ফল নয়, গাছে ঝুলছে হাজার হাজার ঘড়ি! এমন দৃশ্য কি আগে কখনও দেখেছেন? উজ্জয়িনীর এক বটগাছ এখন ‘ঘড়ি ওয়ালে বাবা মন্দির’ নামে পরিচিত, যেখানে মানুষ ঘড়ি নিয়ে আসেন এবং গাছে ঝুলিয়ে রেখে যান! কেন? চলুন, রহস্য ফাঁস করা যাক!
ঘড়ি গাছের অদ্ভুত কাহিনি!
সাধারণ এক বটগাছ, যার ডালপালার বদলে ঝুলছে হাজার হাজার ঘড়ি! দেওয়াল ঘড়ি থেকে হাতঘড়ি – সব রকমের ঘড়ি দেখা যায় এই গাছে!

কীভাবে শুরু হলো এই রীতি?
প্রায় চার বছর আগে, এক ভক্ত মন্দিরের দেবতার কাছে একটি হাতঘড়ি প্রণামী হিসেবে রেখে যান। এরপরই ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বাস— এখানে ঘড়ি দিলেই মনোবাঞ্ছা পূরণ হয়!
ভক্তরা মন্দিরের ভেতরে জায়গা না পেয়ে বটগাছের ডালে ঘড়ি ঝুলিয়ে দিতে শুরু করেন। এখন এই গাছের ডালপালা ঘড়িতে ঢেকে গেছে!
মানুষ এখানে কেন আসেন?
বিশ্বাস: ঘড়ি দিলেই জীবনের সমস্যা মিটে যায়, সুখ-সমৃদ্ধি ফিরে আসে।
মনোবাঞ্ছা পূরণের আশা: চাকরি, ব্যবসা, পরিবার— যে কোনও সমস্যার সমাধানের জন্য এখানে ঘড়ি দিয়ে যান ভক্তরা।
আকর্ষণীয় দর্শনীয় স্থান: আশেপাশের পর্যটকদের কাছেও এটি এখন এক বিস্ময়কর স্থান!
এই রহস্যময় মন্দিরের পরিচয়

মন্দিরের নাম: ‘সাগাস মহারাজ করোন্দিয়া সরকার মন্দির’
পরিচিত নাম: ‘ঘড়ি ওয়ালে বাবা মন্দির’
অবস্থান: উজ্জয়িনী, মধ্যপ্রদেশ
এখনও মানুষ থামেননি!
আজও ভক্তরা ঘড়ি হাতে হাজির হন মন্দিরে, দেবতার উদ্দেশ্যে ঘড়ি উৎসর্গ করেন, আর প্রার্থনা করেন নিজেদের জীবনের ভালো সময় ফিরে পাওয়ার জন্য!