পোষা কুকুরদের মধ্যে বাড়ছে এই ভয়াবহ রোগটি। কী ভাবে বাঁচাবেন তাদের ?

পোষা কুকুরদের মধ্যে বাড়ছে এই ভয়াবহ রোগটি। কী ভাবে বাঁচাবেন তাদের ?

বর্তমানে পোষা কুকুরদের মধ্যে একটি ভয়াবহ রোগ বাড়ছে, যা মূলত পোকা বা টিকের কামড়ে সংক্রমিত হচ্ছে। মরসুমের পরিবর্তন বা বিশেষ করে শীতকালেও এই রোগের প্রভাব বেড়ে চলেছে। পোষ্য কুকুরের মধ্যে পোকায় কাটা জ্বর বা টিক জ্বর ছড়াচ্ছে, যা তাদের শরীরে মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। এমনকি, দামি প্রজাতির কুকুরদেরও এই সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে, আর অনেক সময় ওষুধ দিয়ে এই রোগ পুরোপুরি সারানো সম্ভব হচ্ছে না। এটি লিভার এবং কিডনির ক্ষতি করে, যার ফলে প্রাণ সংশয়ের ঝুঁকি বাড়ছে। এই রোগের থেকে কুকুরদের বাঁচানোর জন্য পোষ্যদের অভিভাবকদের সতর্ক থাকা অত্যন্ত জরুরি।

কীভাবে ছড়াচ্ছে এই রোগ?

পোষা কুকুর

পোকা বা টিকের কামড়ে কুকুরের শরীরে জীবাণু সংক্রমণ ঘটে, যা জ্বরের কারণ হতে পারে। এ ছাড়াও, পরজীবী সংক্রমণের ফলে কুকুরের লিভার ও কিডনির সমস্যা তৈরি হতে পারে, এবং এতে প্লেটলেটের সংখ্যা কমে যাওয়ার কারণে রক্ত জমাট বাঁধতে পারে না, যার ফলে রক্তপাতও হতে পারে। রাস্তার কুকুরের শরীরেও এই পোকা বাসা বাঁধে, যা পরে বাড়ির পোষ্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। তাই, পোষ্যকে বাইরে নিয়ে যাওয়ার সময় সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি।

কীভাবে প্রতিরোধ করবেন?

এই রোগ থেকে পোষ্য কুকুরকে রক্ষা করার জন্য কয়েকটি কার্যকরী উপায় রয়েছে:

  1. পাউডার ও স্প্রে : পোষ্য কুকুরের শরীরে পোকা বসতে না দেয়ার জন্য পাউডার বা স্প্রে ব্যবহার করা যেতে পারে। এগুলি বাইরে যাওয়ার আগে কুকুরের গায়ে লাগিয়ে দিলে সংক্রমণ কমে যাবে।
  2. টিক কলার : পোষ্য কুকুরের গলায় টিক কলার পরিয়ে দিলে, পোকার সংক্রমণ থেকে তারা সুরক্ষিত থাকতে পারে।
  3. স্পট অন থেরাপি : এটি এমন একটি ওষুধ, যা কুকুরের শরীরের বিভিন্ন স্থানে লাগানো হয় এবং পোকার সংক্রমণ কমিয়ে দেয়।
  4. খাওয়ার ওষুধ : কিছু বিশেষ খাওয়ার ওষুধও রয়েছে, যা কুকুরের শরীরে পোকা বসতে দেয় না। তবে, এগুলি ব্যবহারের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
  5. অ্যান্টি-টিক সাবান ও শ্যাম্পু : পোষ্য কুকুরের স্নান করার সময় অ্যান্টি-টিক সাবান বা শ্যাম্পু ব্যবহার করলে পোকা প্রতিরোধ করা যেতে পারে।
কুকুরের তাপমাত্রা

কুকুরের তাপমাত্রা:

কুকুরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা প্রায় ১০২.৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট থাকে। তবে, যদি কুকুরের শরীরে জ্বর হয়, তাহলে তাপমাত্রা বেড়ে যেতে পারে। এই ক্ষেত্রে, সঠিক তাপমাত্রা মাপতে থার্মোমিটার ব্যবহার করা যেতে পারে, তবে এর জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া সবচেয়ে ভালো।

পোষ্য কুকুরের সুরক্ষা ও সুস্থতার জন্য তাদের পোকার সংক্রমণ থেকে রক্ষা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উপরে উল্লেখিত প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাগুলি অনুসরণ করে আপনার পোষ্যকে সুস্থ রাখতে পারবেন।

RIma Sinha

Rima Sinha is working as a writer and also as a journalist. she got her bachelor of arts degree from Tripura University. She has also completed Master of Arts in Journalism and mass communication from Chandigarh University.

Recent Posts