ভিন্গ্রহীদের অস্তিত্ব নিয়ে জল্পনা নতুন নয়, কিন্তু এবার যা জানা গেল, তা যেন সোজা কোনও হলিউড সায়েন্স ফিকশন সিনেমার চিত্রনাট্য! সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে CIA-র একটি ‘গোপন’ নথি, যা দাবি করছে—১৯৮৯ সালে রাশিয়ায় ভিন্গ্রহীদের হামলায় ২৩ জন সেনা প্রস্তরে পরিণত হয়েছিলেন!
নথি ফাঁস, তোলপাড় গোটা দুনিয়া

এই ‘গোপন’ নথিটি একটি একপাতার রিপোর্ট, যা নিউ ইয়র্ক পোস্ট-এর মতে ঠান্ডা যুদ্ধের সময়কার। সেই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, সাইবেরিয়ার এক সামরিক প্রশিক্ষণ শিবিরে ঘটে যায় এই অবিশ্বাস্য ঘটনা। এক রহস্যময় উড়ন্ত যানকে লক্ষ্য করে রুশ সেনারা ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়েন। যানটি ভূপাতিত হয়। এরপরই ঘটতে থাকে একের পর এক ভয়ঙ্কর কাণ্ড!
যুদ্ধের বদলা নেয় এলিয়েনরা?
রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভূপাতিত যানটি থেকে বেরিয়ে আসে পাঁচজন খর্বাকৃতি, অস্বাভাবিক বড় মাথাওয়ালা এবং বিশাল চোখওয়ালা ভিন্গ্রহী। তাঁরা গোল হয়ে দাঁড়িয়ে এক অদ্ভুত শক্তি ব্যবহার করে। হঠাৎ করেই তীব্র আলোর ঝলকানিতে আক্রান্ত হন ২৩ জন রুশ সেনা। ওই আলোর সংস্পর্শে এসেই তারা পাথরে রূপান্তরিত হয়ে যান!

প্রমাণ লোপাট করেছিল KGB?
বলা হচ্ছে, ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া ভিন্গ্রহী যান এবং প্রস্তরস্তম্ভে পরিণত সৈনিকদের নিয়ে যাওয়া হয় মস্কোর এক গোপন গবেষণাগারে। সোভিয়েত বিজ্ঞানীরা জানান, ওই উজ্জ্বল আলো মানবদেহের কোষকে চুনাপাথরের মতো শক্ত বস্তুতে পরিণত করেছিল! এমন শক্তিশালী অস্ত্র পৃথিবীর কোনও দেশের কাছে নেই বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।
CIA-র হাতে এল গোপন ফাইল!
১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর ভেঙে যায় গুপ্তচর সংস্থা KGB। তখনই তাদের ২৫০ পাতার রিপোর্ট CIA-র হাতে চলে আসে বলে দাবি। সেই রিপোর্টে রয়েছে প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ, এমনকি একজন রক্তাক্ত সৈনিকের পাথরে রূপান্তরিত হওয়ার ছবিও!

সরকার চুপ, কিন্তু রহস্য গভীর!
রাশিয়া বা আমেরিকার কোনও সরকারই আজ পর্যন্ত এই রিপোর্ট নিয়ে মুখ খোলেনি। তবে ২০০০ সালে কানাডা ও ইউক্রেনের একাধিক সংবাদমাধ্যম এই নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করে। এবার ফের ভাইরাল হয়েছে এই ঘটনার CIA রিপোর্ট, আর তা ঘিরে সৃষ্টি হয়েছে প্রবল আলোড়ন।
তাহলে কি সত্যিই ভিন্গ্রহীরা আমাদের মাঝে এসে গিয়েছে? প্রতিশোধ নিতে সক্ষম এমন শক্তি থাকলে, মানব সভ্যতার ভবিষ্যত কি প্রশ্নচিহ্নের মুখে?