কাশি কমানোর 5টি ঘরোয়া টোটকা

কাশির ঘরোয়া প্রতিকার

শীতকালের পাশাপাশি গরমেও AC চালানোর কারণে প্রায়শই কাশিতে নাজেহাল অনেকেই।এছাড়াও ভাইরাল ইনফেকশন কিংবা অ্যালার্জির কারণে ক্রমাগত কাশিতে জর্জরিত হলে অবশ্যই মেনে চলুন এই পাঁচটি ঘরোয়া টোটকা। সহজেই নিরাময় হবে কাশি।

কাশি

1. মধু

কাশি কমানোর জন্য মধু খুবই কার্যকরী। মধুর মধ্যে অ্যন্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা আমাদের ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে তোলে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।

সারা দিনে 2-3 বার এক টেবিল চামচ মধু শুধু খেতে পারেন অথবা এক গ্লাস উষ্ণ গরম জলে 2 চামচ মধু এবং হাফ চামচ লেবুর রস ভালোভাবে মিশিয়ে দিনে দুবার খেতে পারেন।

এছাড়াও গরম দুধের সঙ্গে 2 চামচ মধু মিশিয়ে নিয়মিত পান করলে দ্রুত কাশি নিয়ন্ত্রণে আসবে।

2. হলুদ

হলুদ

হলুদের মধ্যে ভিটামিন, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, প্রভৃতি থাকায় হলুদ আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।

কাশি কমানোর জন্য কয়েক চামচ হলুদের রস অথবা এক গ্লাস দুধে 1/4  চামচ হলুদ মিশিয়ে হলুদ দুধ পান করুন।

প্রতিদিন একবার করে এই দুধ পান করলে খুব দ্রুত কাশি কমে যাবে।

3. মসলা চা

শুকনো কাশি দূর করার জন্য মসলা চা অত্যন্ত কার্যকরী। এর জন্য জল গরম করে তার মধ্যে  2 টো লবঙ্গ,2 টো এলাচ, 2 টেবিল চামচ গ্রেট করা আদা, 1 টা দারুচিনি দিয়ে ফোটাতে হবে।
তারপর তার মধ্যে 2 চামচ চা পাতা দিয়ে ফোটাতে হবে।  মশলার রঙ বাদামী হয়ে গেলে দুধ দিয়ে ছেঁকে গরম গরম চা এর কাপে ঢেলে তার মধ্যে সামান্য মধু দিয়ে পান করতে হবে মসলা চা।

4. তুলসী পাতা

তুলসী

সর্দি কাশি কমাতে ম্যাজিকের মতো কাজ করে তুলসী পাতা। ছোটদের কাশি হলে তুলসী পাতার রসের সঙ্গে মধু এবং আদার রস মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়।

এছাড়াও জলের মধ্যে তুলসী পাতা, মিছরি মিশিয়ে ফুটিয়ে সেটা দিনে 2-3 বার খেলেও উপকার পাওয়া যাবে। আবার তুলসী পাতার সাথে মধু মিশিয়ে এমনিও চিবিয়ে খাওয়া যায়।

5. ভাপ/ Steam নেওয়া

কাশি থেকে দ্রুত রেহাই পেতে চাইলে দিনে 3-4 বার ভাপ নিতে হবে। গরম জলে ভাপ নিলে নাক পরিষ্কার হয়, এটি কফ বের করতে সাহায্য করে,যার ফলে  কাশি কমে যায়।

এর জন্য প্রথমে একটি পাত্রে ফুটন্ত গরম জল রেখে সেটার সামনে বসতে হবে। তারপর সেই পাত্রের সামনে মুখ রেখে মাথার উপরে একটি কাপড় দিয়ে ঢেকে নিতে হবে। এইভাবে ঘরোয়া পদ্ধতি দ্রুত কাশি সেরে যাবে।

Recent Posts