বর্ষা আমাদের গরমের থেকে রেহাই দেয় ঠিকই তবে যেহেতু এই সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি থাকে তাই বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক, ভাইরাসের সংক্রমণে অ্যালার্জির সমস্যা দেখা দেয়।
জেনে নিন বর্ষাকালে অ্যালার্জি থেকে মুক্তি পাওয়ার সহজ উপায় –
নিমপাতা –
চুলকানি এবং অ্যালার্জির থেকে মুক্তি পেতে নিমপাতা অত্যন্ত উপকারী। নিমের মধ্যে রয়েছে
অ্যান্টি ফাংগাল এবং অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল গুণ।
তাই অ্যালার্জির কারণে যদি শরীরের কোন জায়গায় লাল হয়ে যায় সেখানে নিমপাতা বাটা এবং মধু মিশিয়ে লাগাতে পারেন। নিম পাতা ফোটানো জলে স্নান করলেও উপকার পাবেন।
হলুদ –
অ্যালার্জির ঘরোয়া প্রতিকারের মধ্যে অন্যতম হল হলুদ। সাধারণত প্রত্যেক রান্নাঘরেই হলুদ থাকে। হলুদের মধ্যে রয়েছে প্রদাহরোধী গুণ। তাই হঠাৎ অ্যালার্জি হলে ফুটন্ত দুধে হলুদ গুঁড়ো এবং মধু মিশিয়ে পান করতে পারেন৷
এছাড়াও হলুদ, অ্যালোভেরা জেল এবং মধু একসঙ্গে মিশিয়ে অ্যালার্জির জায়গায় লাগালে খুব সহজেই
অ্যালার্জির দাগ দূর হয়ে যাবে।
দই –
দইয়ের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি অ্যালার্জিক এবং অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান। তাই অ্যালার্জির হাত থেকে সুরক্ষিত থাকতে অবশ্যই প্রত্যেকদিন দই খান।
কমলা –
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ কমলা লেবু অ্যালার্জিক প্রাকৃতিক ঔষধ হিসেবে কার্যকরী। তাই ব্রেকফাস্টে রাখতে পারেন কমলালেবুর জুস৷
লেবু-
ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ লেবু হল সাইট্রাস জাতীয় ফল৷ এক গ্লাস জলে এক চামচ মধু এবং দু চামচ লেবুর রস মিশিয়ে পান করলে শরীর থেকে টক্সিক বেরিয়ে যাবে এবং অ্যালার্জি কমে যাবে।
আদা –
আদার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হয়েছে যা হজমে সাহায্য করার পাশাপাশি অ্যালার্জি নিরাময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
সারাদিনে দুবার গরম গরম আদা চা পান করলে খুব দ্রুত অ্যালার্জি থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
এছাড়াও বর্ষাকালে যাতে অ্যালার্জির সমস্যা না হয় সেইজন্য কয়েকটি জিনিস মাথায় রাখতে হবে। যেমন – ভেজা জুতো পরবেন না৷ বৃষ্টিতে ভিজে গেলে দ্রুত সেই জামা পালটে নিতে হবে৷
খাদ্যতালিকায় তেঁতো জাতীয় খাবার যেমন – করলা, নিমপাতা, উচ্ছে ইত্যাদি রাখতে হবে। পোশাক নির্বাচনের ক্ষেত্রে সতর্ক হতে হবে। শিশুদের ঢিলেঢালা পোশাক পরাতে হবে।