হনুমানজির আশীর্বাদ পেতে অনেকেই হনুমান চালিশা পাঠ করে থাকেন। হনুমান চালিশা হল প্রভু হনুমানকে উৎসর্গ করা সবচেয়ে জনপ্রিয় হিন্দু ভক্তিমূলক স্তোত্রগুলির মধ্যে একটি ।
তবে আপনারা কি জানেন হনুমান চালিসা পাঠের বেশ কয়েকটি নিয়ম রয়েছে। কী ভাবে হনুমান চালিশা পাঠ করবেন এবং উপকারিতা সম্পর্কে বিশদে জানতে প্রতিবেদনটি শেষ অবধি পড়তে হবে।
হনুমান চালিশা কি? What is Hanuman Chalisa?
হনুমান চালিশা হল রামায়ণের অন্যতম মুখ্য ব্যক্তিত্ব হনুমানের প্রতি নিবেদিত অওধী ভাষায় লিখিত একটি জনপ্রিয় ভক্তিমূলক চালিশা অর্থাৎ চল্লিশটি চৌপাই নিয়ে রচিত কবিতা।
হনুমান চালিশা কে রচনা করেন ? Who composed Hanuman Chalisa?
তুলসীদাসজি ৪০ দোহার হনুমান চালিশা রচনা করেছিলেন। হিন্দু বিশ্বাস অনুযায়ী বজরংবলীকে খুশি করার সবচেয়ে সহজ উপায় হল হনুমান চালিশা পাঠ করা। বজরংবলীকে শক্তি, ক্ষমতা ও সাহসের প্রতীক বলে মনে করা হয়। তাই বজরংবলীর এই মন্ত্র পাঠ করলে পরাজিত হবে শত্রু, দূর হবে ভয়-বিঘ্ন।
হনুমানের চালিশায় কি লেখা আছে? What is written in Hanuman Chalisa?
হনুমান চালিশায় হনুমান তথা বজরংবলীর শক্তি, সাহস, প্রজ্ঞা, ব্রহ্মচর্য (ব্রহ্মচর্য) এবং রামের প্রতি ভক্তি সহ শক্তি এবং অন্যান্য গুণাবলীর প্রশংসা সম্পর্কে উল্লেখ করা হয়েছে।
রচনাটি তেতাল্লিশটি শ্লোক নিয়ে গঠিত – দুটি পরিচায়ক দোহা, চল্লিশটি চৌপাই এবং শেষে একটি দোহা। প্রথম পরিচায়ক দোহা শুরু হয় ‘শ্রী’ শব্দ দিয়ে, শিবকে নির্দেশ করে, যাকে হনুমানের গুরু বলে মনে করা হয়।
হনুমান চালিশা, Hanuman Chalisa :
দোহা
শ্রী গুরু চরণ সরোজ রজ নিজমন মুকুর সুধারি ।
বরণৌ রঘুবর বিমলযশ জো দাযক ফলচারি ॥
বুদ্ধিহীন তনুজানিকৈ সুমিরৌ পবন কুমার ।
বল বুদ্ধি বিদ্যা দেহু মোহি হরহু কলেশ বিকার ॥
ধ্যানম্
অতুলিত বলধামং স্বর্ণ শৈলাভ দেহম্ ।
দনুজ বন কৃশানুং জ্ঞানিনা মগ্রগণ্যম্ ॥
সকল গুণ নিধানং বানরাণা মধীশম্ ।
রঘুপতি প্রিয ভক্তং বাতজাতং নমামি ॥
গোষ্পদীকৃত বারাশিং মশকীকৃত রাক্ষসম্ ।
রামাযণ মহামালা রত্নং বংদে-(অ)নিলাত্মজম্ ॥
যত্র যত্র রঘুনাথ কীর্তনং তত্র তত্র কৃতমস্তকাংজলিম্ ।
ভাষ্পবারি পরিপূর্ণ লোচনং মারুতিং নমত রাক্ষসাংতকম্ ॥
মনোজবং মারুত তুল্যবেগম্ ।
জিতেংদ্রিযং বুদ্ধি মতাং বরিষ্টম্ ॥
বাতাত্মজং বানরযূথ মুখ্যম্ ।
শ্রী রাম দূতং শিরসা নমামি ॥
