টক দই—বাঙালির ভোজনতালিকার এক অবিচ্ছেদ্য অংশ! গরমের দিনে ঠান্ডা ঠান্ডা দই-ভাত খেয়ে প্রাণ জুড়িয়ে যায়! আবার স্বাস্থ্যসচেতন অনেকেই মনে করেন, হজমের জন্য প্রোবায়োটিক মানেই দই। কিন্তু জানেন কি, টক দই খাওয়াও হতে পারে বিপজ্জনক? এমন কিছু শরীরের সমস্যা রয়েছে, যেখানে টক দই খেলে বিপদ আরও বাড়তে পারে।
সতর্ক করলেন চিকিৎসকরা! এই সমস্যাগুলোর ক্ষেত্রে টক দই একেবারেই নয়
অন্ত্রের মাইক্রোবায়োম ঠিক রাখা যেমন জরুরি, তেমনি সব খাবার সবার জন্য নয়। পুষ্টিবিদ শালিনী সুধাকর ও আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ ডিম্পল জাংদা স্পষ্ট জানিয়েছেন—যাঁদের শরীরে পিত্ত দোষ, অ্যাসিড রিফ্লাক্স, অ্যাকিউট প্যানক্রিয়াটাইটিস, মাইগ্রেন, কিংবা গাউট (joint pain) রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে টক দই হতে পারে মারাত্মক বিপদের কারণ!

কী হতে পারে সমস্যা?
- অ্যাসিড রিফ্লাক্স ও বুকজ্বালা বাড়তে পারে
- গ্যাস, পেট ফাঁপা, কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে
- মাইগ্রেন বাড়িয়ে দিতে পারে মাথার যন্ত্রণা
- জয়েন্ট পেইন বা গাউট রোগীদের ক্ষেত্রে প্রোটিনের অংশ হতে পারে ইনফ্লেম্যাশনের কারণ
- অ্যালার্জি হতে পারে টক দইয়ের প্রোবায়োটিক থেকে
- গলা শুকিয়ে আসা, অতিরিক্ত তেষ্টা—এসবও হতে পারে অতিরিক্ত দই খেলে
তাহলে কি দই একেবারেই খাবেন না? না, বিষয়টা এতটাও কঠোর নয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টক দই দারুণ প্রোবায়োটিক হলেও তা খেতে হবে সঠিক সময়ে এবং ব্যক্তিগত শরীরের অবস্থা বুঝে।

- খাবারের শেষে দই খাওয়া সবচেয়ে ভালো, কারণ এতে হজমে সাহায্য করে
- যাঁদের অন্ত্র দুর্বল, তাঁদের জন্য দই উপকারী, তবে পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে
- যাঁদের পিত্তদোষ বা সংবেদনশীল অন্ত্র রয়েছে, তাঁদের চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই দই খাওয়া উচিত
দই হতে পারে সুপারফুড, আবার নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে হয়ে উঠতে পারে সুপার বিপদও! তাই নিজের শরীরকে ভালো করে চিনুন, এবং চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অতিরিক্ত দই খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।