হাই কোলেস্টেরল বা উচ্চ কোলেস্টেরল স্তর ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। কোলেস্টেরল মাত্রা বেশি হলে তা শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের উপর প্রভাব ফেলতে পারে, এবং ত্বকও এর ব্যতিক্রম নয়।
কিছু সাধারণ ত্বক সমস্যার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত:

১. একজিমা (Eczema):
হাই কোলেস্টেরল অনেক সময় ত্বকে একজিমা সৃষ্টি করতে পারে। একজিমা হলো ত্বকে চুলকানি, শুষ্কতা, লালচে দাগ, এবং ফাটল হওয়া। এটি উচ্চ কোলেস্টেরলের কারণে ত্বকে সঠিকভাবে আর্দ্রতা ধরে রাখতে না পারার ফলস্বরূপ হতে পারে।
২. পেপুলি বা কোলেস্টেরল প্ল্যাক (Xanthomas):
এটি কোলেস্টেরল বা ফ্যাটের জমাট বেঁধে ত্বকে গুটি বা প্ল্যাকের মতো উপসর্গ সৃষ্টি হয়। সাধারণত এগুলি শরীরের বিভিন্ন অংশে দেখা যায়, যেমন পা, হাত, চোখের চারপাশে বা ত্বকের নীচে। এটি কোলেস্টেরল প্ল্যাক নামে পরিচিত এবং শরীরে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল থাকার কারণে হতে পারে।
৩. আত্মীয় রিং (Arcus Senilis):
এটি একটি সাধারণ ত্বক সমস্যা যেখানে চোখের চারপাশে সাদা বা ধূসর বর্ণের রিং তৈরি হয়। এই রিংটি সাধারণত উচ্চ কোলেস্টেরল স্তরের সাথে সম্পর্কিত এবং চোখের চারপাশের কপালের কনুই অংশে দেখা যেতে পারে।
৪. শুকনো ত্বক:
হাই কোলেস্টেরল ত্বকে আর্দ্রতার অভাব সৃষ্টি করতে পারে, যার ফলে ত্বক শুষ্ক এবং ফাটা হতে পারে। ত্বকে আর্দ্রতা না থাকলে ত্বক প্রাকৃতিকভাবে শুষ্ক ও বিকৃত হতে শুরু করে।
৫. চর্মরোগ (Skin Infections):
অতিরিক্ত কোলেস্টেরল শরীরে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়াতে পারে, কারণ এটি শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। এর ফলে ত্বকে সংক্রমণ বা চর্মরোগ হতে পারে।
৬. কোলেস্টেরল স্ট্যাটাস (Cholesterol deposits):

বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে, অতিরিক্ত কোলেস্টেরল দেহে চর্বির মতো জমা হতে থাকে এবং এতে ত্বকের ওপর একটি “ধূসর” বা “সাদা” স্তর তৈরি হতে পারে। এটি সাধারণত শরীরের বিভিন্ন অংশে চামড়ার নিচে জমে থাকে এবং পরবর্তীতে তা ত্বকে দৃশ্যমান হয়।
হাই কোলেস্টেরল কেবল শরীরের অভ্যন্তরীণ স্বাস্থ্যকেই প্রভাবিত করে না, বরং ত্বকেও বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এসব সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে বা কমাতে সঠিক খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।