গার্ড ছাড়াই ছুটল শেষ ট্রেন! আতঙ্কে ঝাঁপ নিত্যযাত্রীদের

গার্ড-ছাড়াই-ছুটল-শেষ-ট্রেন

রেলের বিরুদ্ধে যাত্রীদের অভিযোগের তালিকা যেন দিন দিন বেড়েই চলেছে। কখনও ট্রেন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে তো কখনও মিডল বার্থ ভেঙে পড়ছে, আবার কখনও নির্দিষ্ট স্টেশনে না থেমে ট্রেন ছুটে যাচ্ছে আপন মনে। এহেন পরিস্থিতিতে চরম ভোগান্তি এবং দুশ্চিন্তার শিকার হচ্ছেন নিত্যযাত্রীরা।

যাত্রী বিক্ষোভ

রবিবার আরও এক অদ্ভুত ঘটনার সাক্ষী থাকল রেল যাত্রীরা। রবিবার রাতে হাওড়া স্টেশনে হাওড়া- ব্যান্ডেল শেষ লোকালটি নির্ধারিত সময়ের আগেই গার্ড ছাড়া ছুটতে শুরু করে। স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কিত হয়ে পড়ে যাত্রীরা, অনেকে চলন্ত ট্রেন থেকেই ঝাঁপ দেন প্ল্যাটফর্মে, যার জেরে আহত হন বেশ কয়েকজন।

ঘড়িতে সময় তখন 11:45, রাতের শেষ ট্রেন ধরার জন্য স্টেশনে যাত্রীদের ভিড় ছিল। সেই সময় অ্যাড্রেস সিস্টেম এবং ডিসপ্লে বোর্ডের মাধ্যমে জানা যায় যে 7 নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে 11:45 মিনিটের হাওড়া – ব্যান্ডেল ট্রেনটি ছাড়বে। ঘোষণা শুনে যাত্রীরা ট্রেনে উঠে পড়ে। তারপর হঠাৎ করেই 11:34 মিনিট নাগাদ গার্ড ছাড়া ট্রেনটি ছুটতে শুরু করে। আতঙ্কিত যাত্রীদের চিৎকারে ট্রেনটি থামানো হয় এবং তারপরই শুরু হয় যাত্রী বিক্ষোভ।

গার্ড ছাড়াই চলতে শুরু করল ট্রেন

রেলের আধিকারিকদের তরফে জানানো হয়েছে যে সাত নম্বর প্ল্যাটফর্মে যেই ট্রেনটি দাঁড়িয়ে ছিল সেটি আসলে কারশেডে যাচ্ছিল। যাত্রীরা ভুলবশত সেই ট্রেনে উঠে পড়েন। ট্রেনের ডিসপ্লে বোর্ড লক্ষ্য করলে হয়তো এই সমস্যা হত না৷ তবে রেল আধিকারিকদের এই ধরনের দায়সারা বক্তব্যকে সমর্থন করছেন না যাত্রীরা। যাত্রীদের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে যে রেলের ঘোষণা ও ডিসপ্লে বোর্ডে ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছিল বলেই তাদের এই ভোগান্তির মুখে পড়তে হয়েছে।

বিভ্রান্তিতে চলন্ত ট্রেন থেকে আতঙ্কে ঝাঁপ যাত্রীদের |

এর আগে গত সপ্তাহে 37849 আপ হাওড়া বর্ধমান গ্যাপলিং লোকাল চুঁচুড়া স্টেশনে না থেমে সোজা চলে গেছিল হুগলি স্টেশনে। যদিও পরে আবার পিছনের দিকে ফিরে চুঁচুড়া স্টেশনের যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়া হয়। এই ধরনের ঘটনায় গাফিলতি আসলে যারই থাকুক না কেন দুর্ভোগের শিকার হয়ে থাকেন নিত্যযাত্রীরা।

Recent Posts