনুযায়ী ৩০,৭৪,০৭৭ জন। ২০১১ সালে হওয়া আদমশুমারী ও গৃহগণনা অনুসারে এই জেলার জনসংখ্যা ছিল ২৯৪৮২১৭ জন। জেলায় পুরুষ জনসংখ্যা আনুমানিক ১৫২১৪৩৮ জন এবং নারী জনসংখ্যা ১৪৬৭৭৯ জন। অন্যদিকে নারী ও পুরুষের লিঙ্গ অনুপাত করলে আনুপাতিক মান দাঁড়ায় ১০৭:১০০।
২০০১-২০১১ এর দশকে নারায়ণগঞ্জ জেলার জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল ৩.৫%। প্রতি বর্গকিলোমিটারে জেলায় জনসংখ্যার ঘনত্ব ৪৩০৮ জন; অর্থাৎ প্রতি বর্গমাইলে ১১১৫৭ জন মানুষ বসবাস করে। অন্যদিকে গৃহহীন মানুষের সংখ্যা আনুমানিক ১৬৬৮ জন। জেলায় ৬৭৫৬৫২ টি খানা বা পরিবার রয়েছে, প্রতি পরিবারের আকার ৪.৩৪%।
ধর্মীয় দিক থেকে বিচার করতে গেলে, নারায়ণগঞ্জ জেলার মোট জনসংখ্যার ২৮০২৫৬৭ জন মুসলমান, ১৪৪১০৫ জন হিন্দু, ৯৬৩ জন খ্রিস্টান, ৩৭৮ জন বৌদ্ধ এবং ২০৪ জন অন্যান্য ধর্মের অনুসারী।
নারায়ণগঞ্জের দর্শনীয় স্থানসমূহ, Sightseeing places of Narayanganj
নারায়ণগঞ্জ জেলায় বেশ কিছু দর্শনীয় স্থান রয়েছে, সেগুলো হল :
- নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁয়ে অবস্থিত লোকজ জাদুঘর
- প্রাচীন বৌদ্ধ মঠ, বারদী
- বারদী বাবা লোকনাথ ব্রহ্মচারী আশ্রম ও মন্দির
- লাঙ্গলবন্দ স্নান ঘাট (পুন্য স্নানের জন্যে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পুন্য তীর্থ -স্নান )
- লাঙ্গলবন্দ প্রাচীন মন্দির
- সাব্দী কালী মন্দির
- সাব্দী মঠ
- রাজা লক্ষী নারায়ণ মন্দির (১১৭৩)
- লক্ষী নারায়ণ পুষ্করিনি
- লক্ষী নারায়ণ কটন মিল
- সুলতান গিয়াস উদ্দিন আজম শাহের সমাধি (১৩৯৩-১৪১১)
- কাজী সিরাজউদ্দিনের সমাধি (১৩৯৩-১৪১১)
- পাঁচ পীরের সমাধি
- জয়বাবা লোকনাথ মন্দির (১৪০১)
- বন্দর শাহী মসজিদ (১৪৮১)
- বন্দর শাহী মসজিদ পুষ্কুরিনি বা “গায়েবানা পুকুর’ (১৪৮১)
- সুলতান জালাল উদ্দিন ফতেহ শাহের এক গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদ (১৪৮৪)
- কাইকারটেক হাট
- লর্ড ইংরেজ সাহেবের বাংলো (ধ্বংসাবশেষ )
- বাবা সালেহর মসজিদ (১৫০৫)
- বাবা সালেহর সমাধি (১৫০৬)
- গোয়ালদি মসজিদ (১৫১৯)
- কদম রসুল দরগাহ (১৫৮০)
- কদম রসূল সুলতানি মসজিদ (১৫৮০)
- কাঠ গোলাপ স্থান
- গ্রান্ড ট্রাঙ্ক রোড বা “সড়ক ই আজম “
- সোনাকান্দা হাট
- সোনাকান্দা দুর্গ (১৬৬০)
- ত্রিবেণী ঈশা খান পরিখা (সোনারগাঁও থেকে সোনাকান্দা) (১৬৬০)
- ত্রিবেণী পুল (১৬৬০)
- হাজিগঞ্জ দুর্গ (১৬৬৩)
- কেল্লার পুল (১৬৬৩)
- ত্রিমোহনী পুল (১৬৬৬)
- পাগলা পুল (১৬৬৬)
- বিবি মরিয়মের সমাধি, তোরণ দ্বার, অভ্যর্থনাগার। (১৬৭৮)
- বিবি মরিয়ম মসজিদ
- আশরাফিয়া জামে মসজিদ, আমলাপাড়া
- ঈসা খাঁ জমিদার বাড়ি
- পানাম নগর, সোনারগাঁও
- “কোম্পানি কুঠি” বা “নীল কুঠি”
- সোনারগাঁও লোকশিল্প জাদুঘর
- (অধুনা লুপ্ত) আদমজী জুট মিল্স
- জিন্দা পার্ক
- রাসেল পার্ক ও মিনি চিড়িয়াখানা
- মুড়াপাড়া জমিদার বাড়ি
- সাব্দী কালী মন্দির
- লর্ড ইংরেজ সাহেবের কুঠি
- বায়তুল আমান (১৯৩৯)
- বোস কেবিন (১৯৪২)
- এ কে এম রহমত উল্ল্যাহ মুসলিম ইনস্টিটিউট (১৯৫২)
- বাংলার তাজমহল
- বাংলার পিরামিড
- কাঁচপুর সেতু
- কাঞ্চন সেতু
- সুলতানা কামাল সেতু
- পূর্বাচল উপশহর
- রূপায়ণ উপশহর
- পন্ডস গার্ডেন
- সোনাকান্দা স্টেডিয়াম
- টি হোসেন গার্ডেন, বাগান বাড়ি।
- জালকুড়ি বোট ক্লাব
- নম পার্ক
- মেরি এন্ডারসন ( এটি পর্যটনের উপযুক্ত এক ভাসমান রেস্তোরা)
- এডভ্যাঞ্চার ল্যান্ড
- জাতীয় ক্রিকেট ষ্টেডিয়াম (৩য়), ফতুল্লা
- রয়েল রিসোর্ট