চৌপাঈ
জয হনুমান জ্ঞান গুণ সাগর ।
জয কপীশ তিহু লোক উজাগর ॥ 1 ॥
রামদূত অতুলিত বলধামা ।
অংজনি পুত্র পবনসুত নামা ॥ 2 ॥
মহাবীর বিক্রম বজরংগী ।
কুমতি নিবার সুমতি কে সংগী ॥3 ॥
কংচন বরণ বিরাজ সুবেশা ।
কানন কুংডল কুংচিত কেশা ॥ 4 ॥
হাথবজ্র ঔ ধ্বজা বিরাজৈ । [ঔরু]
কাংথে মূংজ জনেবূ সাজৈ ॥ 5॥
শংকর সুবন কেসরী নংদন । [শংকর স্বযং]
তেজ প্রতাপ মহাজগ বংদন ॥ 6 ॥
বিদ্যাবান গুণী অতি চাতুর ।
রাম কাজ করিবে কো আতুর ॥ 7 ॥
প্রভু চরিত্র সুনিবে কো রসিযা ।
রামলখন সীতা মন বসিযা ॥ 8॥
সূক্ষ্ম রূপধরি সিযহি দিখাবা ।
বিকট রূপধরি লংক জলাবা ॥ 9 ॥
ভীম রূপধরি অসুর সংহারে ।
রামচংদ্র কে কাজ সংবারে ॥ 10 ॥
লায সংজীবন লখন জিযাযে ।
শ্রী রঘুবীর হরষি উরলাযে ॥ 11 ॥
রঘুপতি কীন্হী বহুত বডাযী (ঈ) ।
তুম মম প্রিয ভরত সম ভাযী ॥ 12 ॥
সহস্র বদন তুম্হরো যশগাবৈ ।
অস কহি শ্রীপতি কংঠ লগাবৈ ॥ 13 ॥
সনকাদিক ব্রহ্মাদি মুনীশা ।
নারদ শারদ সহিত অহীশা ॥ 14 ॥
যম কুবের দিগপাল জহাং তে ।
কবি কোবিদ কহি সকে কহাং তে ॥ 15 ॥
তুম উপকার সুগ্রীবহি কীন্হা ।
রাম মিলায রাজপদ দীন্হা ॥ 16 ॥
তুম্হরো মংত্র বিভীষণ মানা ।
লংকেশ্বর ভযে সব জগ জানা ॥ 17 ॥
যুগ সহস্র যোজন পর ভানূ ।
লীল্যো তাহি মধুর ফল জানূ ॥ 18 ॥
প্রভু মুদ্রিকা মেলি মুখ মাহী ।
জলধি লাংঘি গযে অচরজ নাহী ॥ 19 ॥
দুর্গম কাজ জগত কে জেতে ।
সুগম অনুগ্রহ তুম্হরে তেতে ॥ 20 ॥
রাম দুআরে তুম রখবারে ।
হোত ন আজ্ঞা বিনু পৈসারে ॥ 21 ॥
সব সুখ লহৈ তুম্হারী শরণা ।
তুম রক্ষক কাহূ কো ডর না ॥ 22 ॥
আপন তেজ সম্হারো আপৈ ।
তীনোং লোক হাংক তে কাংপৈ ॥ 23 ॥
ভূত পিশাচ নিকট নহি আবৈ ।
মহবীর জব নাম সুনাবৈ ॥ 24 ॥
নাসৈ রোগ হরৈ সব পীরা ।
জপত নিরংতর হনুমত বীরা ॥ 25 ॥
সংকট সে হনুমান ছুডাবৈ ।
মন ক্রম বচন ধ্যান জো লাবৈ ॥ 26 ॥
সব পর রাম তপস্বী রাজা ।
তিনকে কাজ সকল তুম সাজা ॥ 27 ॥
ঔর মনোরথ জো কোযি লাবৈ ।
তাসু অমিত জীবন ফল পাবৈ ॥ 28 ॥
চারো যুগ প্রতাপ তুম্হারা ।
হৈ প্রসিদ্ধ জগত উজিযারা ॥ 29 ॥
সাধু সংত কে তুম রখবারে ।
অসুর নিকংদন রাম দুলারে ॥ 30 ॥
অষ্ঠসিদ্ধি নব নিধি কে দাতা ।
অস বর দীন্হ জানকী মাতা ॥ 31 ॥
রাম রসাযন তুম্হারে পাসা ।
সদা রহো রঘুপতি কে দাসা ॥ 32 ॥
তুম্হরে ভজন রামকো পাবৈ ।
জন্ম জন্ম কে দুখ বিসরাবৈ ॥ 33 ॥
অংত কাল রঘুপতি পুরজাযী । [রঘুবর]
