ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং এবং কিটো ডায়েট দুটোই ওজন কমানোর জন্য জনপ্রিয় পদ্ধতি, কিন্তু এই দুটির মধ্যে কিছু পার্থক্য রয়েছে। নিচে এই দুটি পদ্ধতির সুবিধা ও অসুবিধাগুলো আলোচনা করা হলো:
ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং (Intermittent Fasting):
পদ্ধতি: ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং হলো একটি খাদ্য গ্রহণ পদ্ধতি, যেখানে নির্দিষ্ট সময় পরপর খাবার গ্রহণ করা হয় এবং কিছু সময়ের জন্য উপবাস করা হয়। সবচেয়ে জনপ্রিয় পদ্ধতি হলো ১৬/৮ নিয়ম, যেখানে ১৬ ঘণ্টা উপবাস এবং ৮ ঘণ্টার মধ্যে খাবার গ্রহণ করা হয়।

সুবিধা:
- ওজন কমাতে সাহায্য করে।
- ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত করে।
- কোষের স্বাস্থ্য উন্নত করে।
- হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
অসুবিধা:
- শুরুতে কিছুটা অসুবিধা হতে পারে।
- কিছু লোকের জন্য এটি উপযুক্ত নয়।
- পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টি গ্রহণ করা জরুরি।
কিটো ডায়েট (Keto Diet):
পদ্ধতি: কিটো ডায়েটে খুব কম কার্বোহাইড্রেট, মাঝারি প্রোটিন এবং প্রচুর ফ্যাট গ্রহণ করা হয়। এর ফলে শরীর কিটোসিস নামক একটি অবস্থায় যায়, যেখানে ফ্যাট প্রধান শক্তির উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
সুবিধা:

- দ্রুত ওজন কমায়।
- রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
- খিঁচুনি কমাতে সাহায্য করে।
অসুবিধা:
- খাদ্য গ্রহণে অনেক বিধিনিষেধ থাকে।
- কিটো ফ্লু হতে পারে (ক্লান্তি, মাথাব্যথা)।
- দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব সম্পর্কে এখনও গবেষণা চলছে।
কোনটি আপনার জন্য ভালো?
ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং এবং কিটো ডায়েট দুটোই ওজন কমাতে কার্যকরী, তবে কোনটি আপনার জন্য ভালো তা নির্ভর করে আপনার শারীরিক অবস্থা, খাদ্যাভ্যাস এবং লক্ষ্যের উপর। ডায়েট শুরু করার আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।