- বালিয়াপাড়া জমিদার বাড়ি
- গোপালদী জমিদার বাড়ি
- সাতগ্রাম জমিদার বাড়ি
নারায়ণগঞ্জ জেলার শিক্ষা ব্যবস্থা, Education system of Narayanganj
নারায়ণগঞ্জ জেলায় ১টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এছাড়া সরকারি ও বেসরকারি মিলে মোট ২০ টি কলেজ, ২০ টি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়(একই সাথে স্কুল ও কলেজ) আছে, অন্যদিকে দুটি ভোকেশনাল স্কুল, ১২৭ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং ৪৫৮ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। পাশাপাশি ৭৬ টি কিন্ডার গার্টেন ও ৫৬ টি মাদ্রাসা রয়েছে। জেলার শিক্ষার হার ২০১১ সালের তথ্য অনুযায়ী ৫৭.১০%। এর মধ্যে নারী স্বাক্ষরতার হার ৫৯.৪৮% এবং পুরুষ স্বাক্ষরতার হার ৫৪.৫৬%।
নারায়ণগঞ্জ জেলার হামদার্দ বিশ্ববিদ্যালয় সোনারগাও উপজেলায় অবস্থিত। তাছাড়াও এখানে দেশের সর্বপ্রথম স্থাপিত মেরিন ও শিপবিল্ডিং ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট রয়েছে। এই জেলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হল তোলারাম সরকারি কলেজ ও নারায়ণগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজ।
নারায়ণগঞ্জের শিল্প সমূহ, Industries of Narayanganj
নারায়ণগঞ্জ বাংলাদেশের ব্যস্ততম বাণিজ্য বাজারের মধ্যে একটি ; এটি পাটের একটি টার্মিনাল বাজার এবং ঐতিহাসিকভাবে এটি চামড়া ও চামড়া সংগ্রহের কেন্দ্র। ঢাকার সাথে একত্রে এটি এক বৃহৎ শিল্প অঞ্চল গঠন করে, যেখানে অনেক পাট প্রেস এবং পাট ও তুলা মিল রয়েছে।
সোনারগাঁও কিসের জন্য বিখ্যাত ছিল? What was Sonargaon famous for?
সোনারগাঁও বাংলার ঐতিহাসিক অঞ্চলের অন্যতম প্রাচীন রাজধানী এবং পূর্ব বাংলার একটি প্রশাসনিক কেন্দ্র ছিল। এটি একটি নদী বন্দরও ছিল। তাঁতি ও কারিগরদের বিশাল জনসংখ্যার সাথে বাংলার মসলিন বাণিজ্যের কেন্দ্রবিন্দু ছিল সোনারগাঁও।
মসলিন কাপড়ের জন্য প্রসিদ্ধ স্থান কোনটি? Which is the famous place for muslin cloth?
মসলিন প্রস্তুত করা হত পূর্ব বাংলার সোনারগাঁও অঞ্চলে। কথিত আছে যে মসলিনে তৈরি করা পোশাকসমূহ এতই সূক্ষ্ম ছিল যে ৫০ মিটার দীর্ঘ মসলিনের কাপড়কে একটি দিয়াশলাই বাক্সে ভরে রাখা যেত। সেইসময়ে এক গজ ঢাকাই মসলিনের দাম ছিল ৫০ থেকে ৪০০ পাউণ্ড, যা আজকের মূল্যমানে ৭,০০০ থেকে ৫৬,০০০ পাউণ্ড।
নারায়ণগঞ্জ এর বিখ্যাত খাবার কি? What is the famous food of Narayanganj?
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নে বসে শতবর্ষী এক সপ্তাহিক হাট, সেটি হল প্রসিদ্ধ কাইকারটেক হাট। এ হাটের অন্যতম আকর্ষণ বিশেষ ধরনের এক মিষ্টি। এ মিষ্টির জন্য শুধু নারায়ণগঞ্জ নয়, আশপাশের জেলাগুলো থেকেও মানুষ আসেন এখানে। এই হাটে পুতা মিষ্টি নামে এক প্রকার ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি পাওয়া যায়, যার স্বাদ মুখে লেগে থাকার মতো। মিষ্টিটি দেখতে স্বাভাবিক মিষ্টির চেয়েও কিছুটা বড়। অনেকটা শিলপোতার মতো। এ মিষ্টির জন্য এখানে ছুটে আসেন অনেক মিষ্টিপ্রেমী।
শেষ কথা, Conclusion
ঢাকা থেকে নারায়নগঞ্জ জেলায় কয়েকটি উপায়ে ভ্রমণ করা যায়। নৌ, সড়ক ও রেল তার মধ্যে অন্যতম। বাংলাদেশ ঘুরতে গেলে অবশ্যই একবার এই জেলা ভ্রমণ করতে পারেন।
Frequently asked questions :
সোনারগাঁ
নারায়ণগঞ্জ জেলা বাংলাদেশের ঝিনাইদহের পর দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম জেলা।
নারায়ণগঞ্জ জেলায় সর্বমোট ৭টি থানা রয়েছে।