জহাং জন্ম হরিভক্ত কহাযী ॥ 34 ॥
ঔর দেবতা চিত্ত ন ধরযী ।
হনুমত সেযি সর্ব সুখ করযী ॥ 35 ॥
সংকট ক(হ)টৈ মিটৈ সব পীরা ।
জো সুমিরৈ হনুমত বল বীরা ॥ 36 ॥
জৈ জৈ জৈ হনুমান গোসাযী ।
কৃপা করহু গুরুদেব কী নাযী ॥ 37 ॥
যহ শত বার পাঠ কর কোযী । [জো]
ছূটহি বংদি মহা সুখ হোযী ॥ 38 ॥
জো যহ পডৈ হনুমান চালীসা ।
হোয সিদ্ধি সাখী গৌরীশা ॥ 39 ॥
তুলসীদাস সদা হরি চেরা ।
কীজৈ নাথ হৃদয মহ ডেরা ॥ 40 ॥
দোহা
পবন তনয সংকট হরণ – মংগল মূরতি রূপ্ ।
রাম লখন সীতা সহিত – হৃদয বসহু সুরভূপ্ ॥
সিযাবর রামচংদ্রকী জয । পবনসুত হনুমানকী জয । বোলো ভাযী সব সংতনকী জয ।
হনুমান চালিশা কি শিক্ষা দেয়? What does Hanuman Chalisa teach?
হনুমান চালিশা আমাদের শেখায় যে যদিও ভগবান হনুমানের অপরিসীম জ্ঞান, গুণাবলী এবং প্রজ্ঞা রয়েছে, তবে তিনি চিরকালের জন্য নম্র এবং আগ্রহী ছিলেন যখন প্রভু রামের সেবা করার কথা আসে। এটি আমাদের শিক্ষা দেয় যে নিঃস্বার্থ সেবার মধ্যেই প্রকৃত জ্ঞান নিহিত ।
হনুমান চালিশা পাঠের নিয়ম, Rules of reading Hanuman Chalisa :
অনেকেই হয়তো লক্ষ্য করেছেন, হিন্দুধর্ম অনুসারে সপ্তাহের এক একটি দিন নির্দিষ্ট দেবতার উদ্দেশ্যে নিবেদিত। সেক্ষেত্রে মঙ্গলবার বজরংবলীর দিন। এই বারে সংকট মোচন হনুমানের আরাধনা করলে তাঁর কৃপায় জীবনের সব বাধা বিঘ্ন দূর করার পাশাপাশি মনের ভয় কাটানো সম্ভব হয় বলে বিশ্বাস করা হয়।
তাই অনেকেই খারাপ সময় কাটিয়ে উঠতে প্রতি মঙ্গলবার হনুমান চালিশা পাঠ করেন এবং অন্যদেরকেও এই কাজ করার পরামর্শ দেন। মঙ্গলবার ছাড়াও, আপনি শনিবার হনুমান চালিসাও জপ করতে পারেন। তবে হনুমান চালিসা পাঠ করার কয়েকটি নিয়ম রয়েছে। নিয়মগুলো জেনে নিন :
- ব্রহ্মমুহূর্তে অর্থাৎ সূর্যোদয়ের আগে হনুমান চালিশা পাঠ করতে হয়। সূর্যাস্তের পরেও এই মন্ত্র পাঠ করতে পারেন। এর কারণ দিনের বেলা হনুমানজি নিজে শ্রীরামের আরাধনায় মগ্ন থাকেন বলে মনে করা হয়। তাই দিনের বেলা এই মন্ত্র পাঠ করার কোনো অর্থ নেই।
- হনুমান চালিশা পাঠ করার আগে অবশ্যই ১০৮ বার রাম নাম করে নিতে হবে।
- হনুমান চালিশা পাঠ শুরু করার আগে দেশি ঘি-এর একটি প্রদীপ জ্বালিয়ে নিতে হবে।
- তাড়াহুড়ো করে কখনো হনুমান চালিশা পাঠ করতে যাবেন না। মন্ত্র পথের সময় প্রতিটি শব্দ যেন জোরে ও স্পষ্ট ভাবে উচ্চারিত হয়।
