এক চিলতে বারান্দা হোক কিংবা ফ্ল্যাটের করিডর, সবুজের সমারোহ থাকলে মনও যেমন ভালো থাকে, তেমন ঘরের পরিবেশটাও সুন্দর হয়ে ওঠে । বড় জায়গায় বাগান বানানো তুলনামূলক ভাবে সহজ হলেও কম জায়গায় বাগান তৈরি করতে বেশ কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হয়। চলুন সেগুলো জেনে নেওয়া যাক।
বারান্দার সৌন্দর্য বাড়িয়ে তোলার জন্য প্রথমেই মেঝেতে বিছিয়ে দিতে পারেন কৃত্রিম ঘাসের কার্পেট। এক্ষেত্রে মেঝেটাও পরিষ্কার থাকবে, দেখতেও সুন্দর লাগবে। তারপর বারান্দার দেওয়ালে কিছু শৌখিন ওয়াল হ্যাঙ্গিং বা ছবি আটকাতে পারেন।
তারপর যেটা মাথায় রাখতে হবে সেটা হল আপনার বারান্দার ঠিক কোন জায়গায় কতক্ষণের জন্য রোদ থাকে। যদি দিনের বেলায় রোদ পৌঁছায় তাহলে ফুল গাছ লাগাতে পারেন। এক্ষেত্রে টগর, গোলাপ, অপরাজিতা, জুই, বেলি, ইত্যাদি গাছ লাগাতে পারেন। প্রতিদিন সকালে এবং বিকেলে যখন ছায়া থাকবে সেইসময় গাছে জল দেবেন৷ প্রত্যেক সপ্তাহে গাছে সার দেবেন এবং কীটনাশক স্প্রে করবেন। গাছের মাটিতে জল দেওয়ার পাশাপাশি প্রত্যেকদিন একবার করে গাছের পাতাতেও জল স্প্রে করে দেবেন।
বারান্দার রেলিং এ হ্যাঙ্গিং টবে পর্তুলিকা লাগাতে পারেন। মাত্র 10 টাকার চারাতেই আপনার বাগান রঙিন ফুলে ভরে যাবে। এই গাছের পাতা কেটেও গাছ তৈরি করা যায়।
পরিচর্যা করার খুব বেশি সময় না থাকলে বাগানে রাখতে পারেন বাগান বিলাস। এই গাছের খুব বেশি দেখভালের প্রয়োজন হয় না। তবে হ্যাঁ, একটা কথা অবশ্যই মাথায় রাখবেন এই গাছে খুব বেশি জল দেওয়া যাবে না৷ মাটি শুকিয়ে গেলে তখনই জল দেবেন।
আপনার শখের বাগান যদি রোদবিহীন থাকে তাহলে বাহারি পাতাবাহার বা ইনডোর প্ল্যান্টে তাকে সাজিয়ে তুলতে পারেন। যেমন, মানিপ্ল্যান্ট, স্পাইডার প্ল্যান্ট, সিঙ্গোনিয়াম, ইত্যাদি।
এছাড়াও ক্যাকটাস বা সাকুলেন্টও ভালো অপশন। ক্যাকটাসেও খুব কম জল দিতে হয়। এই গাছের গোড়ায় যেন জল না জমে সেটা খেয়াল রাখতে হবে।
এইভাবে আপনি খুব কম জায়গার মধ্যেও শখের বাগান গড়ে তুলতে পারবেন। বারান্দার এক পাশে চেয়ার বা দোলনা থাকলে তো কথাই নেই। মন খারাপের বিকেলে রেডিও অথবা বইকে সঙ্গী করে এক কাপ চা হাতে বারান্দায় গাছেদের সঙ্গে কিছুক্ষণ সময় কাটালে অনেক শান্তি পাবেন।