ফিলিস্তিনের বুকে জম্ম নিল ইসরায়েল! জমি হারানো, যুদ্ধ আর বাস্তুচ্যুতির এক শিউরে ওঠা ইতিহাস।
বন্ধুত্ব থেকে শত্রুতা — শুরুটা ছিল শান্তিপূর্ণ, ১৯৩০-এর দশক।
ফিলিস্তিনের গাজার মাত্র দুই মাইল দূরের কিবুটস এলাকায় পোল্যান্ড থেকে আসা ইহুদিরা গড়ে তুলেছিল কৃষি খামার।
পাশেই ছিল ফিলিস্তিনিদের শতাব্দীপ্রাচীন বসতি। তখনও মুসলিম আর ইহুদিদের মধ্যে মোটামুটি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল।
কিন্তু ধীরে ধীরে দৃশ্যপট বদলে যেতে থাকে…

- ইহুদিরা দল বেঁধে এসে ফিলিস্তিনের জমি ক্রয় করতে থাকে।
- ফিলিস্তিনিরা বুঝে যায়, নিজেদের ভূমি হাতছাড়া হচ্ছে।
- আস্তে আস্তে জমির মালিকানা চলে যাচ্ছে নতুন আসা ইহুদিদের হাতে।
সাত লাখ ফিলিস্তিনির বাস্তুচ্যুতি!
১৯৪৮ সালে ইসরায়েল রাষ্ট্রের জন্মের সময় সাত লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনী নিজেদের ঘরবাড়ি হারিয়ে শরণার্থী হয়ে যায়।
তাদের আশা ছিল, সমস্যার সমাধান হলে ফিরে আসবে। কিন্তু ইসরায়েল তাদের সেই সুযোগ আর দিল না।
ইসরায়েলের জবাব — ফিলিস্তিনিরাই নাকি নিজেদের সর্বনাশ ডেকে এনেছিল!
সাবেক ইসরায়েলি প্রেসিডেন্ট শিমন পেরেজ একবার বলেছিলেন,
“১৯৪৭ সালে ফিলিস্তিনিরা নিজেরাই ভুল করেছিল। আমরা কোনও ভুল করিনি।” তার বক্তব্য, ফিলিস্তিনিরা যদি পৃথক রাষ্ট্র গঠনের প্রস্তাব মেনে নিত, তাহলে আজকের এই সংকট আসত না।
ইসরায়েলের স্বপ্ন শুরু হয়েছিল ১৮৯৭ সালে

১৮৯৭ সালেই ইহুদিরা নিজেদের আলাদা রাষ্ট্র গড়ার পরিকল্পনা করেছিল। তাদের সেই স্বপ্নে বড় ভূমিকা নেয় ব্রিটেন। ১৯১৭ সালে তুরস্কের সেনাদের পরাজিত করে ব্রিটিশরা দখল নেয় জেরুজালেম।
তারপর ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লর্ড আর্থার বেলফোর বিখ্যাত ‘বেলফোর ঘোষণার’ মাধ্যমে জানিয়ে দেন —ফিলিস্তিনের মাটিতে ইহুদিদের জন্য আলাদা রাষ্ট্র গড়তে সহায়তা করবে ব্রিটেন।
ইতিহাস আজও রক্তাক্ত
একদা শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করা দুই জাতিগোষ্ঠী, আজও রক্তক্ষয়ী সংঘাতের বৃত্তে আবদ্ধ। ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের মূলেই রয়ে গেছে এই জমি হারানোর বেদনা আর নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই।