বর্তমান সময়ে মানুষের জীবনযাত্রার যেন কোনো ঠিক ঠিকানা নেই। কাজের চাপে বেশিরভাগ মানুষ সঠিক সময়ে খেতে পারেন না। অন্যদিকে খেলেও, খাওয়া হচ্ছে বাইরের খাবারই। যার ফলস্বরূপ হজমের সমস্যা সৃষ্টি হয়।
হজমশক্তিকে বৃদ্ধি করা বা এটি শক্তিশালী করে তোলার বিষয়টি একটু জটিল। কিন্তু হজম প্রক্রিয়া ভালো থাকা আমাদের সুস্বাস্থ্যের জন্য খুবই জরুরী। যেহেতু সব মানুষের হজমশক্তি এক ধরণের হয় না। তাই একই ধরণের খাবার অনেকের ক্ষেত্রে ভালো ভাবে হজম হয় আবার অনেকে তা হজম করতে পারেন না।
সেক্ষেত্রে ব্যক্তিভেদে খাবারের প্রতি সহনশীলতা পর্যবেক্ষণ করে সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা হজম প্রক্রিয়াকে সহজতর করা নিয়ে আলোচনা করবো।
হজমশক্তি গুরুত্বপূর্ণ কেন? Why is digestion important?
একথা আমরা সকলেই জানি যে, সুস্বাস্থ্যের জন্য হজমশক্তি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। হজম প্রক্রিয়া কোনো কারণে বাধাগ্রস্ত হলে বা পেটের কোন ধরণের সমস্যা দেখা দিলে পুরো দেহই যেন স্থবির হয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে পুষ্টিবিদরাও সতর্ক করে থাকেন যে, শোষণ ক্ষমতা সম্পন্ন না হলে তা পুরো দেহকেই প্রভাবিত করে।
শোষণ প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হলে ওজন বেড়ে যাওয়া, লিপিড প্রোফাইল বেড়ে যাওয়া, ইউরিক এসিড বেড়ে যাওয়া, রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া ইত্যাদির মতো শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে।
তবে, হজম সম্পর্কিত সমস্যা বলতে শুধু গ্যাসের সমস্যা, ডায়রিয়া বা শুধু কোষ্ঠকাঠিন্যকে বোঝায় না। হজম প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হলে অনেক সময় খাবার খেলেও শরীর পর্যাপ্ত পুষ্টি না পাওয়ার মতো সমস্যাও দেখা দেয়।
হজমের শক্তি কম হতে যাওয়ার কারণ কি? What can be the reasons for impaired digestion?
কার্যকরী হজমজনিত ব্যাধিগুলির কারণগুলির মধ্যে একটি প্রচুর খাবার যা হজম করা কঠিন (যেমন, চর্বি, মশলা এবং অ্যাসিডিক খাবার), সঠিকভাবে চিবানো ছাড়া খাবার খাওয়া, কার্বনেটেড পানীয় পান করা বা অ্যালকোহল অপব্যবহার, সেইসাথে মানসিক চাপ বা উদ্বেগ অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
এছাড়াও ক্যান্সার, ভাইরাল ইনফেকশন, ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন, ফুড পয়জনিং এবং হরমোনজনিত রোগ সহ অন্যান্য অবস্থার কারণেও একজন ব্যক্তি হজমের সমস্যা অনুভব করতে পারে।
হজমের শক্তি কম হতে যাওয়ার লক্ষণ কি ? What are the signs of impaired digestion?
দুর্বল হজমের লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে পেট খারাপ, চরম খাদ্যের লোভ, খাদ্য অসহিষ্ণুতা এবং রোলারকোস্টার ওজন বৃদ্ধি এবং ওজন হ্রাস।
ডাক্তাররা জানেন যে পেট বা অন্ত্রের স্বাস্থ্য শরীরের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য। আপনার অন্ত্র সমস্ত শরীরের সিস্টেমে একটি ভূমিকা পালন করে, আপনার মস্তিষ্ক থেকে আপনার ইমিউন সিস্টেম পর্যন্ত।
প্রাকৃতিকভাবে হজমশক্তি বাড়ানোর উপায় কি ? How to increase digestion naturally?
