চোখের জল থেকে ডায়াবেটিস পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছেন ইসরোর এক বিজ্ঞানী। তাঁর নাম শুভ্রদীপ ঘোষ, তিনি গড়িয়ার বাসিন্দা। ইসরোতে কর্মরত অবস্থায় তিনি চন্দ্রযানের সফল মিশনেই অবদান রাখার পাশাপাশি ইসরোর প্রথম সূর্য অভিযানেও তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। ভারতের লঞ্চপ্যাডের গ্রাউন্ড সিস্টেমে কাজ করে তিনি দেশকে আন্তর্জাতিক মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে গেছেন।

শুভ্রদীপের শিক্ষাগত জীবনের শুরু পাঠভবন থেকে। এরপর তিনি হেরিটেজ কলেজ থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশোনা শেষ করেন এবং তার পরবর্তী শিক্ষাজীবন তাকে আইআইটি গুয়াহাটি পর্যন্ত নিয়ে যায়, যেখানে তিনি স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। তার প্রজ্ঞা ও অধ্যবসায় তাকে এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দেয়, যা তাকে ইসরোর মতো একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করার সুযোগ দেয়।
তবে শুভ্রদীপ ঘোষের অন্যতম উল্লেখযোগ্য অবদান তার নতুন আবিষ্কারের মধ্যে নিহিত। তিনি তৈরি করেছেন এমন এক যন্ত্র, যা দিয়ে চোখের জল থেকে ডায়াবেটিস পরীক্ষার ব্যবস্থা করা সম্ভব। এই যন্ত্রটির মাধ্যমে, একজন ব্যক্তি সহজেই জানতে পারবে তার শরীরে কতটা ডায়াবেটিস রয়েছে, এবং এটি প্রাথমিক পর্যবেক্ষণের জন্য একটি কার্যকর উপকরণ হতে পারে। ভারত সরকার ইতিমধ্যেই এই যন্ত্রটিকে অনুমোদন দিয়েছে, যা তার আবিষ্কারের গুরুত্বকে আরো প্রমাণিত করে।

শুভ্রদীপ ঘোষ এই যন্ত্রটি তৈরি করার পিছনে সাধারণ মানুষের সুবিধার কথা ভেবেছেন। তিনি বলেন, “প্রাথমিক পর্যবেক্ষণের জন্য একটি ডিভাইসে চোখের জল ফেললেই বলা সম্ভব কতটা ডায়াবেটিস শরীরে রয়েছে।” এই উদ্ভাবনটি মানবসম্পদ স্বাস্থ্যসেবা ক্ষেত্রে নতুন এক যুগের সূচনা করবে।
তার এই নতুন ডায়াবেটিস যন্ত্রের পেটেন্ট একমাত্র শুভ্রদীপ ঘোষের কাছে রয়েছে, যা তার মেধা এবং উদ্ভাবনী ক্ষমতার স্বীকৃতি।
এখন, শুভ্রদীপ ঘোষের নতুন যন্ত্রটি বাজারে আনার পরিকল্পনা রয়েছে, এবং তা সাধারণ মানুষের জন্য চিকিৎসা সংক্রান্ত আরও একটি যুগান্তকারী পরিবর্তন নিয়ে আসবে।
তিনি আশা করেন যে, তার এই উদ্ভাবন স্বাস্থ্যসেবা ক্ষেত্রে বিপ্লব সৃষ্টি করবে এবং জনগণের মধ্যে একটি নতুন সচেতনতা সৃষ্টি করবে।