- হনুমান চালিশা মুখস্থ থাকলেও হনুমান চালিসা বই থেকে দেখেই পাঠ করুন।
- হনুমান চালিশা পাঠ করার সময় সামনে এক গ্লাস জল রাখতে হবে, কারণ হনুমান চালিশা পাঠ করার সময় একটা তরঙ্গের সৃষ্টি হয় বলে প্রচলিত বিশ্বাস। তাই মন্ত্র পাঠ করার সময় গ্লাসের জল তরঙ্গটি শোষণ করে নিতে পারবে। তাই পাঠ শেষে ওই জল আপনি পান করলে ইতিবাচক তরঙ্গ জলের সাথে আপনার মধ্যে প্রবেশ করবে।
- হনুমান চালিশা পাঠ করার আগে স্নান করে স্বচ্ছ পোশাক ধারণ করা উচিত। পাঠ করার পর গঙ্গাজল দিয়ে বজরংবলীকে স্নান করিয়ে নিন।
- হনুমান চালিশা পাঠ করার জন্য লাল রঙের আসন ব্যবহার করতে হবে।
হনুমান চালিসা কোন দিকে বসে পড়তে হয়? Hanuman Chalisa should be read in which direction?
আদর্শভাবে, ভোরবেলা বা সন্ধ্যায় হনুমান চালিসা জপ করুন যখন পরিবেশ শান্ত এবং ধ্যানের জন্য উপযোগী হয়। একটি পরিষ্কার এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বসুন, বিশেষত পূর্ব বা উত্তর দিকে মুখ করে বসে চালিশা পাঠ করুন।
হনুমান চালিশা পড়লে কি হয়? What happens when you read Hanuman Chalisa?
হনুমান চালিসা জপ করা হৃদয়কে আলোড়িত করে এবং মনে বজরংবলীর প্রতি ভক্তির শিখা জ্বালিয়ে দেয়, পাশাপাশি শ্রদ্ধার গভীর অনুভূতি জাগিয়ে তোলে বলে মনে করা হয়। এমনকি হনুমান চালিশার একটি সাধারণ পাঠ ভক্তির গভীর অনুভূতিকে অনুপ্রাণিত করে। এটি ব্যাপকভাবে বিশ্বাস করা হয় যে হনুমান চালিশার নিয়মিত পাঠ অসুস্থতা, প্রতিপক্ষ এবং প্রতিকূলতা থেকে ঐশ্বরিক সুরক্ষা প্রদান করে।
প্রতিদিন হনুমান চালিসা পাঠ করার অনেক উপকারিতা রয়েছে। এটি আপনাকে একটি ইতিবাচক জীবনধারা বজায় রাখতে সাহায্য করে । এটা বিশ্বাস করা হয় যে হনুমান চালিসা পাঠ দুর্ঘটনা বা অন্যান্য দুর্ঘটনা প্রতিরোধ করে, পূর্ণ ভক্তি সহকারে এটি প্রতিদিন পাঠ করলে আপনার সমস্ত ইচ্ছা পূরণ হতে পারে।
যদি কোনও ব্যক্তি তাদের অতীত অভিজ্ঞতার সাথে কাটিয়ে উঠতে না পারেন, তবে তাদের অবশ্যই হনুমান চালিসা পাঠ করতে হবে যাতে এই অবস্থা কাটিয়ে উঠতে পারে। এছাড়া যারা মনে করেন যে তারা ডিপ্রেশনে আছেন এবং দুশ্চিন্তার সমস্যা আছে তাদের এই সমস্যা থেকে স্থায়ীভাবে মুক্তি পেতে ৭ বার হনুমান চালিসা নিয়মিত পাঠ করতে পারেন।
হনুমান চালিশা শেখার সহজ উপায় কি? What is the easiest way to learn Hanuman Chalisa?