সকলের মেটাবলিজিম বা হজমশক্তি একরকম হয় না। বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেখা গেছে যে একই রকম খাবার খেয়েও কেউ মোটা হয়, আবার কেউ কেউ হয় না। সেক্ষেত্রে হজম প্রক্রিয়া সঠিক রাখতে কি কি করা উচিৎ তা জেনে রাখা জরুরী।
- খাবারের ক্ষেত্রে সমস্যা :
এক্ষেত্রে প্রথমেই যা করণীয় তা হচ্ছে, এক জন ব্যক্তির কোন খাবার খেলে সমস্যা হচ্ছে সেদিকে খেয়াল করা। বেশিরভাগ মানুষ বোঝেই না যে কোন খাবার খেলে তাদের হজমে সমস্যা হচ্ছে।
তাই অনেকে সময়ের সাথে প্রায় সব ধরণের খাবার বাদ দিতে থাকে। যেমন, তেলে ভাজা খাবার, দুধ বা দগ্ধজাতীয় খাবার, টক খাবার ইত্যাদি। এ জন্যই কোন খাবারে হজম প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয় বা সমস্যা হয় সেটি জানাটা জরুরী।
এছাড়া অনেক সময় দেখা যায় যে, দেহে নির্দিষ্ট কিছু ভিটামিনের অভাব হওয়ার কারণে হজমশক্তি দুর্বল হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা নিলে হজম প্রক্রিয়া শক্তিশালী করা সম্ভব।
হজমশক্তি বাড়ানো বা একে শক্তিশালী করার প্রক্রিয়া সবার জন্য এক রকম হয় না। পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে যে, ব্যক্তিভেদে হজম প্রক্রিয়া ভিন্ন হয়। সেক্ষেত্রে দেখতে হবে যে কার কোন খাবারের ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে।
- শারীরিক ব্যায়াম:
জেনে রাখা ভালো যে, সব ধরণের শারীরিক ব্যায়াম হজমশক্তি বৃদ্ধি করে না। মেটাবলিজম বা হজমশক্তির সাথে সংশ্লিষ্ট অঙ্গ মানুষের কোমরের দিকটায় বা ডায়াফ্রামের উপর থেকে শুরু করে নিচ পর্যন্ত থাকে, তাই যেসব ব্যায়াম শরীরের মাঝের অংশের কর্মকাণ্ড উন্নত করে, সেই সব ব্যায়াম হজম প্রক্রিয়া ভালো রাখতে।
হজম প্রক্রিয়া ভালো রাখতে একটি বিশেষ ব্যায়াম করতে পারেন, সেই করতে শুয়ে ৯০ ডিগ্রি এ্যাঙ্গেলে দুই পা উঁচু করে রাখুন এবং পা দুটি চক্রাকারে অর্থাৎ বাম থেকে ডানে এবং ডান থেকে বামে ঘোরাতে হবে। এটা হজম শক্তি বৃদ্ধিতে খুব ভাল কাজ করে।
অন্যদিকে আরেকটা বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে যে, শারীরিক বিভিন্ন ক্রিয়া কতটা ভালভাবে কাজ করবে তা অনেকটাই নির্ভর করে শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেনের সরবরাহ আছে কিনা তার উপর।
দেহে হজম বা শোষণ প্রক্রিয়া অক্সিজেনে উপস্থিতি জরুরী। তাই শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করাটা জরুরী। এর জন্য নাক দিয়ে লম্বা করে শ্বাস টেনে মুখ দিয়ে শ্বাস ছাড়লে দেহে অক্সিজেনের সরবরাহ বাড়ে। যাতে হজমও সহজ হয়।
- হজমশক্তি সবল রাখতে সঠিক খাবার :
হজমশক্তি সবল করতে সঠিক খাবার গ্রহণ করতে হবে। যেমন আপনার খাবারে যদি শাক থাকে তবে তা তেল দিয়ে রান্না করতে হবে। আবার যদি মাংস জাতীয় খাবার খেতে হবে তবে তা যাতে লেবু যোগ করা রান্না করতে হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
সম্ভব হলে প্রতিবার খাওয়া শেষে অল্প পরিমাণ লেবু-জল পান করলে সেটি হজমের ক্ষেত্রে সহায়ক হয়। অন্যদিকে চাইলে আপনি খাবার খাওয়া শুরু করার পূর্বে জিহ্বায় একটু লবণ স্পর্শ করিয়ে খাবার খেলে সেটিও হজমে সহায়তা করে।
যাদের হজমে সমস্যা হয় যারা চিকিৎসকদের পরামর্শ নিয়ে ইয়োগার্ট থেরাপি নিতে পারেন।
অন্যদিকে জোয়ান পেটের জন্য ভালো। এক্ষেত্রে কিছুট পরিমাণে জোয়ান ঈষদুষ্ণ জলে মিশিয়ে পান করুন। এই জলপান করে ১০ থেকে ১৫ মিনিট হেঁটে নিন। দেখেবেন গ্যাসজনিত সমস্যা কমেছে।
- পর্যাপ্ত ঘুম জরুরী :
হজমের ক্ষেত্রে রাত জেগে থাকাটা মারাত্মক প্রভাব সৃষ্টি করে। পুষ্টিবিদরা বলেন যে, রাতের বেলা যেহেতু পরিবেশে অক্সিজেনের পরিমাণ কম থাকে তাই ঘুমালে ফুসফুসের বেশিরভাগ অংশ অব্যবহৃত থাকে।
কিন্তু জেগে থাকলে পুরোপুরি শ্বাস নেয়া সম্ভব হয় না। অন্যদিকে রাতে জেগে থাকলে মানুষের সব ইন্দ্রিয় কাজ করে বলে শরীরে অক্সিজেনের ঘাটতি তৈরি হয়। এর ফলে হজম প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি হয়। তাই হজমশক্তিকে সঠিক রাখতে হলে রাতে ঘুমানো জরুরী।
হজমের জন্য কোন চূর্ণ ভালো? Which powder is better for digestion?
