আপনার কি খুব জোরে হাঁটতে অসুবিধা হচ্ছে অর্থাৎ জোরে হাঁটলে হাঁপ ধরে যাচ্ছে অথবা সিঁড়ি দিয়ে উঠতে অসুবিধা হচ্ছে ? তাহলে আপনার উচ্চ রক্তচাপ, স্থূলতা রয়েছে এবং রক্তে খারাপ চর্বিও থাকতে পারে। চিকিৎসকরা প্রায়ই বলেন যে অতিরিক্ত তেল-মশলা দেওয়া খাবার, মিষ্টি পদ বা চিনি দেওয়া পানীয় খেলে রক্তে চর্বি জমতে পারে। যেটির একটি অংশ ধমনীর দেওয়ালে জমতে থাকে ফলে ধমনীর পথ সরু হয়ে যায়। এতে রক্ত চলাচল ব্যাহত হয়। যদি আমরা প্রথম থেকেই সতর্ক না হয় তাহলে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোক হতে পারে। আপনি যদি এই খারাপ চর্বির মাত্রা কমাতে চান তাহলে নির্দিষ্ট চিকিৎসা, জীবনযাপনে পরিবর্তন করতে হবে। এছাড়াও আপনি চাইলে এই তিনটি ভেষজ খেতে পারেন যেগুলো খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমিয়ে দেয়। চলুন জেনে নিই এই বিষয়ে বিস্তারিত।
রসুন
প্রথমেই রয়েছে রসুন। রসুনে রয়েছে রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা। অনেকেই সকাল সকাল খালি পেটে এক কোয়া রসুন খান প্রতিদিন। রসুন তেল বাতের ব্যথাও কমিয়ে দিতে পারে। তবে আপনি হয়তো জানেন না যে রসুনে এমন এটি উপাদান রয়েছে যেটি ধমনীতে ‘প্লাক্’ বা চর্বি জমতে দেয় না এবং রক্ত সঞ্চালন ভাল রাখে।
হলুদ
অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ হলুদ হল আয়ুর্বেদের একটি মহৌষধ। এটিকে জ্বর থেকে শুরু করে সংক্রমণজনিত সর্দি-কাশি নিরাময় করতে ব্যবহার করা হয়। এটি মূলত একটি ঘরোয়া।অন্যদিকে এটি ধমনীর প্রদাহ নিরাময় করতেও সাহায্য করে। আপনি যদি নিয়মিত আপনার খাবারে হলুদ মিশিয়ে খান তাহলে আপনার ধমনীতে জমা চর্বির পরত ধীরে ধীরে গলে যাবে।
আদা

রক্তে থাকা ‘খারাপ’ কোলেস্টেরল যখন ধমনীর দেওয়ালে জমে যায় তখন রক্ত চলাচল ব্যহত হয়ে যায়। আদা ধমনী পরিষ্কার করতে পারে প্রকৃতিকভাবে। হার্টকে সুস্থ রাখার জন্য এই ধরনের ভেষজগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং আপনি আপনার খাবারে এগুলো মিশিয়ে খান তাহলেই আপনার হার্ট সুস্থ হয়ে যাবে।
এখনকার দিনে লিভারের মতো হার্টেও চর্বি জমা হচ্ছে। এটি একটি গুরতর একটি সমস্যা। হার্ট তখনই ফ্যাটি হয়ে ওঠে যখন সেটির আশেপাশে অতিরিক্ত চর্বি জমে যায়। এটিকে চিকিৎসার ভাষায় এপিকার্ডিয়াল ফ্যাট অ্যাকিউমুলেশন বলা হয়।এর ফলে হতে পারে হার্ট অ্যাটাক, উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগ। এটি মূলত ধূমপান, মদ্যপান,জাঙ্ক ফুড, শারীরিক কার্যকলাপ কম করা ইত্যাদির জন্য হয়।
ফ্যাটি হার্টের লক্ষণ কী কী?
আপনার ফ্যাটি লিভার হলে বুকের মধ্যে ভার অনুভব হবে, আপনি খুব তাড়াতাড়ি ক্লান্ত হয়ে পড়বেন। এছাড়াও শ্বাসকষ্ট ও হৃদস্পন্দন বেড়ে যাবে। যদি আপনি এই বিষয়ে নিশ্চিত হতে চান তাহলে আপনাকে ECG, Echo,MRI, CT scan ও লিপিড প্রোফাইল টেস্ট করাতে হবে। সুতরাং প্রথম থেকেই আপনাকে সচেতন হতে হবে নাহলে আপনি কিন্তু বিপদে পড়বেন।
আপনি যদি হার্টকে সুস্থ রাখতে চান তাহলে ধূমপান ত্যাগ করতে হবে আপনাকে। এছাড়াও স্বাস্থ্যকর খাবার যেমন ফল, সবজি, গোটা শস্য, এবং কম চর্বিযুক্ত প্রোটিন এগুলো খাদ্যতালিকায় যুক্ত করতে হবে।ফাস্ট ফুড, চিনি যুক্ত খাবার, এবং অতিরিক্ত লবণযুক্ত খাবার একদমই খাবেন না এতে হার্টের ক্ষতি হবে। এছাড়া আপনাকে নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে, ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, মানসিক চাপ কমাতে ও প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমোতে হবে ( অত্যন্ত৭-৮ ঘণ্টা)।