ওপেন পোরস বা ত্বকের ছিদ্র বড় হয়ে যাওয়াকে ওপেন পোরস বলে। ত্বকের উপরিভাগে থাকা ছোট ছিদ্রগুলোকে পোরস বলা হয়। এই ছিদ্রগুলো ত্বকের শ্বাস নিতে সাহায্য করে। ওপেন পোরসের সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে ত্বকের লাবণ্য বজায় থাকে।
ওপেন পোরস কেন হয়?
![ওপেন পোরস এর সমস্যা?](https://okbangla.com/wp-content/uploads/2025/02/1000034901.jpg)
- বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা এবং কোলাজেন কমে যায়।
- বয়ঃসন্ধির সময় বা গর্ভাবস্থায় হরমোনের পরিবর্তনের ফলে সিবাম উৎপাদন বৃদ্ধি পায়।
- ত্বকের প্রাকৃতিক তেল বা সেবাম বেশি উৎপাদন হলে ত্বকের ছিদ্র বড় হয়।
- সূর্যের ক্ষতি, দূষণ, অতিবেগনি রশ্মি, এক্সফোলিয়েশনের অভাবের কারণে ত্বকের ছিদ্র বড় হয়।
- অনুপযুক্ত ত্বকের যত্নের কারণে ত্বকের ছিদ্র বড় হয়।
- জেনেটিক্সের কারণেও ত্বকের ছিদ্র বড় হতে পারে।
ওপেন পোরস দূর করতে হলে, ত্বক পরিষ্কার রাখা, এক্সফোলিয়েশন করা, এবং সূর্যালোক এড়ানোর মতো উপায়ে কাজ করা যেতে পারে। এছাড়াও, ঘরোয়া উপায়েও ওপেন পোরসের সমস্যা কমানো যায়।
ওপেন পোরস দূর করার জন্য ঘরোয়া উপায়গুলি হল:
![ঘরোয়া টিপস,](https://okbangla.com/wp-content/uploads/2025/02/1000034900.jpg)
- সপ্তাহে দু’বার হালকা স্ক্রাব দিয়ে এক্সফোলিয়েশন করা।ওপেন পোরসের সমস্যা কমাতে হলে সপ্তাহে দু’বার এক্সফোলিয়েশন জরুরি। তবে, ত্বকের উপর হালকা স্ক্রাব ব্যবহার করবেন। খুব বেশি চাপ দিয়ে ঘষবেন না।
- ত্বক পরিষ্কার করার পর বরফ ঘষুন। বরফ ত্বকের রোমকূপ সংকোচনে সাহায্য করে।
- মুলতানি মাটি ও গোলাপ জল মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করে মুখে লাগাতে পারেন। মুলতানি মাটি ত্বকের প্রদাহ কমায়।
- দিনে দু’বার ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন। দিনে দু’বার ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করলে ওপেন পোরসে জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার হয়ে যায়।
- হলুদ, বেসন, এবং দইয়ের ফেসপ্যাক ব্যবহার করুন।
- কলার খোসা মুখে ঘষতে পারেন।
- কাজুবাদাম গুঁড়ো করে জলের সঙ্গে মিশিয়ে মুখে মাস্কের মতো লাগিয়ে রাখুন।
- অ্যাপল সাইডার ভিনিগারের সঙ্গে অল্প জল মিশিয়ে টোনার হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন।
- ডিমের সাদা অংশ দিয়ে মাস্ক লাগাতে পারেন। ডিমের সাদা অংশ ত্বকের উন্মুক্ত ছিদ্র সঙ্কুচিত করতে সাহায্য করে।
- অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করতে পারেন।