আভিপট্টিকর চুর্ণকে বদহজম নিয়ন্ত্রণে সবচেয়ে কার্যকরী আয়ুর্বেদিক চূর্ণ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। আভিপট্টিকর চুর্ণ গ্রহণ করলে এর দীপন (ক্ষুধা বৃদ্ধিকারী) এবং পাচন (পাচনকারী) বৈশিষ্ট্যগুলির কারণে বদহজমের লক্ষণগুলি পরিচালনা করতে সাহায্য করতে পারে।
হজমের স্বাভাবিক হার কত? What is the normal rate of digestion?
হজমের সময় ব্যক্তি এবং পুরুষ এবং মহিলাদের মধ্যে পরিবর্তিত হয়। আপনি খাওয়ার পরে, আপনার পেট এবং ছোট অন্ত্রের মধ্য দিয়ে খাবার যেতে প্রায় ছয় থেকে আট ঘন্টা সময় লাগে।
তারপর আরও ভালোভাবে হজমের জন্য খাদ্য আপনার বৃহৎ অন্ত্রে (কোলন) প্রবেশ করে। বৃহৎ অন্ত্রে খাদ্যের প্রবেশ হয় মূলত দুটি কাজের জন্য, প্রথম হল জল শোষণ করতে এবং অবশেষে, অপাচ্য খাবার অন্ত্র থেকে দূর করার জন্য।
হজমে সাহায্য করে কোন খাবার? Which foods help in digestion?
কিছু কিছু খাবার আমাদের হজমের স্বাস্থ্যের জন্য উপকার করতে পারে এমন প্রমাণ রয়েছে। কিছু উদাহরণ হল আদা, স্প্রাউট এবং পুরো শস্য । ফাইবার, প্রিবায়োটিক এবং প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার একটি স্বাস্থ্যকর অন্ত্রের মাইক্রোবায়োম প্রচার করতে এবং ভাল হজমকে সহায়তা করতে পারে।
খাবার হজম হচ্ছে না কিভাবে বুঝবো? How to understand that foods are not digested properly?
খাবার হজম হচ্ছে না, এটা বিভিন্ন ভাবে বুঝতে পারা যায়, যেমন পেটে ব্যথা, শক্ত মল, সর্দি মল, ব্লকেজ বা গ্যাস হোক না কেন, এগুলো গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যার একটি প্রধান সূচক হতে পারে। পেটে ব্যথা হজম ব্যবস্থার একটি অস্বস্তিকর উপসর্গ হতে পারে যা খাবার যেমন হওয়া উচিত তেমন হজম করছে না।
কোন খাবার হজম হতে বেশি সময় লাগে? What food takes longer to digest?
মাংস এবং মাছ সম্পূর্ণরূপে হজম হতে 2 দিন পর্যন্ত সময় নিতে পারে। এগুলিতে থাকা প্রোটিন এবং চর্বিগুলি হল জটিল অণু যা আপনার শরীরকে আলাদা হতে বেশি সময় নেয়। বিপরীতে, ফল এবং শাকসবজি, যেগুলিতে উচ্চ ফাইবার রয়েছে, এক দিনেরও কম সময়ে হজম হয়ে যেতে পারে।
রাতে খাওয়ার পর খাবার দ্রুত হজম করার উপায়? How to digest food quickly after dinner?
