অ্যালার্জি একটি অতি সংবেদনশীল প্রতিক্রিয়া। যখন আমাদের শরীর কোনো বহিরাগত পদার্থের সংস্পর্শে আসে, তখন যদি শরীর সেই পদার্থটিকে ক্ষতিকর মনে করে, তাহলে তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলে। এই প্রক্রিয়ার ফলে শরীরে কিছু প্রতিক্রিয়া দেখা যায়, যা অ্যালার্জি নামে পরিচিত।
কিছু কিছু ক্ষেত্রে অ্যালার্জির প্রকোপ অতিরিক্ত হচ্ছে বলেও বোধ হয়। তখন শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। অতিরিক্ত অ্যালার্জি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কিছু উপায় নিচে উল্লেখ করা হলো:

১. অ্যালার্জির কারণ সনাক্ত করুন: প্রথমে আপনার অ্যালার্জির কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন। কোন বিশেষ খাবার, পদার্থ বা পরিবেশগত কারণে আপনার অ্যালার্জি হয় তা জানার চেষ্টা করুন। এর জন্য আপনি একজন অ্যালার্জি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে পারেন।
২. অ্যালার্জেন পরিহার করুন: যখন আপনি আপনার অ্যালার্জির কারণ জানতে পারবেন, তখন সেই পদার্থ বা পরিস্থিতি এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন।
৩. ঔষধ ব্যবহার করুন: অ্যালার্জির লক্ষণগুলি উপশম করার জন্য আপনি কিছু ঔষধ ব্যবহার করতে পারেন। অ্যান্টিহিস্টামিন, ডিকনজেস্ট্যান্ট এবং স্টেরয়েড নাকের স্প্রে সাধারণত অ্যালার্জির জন্য ব্যবহার করা হয়। তবে, ঔষধ ব্যবহার করার আগে সর্বদা আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
৪. ইমিউনোথেরাপি: এটি একটি দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসা পদ্ধতি, যেখানে আপনাকে ধীরে ধীরে অ্যালার্জেনের সংস্পর্শে আনা হয় যাতে আপনার শরীর এটির প্রতি সহনীয় হয়ে ওঠে।

৫. ঘরোয়া প্রতিকার: কিছু ঘরোয়া প্রতিকার আছে যা অ্যালার্জির লক্ষণ কমাতে সাহায্য করতে পারে। যেমন –
- গরম জল দিয়ে নাক পরিষ্কার করা।
- মধু খাওয়া।
- পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করা।
- ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খাওয়া।
৬. জীবনযাত্রার পরিবর্তন: আপনার জীবনযাত্রায় কিছু পরিবর্তন আনলে অ্যালার্জির প্রকোপ কমাতে পারেন। যেমন –
- নিয়মিত ব্যায়াম করা।
- পর্যাপ্ত ঘুম।
- মানসিক চাপ কমানো।
অ্যালার্জি থেকে বাঁচতে কিছু সতর্কতা:
- যেসব জিনিসে অ্যালার্জি হয়, সেগুলো থেকে দূরে থাকুন।
- ঘর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন।
- বাইরে বের হলে মাস্ক ব্যবহার করুন।
- প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়ার আগে এতে ব্যবহৃত উপাদানগুলো দেখে নিন।
- কোনো নতুন ওষুধ খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
যদি আপনার অ্যালার্জির সমস্যা খুব গুরুতর হয়, তাহলে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।