ওজন বেড়ে যাচ্ছে? কি খেলে ওজন কমবে? এই প্রশ্ন এখন প্রায় প্রত্যেকের মুখে মুখে। অনেকই হয়তো জানেন না যে কিসমিশ খেলে ওজন কমাতে সাহায্য পাওয়া যায়। কিসমিশ খেলে ওজন কমাতে সাহায্য পাওয়া যায়। কিসমিশে ক্যালোরি ও চর্বি কম থাকে এবং ফাইবারের পরিমাণ বেশি থাকে। তাই, কিসমিশ খেলে পেট ভরে থাকে এবং অন্যান্য খাবার খাবার প্রবণতা কমে।
কিসমিসে থাকে শক্তি, শর্করা, ফাইবার, স্নেহ পদার্থ, প্রোটিন। এছাড়াও থাকে ভিটামিন, যথা থায়ামিন (বি১), রিবোফ্লাভিন (বি২), নায়াসিন (বি৩), প্যানটোথেনিক, অ্যাসিড (বি৫), ভিটামিন বি৬, ফোলেট (বি৯), কোলিন, ভিটামিন C, ভিটামিন E, ভিটামিন K। এসব ছাড়াও কিসমিসে থাকে খনিজ যেমন ক্যালসিয়াম, লৌহ, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ফসফরাস, পটাশিয়াম, সোডিয়াম, জিংক ইত্যাদি।

কিসমিশ খেয়ে ওজন কমাতে কিভাবে সাহায্য পাওয়া যায়?
ওজন কমাতে চাইলে সারারাত কিসমিস ভিজিয়ে রেখে খাওয়া সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর বলে বিবেচিত। কিশমিশ খাওয়ার নিয়মগুলি হল:
- রাতে এক গ্লাস জলে ২০ থেকে ৩০টি কিসমিস ভিজিয়ে রাখুন।
- সকালে উঠে এই কিসমিস ভেজানো জল পান করুন।কিশমিশের জল এই খনিজগুলি শোষণ করতে সাহায্য করে। কম ক্যালোরি অথচ পুষ্টিতে ভরপুর কিশমিশের জল খিদে নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। আবার এর প্রাকৃতিক শর্করা উচ্চ-ক্যালোরিযুক্ত খাবার ছাড়াই শরীরে শক্তি সরবরাহ করে। ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য এটি একটি স্বাস্থ্যকর উপায়।
- কিসমিশ খেলে শরীরে ঠিকমতো পুষ্টি উপাদান পৌঁছায়।
- ওজন কমাতে রাতে ঘুমানোর আগে কিশমিশ খাওয়াও উপকারী।

কিশমিশের জল খেলে ওজন কমার কারণ:
- কিশমিশে ক্যালোরি কম এবং ফাইবার বেশি থাকে। ফলে, কিশমিশ খেলে পেট ভরা আছে বলে অনুভব হয়।
- কিশমিশে থাকা লেপটিন ফ্যাট ঝরাতে সাহায্য করে।
- কিশমিশে থাকা পটাসিয়াম শরীরে সোডিয়ামের ভারসাম্য বজায় রেখে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
- কিশমিশে থাকা আয়রন লোহিত রক্তকণিকা উৎপাদনে সাহায্য করে।
মনে রাখবেন, কিসমিস খেলে ওজন কমতে পারে, আবার ওজন বাড়তেও পারে। এর কারণ হলো কিসমিস একটি উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত খাবার। প্রতি ১০০ গ্রাম কিসমিসিতে প্রায় ২৮৭ ক্যালোরি থাকে। তাই অনিয়ন্ত্রিতভাবে কিশমিশ খেলে ওজন বাড়তে পারে।

কিসমিশের আরও কিছু উপকারিতা:
- কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
- গ্যাস্ট্রিকের চিকিৎসা করে
- হার্ট ভালো রাখে
- লিভার ও কিডনি ভালো রাখে
- পুষ্টির ঘাটতি দূর করে
- ক্যানসার প্রতিরোধ করে
- রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে
- ইমিউনিটি বাড়ায়