প্রচুর পানি পান করা এবং নিয়মিত ব্যায়াম করা আপনার পরিপাকতন্ত্রের মাধ্যমে বর্জ্য পদার্থকে একটু দ্রুত সরাতে সাহায্য করতে পারে। খাওয়ার পর কিছুক্ষন সোজা হয়ে বসে থাকার চেষ্টা করতে হবে। খাওয়ার পরপরই শুয়ে পড়লে আপনার বুকজ্বালা বা অ্যাসিড রিফ্লাক্সের ঝুঁকি বাড়তে পারে।
হজমে সাহায্য করে কোন খাবার? Which food helps in digestion?
কিছু কিছু খাবার আমাদের হজমের স্বাস্থ্যের জন্য উপকার করতে পারে এমন প্রমাণ রয়েছে। কিছু উদাহরণ হল আদা, স্প্রাউট এবং পুরো শস্য । ফাইবার, প্রিবায়োটিক এবং প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার একটি স্বাস্থ্যকর অন্ত্রের মাইক্রোবায়োম প্রচার করতে এবং ভাল হজমকে সহায়তা করতে পারে।
হজম শক্তি বৃদ্ধির জন্য ব্যায়াম, Exercises to improve digestion :
নিয়মিত ব্যায়াম করলে খাবার সঠিকভাবে হজম হয়। সারা দিনে অন্তত ৩০ মিনিট ব্যায়াম, যেমন হাঁটাহাঁটি, জগিং ও সাইক্লিং করার চেষ্টা করুন। বিশেষ করে পেটে চাপ পড়ে, এমন ব্যায়াম করলে হজম ত্বরান্বিত হয়। পাশাপাশি শ্বাসপ্রশ্বাসের ব্যায়ামও জরুরি। জেনে রাখা ভালো যে দ্রুত হাঁটা হজম ব্যবস্থার সবচেয়ে সহজ এবং সহজ ব্যায়াম। আসলে, হাঁটা সম্ভবত আপনার সুস্থতার জন্য সর্বোত্তম ব্যায়াম।
লিভারের হজমশক্তি বৃদ্ধির উপায়, Ways to increase the digestive power of the liver :
হজম সংক্রান্ত সমস্যা হজমের সমস্যা সবসময় আপনার খাওয়া খাবারের সাথে সম্পর্কিত নয়। যদি লিভারের কর্মহীনতা থাকে, তাহলে পিত্ত উৎপাদনে বাধার কারণে এটি ফোলাভাব, কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া হতে পারে। তাই লিভার সুস্থ রাখতে সহায়তা করে এমন ব্যায়াম করা উচিত এবং কম তেলযুক্ত খাবার গ্রহণ করা ভালো। পেট ফাঁপা বা পেট ব্যাথা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। পাশাপাশি লিভার সুস্থ আছে কি না তা পরীক্ষা করিয়ে ডাক্তারের কথা অনুযায়ী ওষুধ সেবন করা উচিত।
শেষ কথা, Conclusion :
হজমের সমস্যা প্রায় সব বাড়িতে লেগেই থাকে। প্রচুর মানুষ এখন এই রোগে ভুগছেন। কিন্তু অনেকেই এই সমস্যা নিয়ে অবহেলা করেন। তবে হজমের সমস্যা যেহেতু সম্পূর্ণ শরীরের কার্যকলাপকে প্রভাবিত করে, তাই এই বিষয়টি নিয়ে মানুষকে আলাদা করে ভাবতেই হবে। আশা করি উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলো থেকে আপনারা হজম প্রক্রিয়া ভালো রাখতে কি করতে হবে তা জানতে পেরেছেন।
Frequently Asked Questions
অ্যান্টাসিড বদহজমের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়।
শারীরিক কার্যকলাপ পরিপাকতন্ত্রের পেশীগুলিতে রক্ত প্রবাহ বাড়ায়। গবেষণা অনুযায়ী ব্যায়াম অন্ত্রে ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্যকে প্রভাবিত করে। তাই হজম প্রক্রিয়া ভালো রাখতে ব্যায়াম করা জরুরি।
মাংসের তুলনায় শাকসবজি হজম হতে কম সময় নেয় । মাংসে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও চর্বি থাকে। এগুলিতে অ্যামাইড এবং এস্টার রাসায়নিক বন্ধন রয়েছে যা পাকস্থলীর অ্যাসিডের সাথে হাইড্রোলাইজ করতে সময়সাপেক্ষ। অন্যদিকে, শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে জল রয়েছে এবং এছাড়াও কার্বোহাইড্রেট এবং ফাইবার রয়েছে।