Zika ভাইরাসের দাপট ক্রমশ বেড়েই চলেছে। গত 48 ঘন্টায় মহারাষ্ট্রে 5 জনের শরীরে এই ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। বর্তমানে মহারাষ্ট্রে এই ভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা 15, যার মধ্যে কয়েকজন অন্তঃসত্ত্বা মহিলাও রয়েছে। অন্যদিকে প্রতিবেশী রাজ্য কর্ণাটকে Zika ভাইরাসে আক্রান্ত দুজনের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
মহারাষ্ট্রে জিকা ভাইরাসের সন্ধান পাওয়ার পর গত 3 জুলাই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল যেখানে বলা হয়েছে, মূলত এডিশ মশার মাধ্যমে এই ভাইরাসটি ছড়ায়। এছাড়াও রক্ত সঞ্চালন এবং যৌন সংসর্গের মাধ্যমেও এই ভাইরাস ছড়াতে পারে। গর্ভবতী মহিলারা এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে শিশুর ক্ষতি হতে পারে। তাই গর্ভবতী মহিলারা যাতে এই জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত না হয় সেদিকে বিশেষ ভাবে নজর দেওয়া হচ্ছে৷
বিশেষজ্ঞদের মতে, ডেঙ্গির মতো জিকারও কোন নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। প্রতি পাঁচজন আক্রান্তের মধ্যে একজনের জ্বর, শ্বাসকষ্ট, মাথাব্যাথা, র্যাশ, চোখ লাল হয়ে যাওয়া ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দেয়। জিকার উপসর্গ না থাকলেও গর্ভবতী মহিলাদের রক্ত বা মূত্রের আরটিপিসিআর পরীক্ষা করতে বলা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে যদি কোন গর্ভবতী মহিলা এই ভাইরাসে আক্রান্ত হন, তাহলে গর্ভস্থ ভ্রুণের দিকেও বিশেষ নজর রাখতে হবে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে সব রাজ্যকেই সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সমস্ত হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র গুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে হাসপাতালে আসা গর্ভবতী মহিলাদের জিকা স্ক্রিনিং করতে হবে। এছাড়াও হাসপাতাল চত্বর এডিশ মশা মুক্ত রাখতে হবে। এই কাজের জন্য প্রত্যেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে একজন করে নোডাল অফিসার নিয়োগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জিকা ভাইরাস প্রতিরোধে এইসব সতর্কতা মেনে চলতে হবে
- আপনার এলাকায় যদি মশার উপদ্রব বেশি হয় তাহলে ঘরের জানলা, দরজা বন্ধ রাখতে হবে।
- বাচ্চাদের জন্য mosquito repellent cream ব্যবহার করতে পারেন।
- যতটা সম্ভব বাইরের খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।
- ঘর পরিষ্কার রাখতে হবে৷
- বাইরে থেকে এসে মুখে কিংবা নাকে হাত দেবেন না৷
- আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম হলে ভিড় আছে এমন যাবেন না।