আমরা সবাই জানি যে সবুজ শাকসবজি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এই তালিকায় ঢেঁড়সও একটি জনপ্রিয় নাম। ছোট্ট হলেও এই সবজিটির গুণাগুণ অনেক।
ঢেঁড়স, একদিকে যেমন রান্নার স্বাদ বাড়ায়, তেমনি অন্যদিকে শরীরের জন্যও অত্যন্ত উপকারী। এই ছোট্ট সবজিটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ভিটামিন A, C এবং ফোলেট।
এছাড়াও আছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন K, B, আয়রন, জিঙ্ক, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, মেঙ্গানিজ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং বিটা ক্যারোটিন। এই সব উপাদানগুলো একাধিক রোগকে দূরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
ঢেঁড়স খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে, যেমন:
- ঢেঁড়সে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন C থাকে, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
- ঢেঁড়সে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়।
- ঢেঁড়সে প্রচুর পরিমাণে পলিফেনলস আর ফ্লেভোনোয়েড থাকে, যা রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ কমায়।
- ঢেঁড়সে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন এ, বি এবং সি থাকে।
- ঢেঁড়সে থাকা পেক্টিন নামক দ্রবণীয় আঁশ অন্ত্রে কোলেস্টেরলের শোষণ কমায়।
- ঢেঁড়সে থাকা ফলে হাড়ের গঠনে উন্নতি ঘটে এবং অস্টিওপোরোসিসের মতো রোগ দূরে থাকে।
ঢেঁড়সের জল – কেন খাবেন?
ঢেঁড়সের জল এর মত সরল পানীয়টিতে রয়েছে অসংখ্য পুষ্টিগুণ যা শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

- হজমের সহায়তা: ঢেঁড়সের জলে থাকা আঁশ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং হজম প্রক্রিয়া স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।
- রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: ঢেঁড়সের জলে থাকা পলিফেনলস এবং ফ্লেভোনয়েড রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
- হৃদরোগ প্রতিরোধ: ঢেঁড়সের জলে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ: ঢেঁড়সের জলে থাকা দ্রবণীয় আঁশ রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
- ত্বকের যত্ন: ঢেঁড়সের জলে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের কোষকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করে এবং ত্বককে উজ্জ্বল করে।
- দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়: ঢেঁড়সে থাকা ভিটামিন এ চোখের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
- ওজন কমানো: ঢেঁড়সের জল পেট ভরে রাখে এবং ক্যালরি কম হওয়ায় ওজন কমানোতে সাহায্য করে।
ঢেঁড়সের জল তৈরি করার উপায়:
- কয়েকটি ঢেঁড়স ভালো করে ধুয়ে কেটে নিন।
- একটি পাত্রে ঢেঁড়সগুলো এবং জল দিয়ে রাতে ভিজিয়ে রাখুন।
- সকালে জল ছাকনিতে ছেঁকে নিন। এই জল খালি পেটে পান করুন।