বর্ষাকালে আর্দ্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় তেলতেলে ত্বকে ব্রণ, ব্ল্যাকহেডস এর সমস্যা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। তবে এমন অনেক ঘরোয়া পদ্ধতি রয়েছে যার সাহায্যে এইসব সমস্যার সমাধান সম্ভব।
নিমের পেস্ট
নিমের মধ্যে শক্তিশালী অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা তৈলাক্ত ত্বকের জন্য উপকারী৷ এর জন্য নিমের পাউডার এবং জল মিশিয়ে একটি গাঢ় পেস্ট বানাতে হবে, তারপর সেটা সারা মুখে লাগিয়ে 10 থেকে 15 মিনিটের রেখে ঈষদুষ্ণ জল দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।
তুলসী পাতার ব্যবহার
তুলসি একটি শক্তিশালী ভেষজ, যা তৈলাক্ত ত্বকের জন্য চমৎকার কাজ করে। এর অ্যান্টি-সেপটিক বৈশিষ্ট্যগুলি ত্বককে পরিষ্কার করতে এবং ত্বকের ছিদ্রগুলিকে খুলতে সাহায্য করে। এর জন্য এক মুঠো তুলসী পাতা নিয়ে প্রায় 10 মিনিট জলে ফুটিয়ে নিতে হবে, তারপর মিশ্রণটি একটি স্প্রে বোতলে ভরে রাখতে হবে। এই মিশ্রণটি টোনার হিসেবে মুখে স্প্রে করলে খুব দ্রুত সমাধান পাবেন।
অ্যালোভেরার ম্যাজিক
তৈলাক্ত ত্বকের অতিরিক্ত তেল দূর করতে অ্যালোভেরা ম্যাজিকের মতো কাজ করে। অ্যালোভেরা ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে এবং সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে। অ্যালোভেরার প্যাক বানানোর জন্য একটি পাত্রে কিছুটা Carnauba Wax, 2 টেবিল চামচ জোজোবা অয়েল এবং এক টেবিল চামচ জল মেশাতে হবে। তারপর মিশ্রণটি হালকা গরম করে মুখে লাগিয়ে 10 মিনিট রেখে ধুয়ে নিতে হবে। মুখের তেল ভাব সহজেই দূর হয়ে যাবে।
কমলার ফেসপ্যাক
ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ কমলা লেবু তৈলাক্ত ত্বকের পিএইচ লেভেলের ভারসাম্য বজায় রাখতে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে। এরজন্য একটি পাত্রে অর্ধেক কমলার রস ছেঁকে তুলোর সাহায্যে পুরো মুখে লাগাতে হবে , তারপর ঠান্ডা জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে হবে।
মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর করতে কমলালেবুর খোসাও ভালো কাজ করে। এর জন্য 1 চামচ কমলালেবুর খোসার গুঁড়ো, 2 চামচ দুধ, 1 চামচ মধু একসঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগাতে হবে। তারপর 15 মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই প্যাক সপ্তাহে দু বার ব্যবহার করলে ভালো ফল পাবেন।