হনুমান চালিসা মুখস্ত করার সর্বোত্তম উপায় হল প্রতিদিন এটি জপ করা । শুধু সরলভাবে পাঠ করবেন না, সম্পূর্ণ বিশ্বাস ও ভক্তি সহকারে জপ করুন।
হনুমান চালিশা রাতে পাঠ করলে কি হয়? What happens if Hanuman Chalisa is recited at night?
রাতে হনুমান চালিশা পাঠ করলে মানসিক শান্তি ও মনের জোর বৃদ্ধি পায়। শাস্ত্র মতে প্রতি মঙ্গল, বৃহস্পতি ও শনিবার রাতে হনুমান চালিশা পাঠ করলে কর্ম জীবনে বিশেষ উন্নতি ঘটতে দেখা যায়। দৈনন্দিন জীবনে আমরা অজান্তেই যে সব পাপ কাজ করে ফেলি, তার অনেকটা কেটে যায় রাতে হনুমান চালিশা পাঠ করলে।
হনুমান চালিশা ১০৮ বার পাঠ করলে কি হয়? What happens if Hanuman Chalisa is recited 108 times?
হনুমান চালিসা যদি একবারও পাঠ করা হয় তবে তা একজনের জীবনে খারাপ প্রভাব থেকে রক্ষা করবে এবং তাকে এবং তাদের পরিবারকে আশীর্বাদ করবে। প্রতিদিন বা সাপ্তাহিক ১০৮ বার হনুমান চালিসা জপ করলে ভক্ত জীবন-মৃত্যুর বন্ধন থেকে মুক্তি পাবে এবং মহান আধ্যাত্মিক সুখ লাভ করবে বলে বিশ্বাস করা হয়।
বিছানায় শুয়ে হনুমান চালিশা পড়া যাবে কি? Can Hanuman Chalisa be read lying in bed?
ঐতিহ্য এবং স্বতন্ত্র বিশ্বাস বিছানায় হনুমান চালিসা পড়ার সাথে কোন সমস্যা দেখতে পায় না। ঘুমের আগে বিছানায় বসে চালিশা পাঠ ঈশ্বরের সাথে আপনার সংযোগ স্থাপন বা সুরক্ষা এবং শান্তি খোঁজার একটি উপায় হতে পারে।
হনুমান চালিশা ভুল উচ্চারণ করলে কি হয়? What happens if Hanuman Chalisa is pronounced wrongly?
ভুল উচ্চারণ স্তূতির অর্থ সম্পূর্ণরূপে বদলে দিতে পারে। হনুমান চালিসার একটি স্তূতি, তাই এর ভুল উচ্চারণ ক্ষতিকারক হবে না। কিন্তু তবুও এটি পাঠ করার সময় সঠিক উচ্চারণ সহ সবগুলো শব্দ বলুন, শুনুন এবং পুনরাবৃত্তি করার চেষ্টা করুন।
হনুমান চালিসা দিনে কতবার পড়া উচিত? How many times a day should Hanuman Chalisa be recited?
হনুমান চালিসা দিনে কতবার পড়বেন, এটা সম্পূর্ণভাবে আপনার উপর নির্ভর করে। তবে দিনে সাতবার আদর্শ বলে বিবেচিত হয়। অনেকে দিনে তিনবার এর পাঠ করে থাকেন।
ননভেজ খাওয়ার পর হনুমান চালিশা পড়া যাবে কি? Can Hanuman Chalisa be recited after eating non-veg?
যারা নন-ভেজ ডায়েট অনুসরণ করে তারা হনুমান চালিসা পাঠ করতে পারেন । আপনি বেশিরভাগ ভক্তদের মতো মঙ্গলবার এবং শনিবার নিরামিষ খাবার খেতে পারেন, তবে এটি অপরিহার্য নয়।
শেষ কথা, Conclusion :
আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা হনুমান চলিশা পাঠের নিয়ম ও এর প্রভাব সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আশা করি যারা নিয়ম অনুযায়ী এর পাঠ করছিলেন না তারা এখন থেকে উপরে উল্লেখিত নিয়মগুলো মেনে চালিশা পাঠ করতে আগ্রহী হয়েছেন।